banner

শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

হার্ট অ্যাটাক কেন হয়?

হৃদপিণ্ডের একটি রোগ হার্ট অ্যাটাক। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এর নাম হল মায়কার্ডিয়াল ইনফার্কশন। ছোট্ট করে একে বলা হয় এমআই। হার্টে রক্ত বহনকারী ধমণীগুলো সরু হয়ে গেলে বা বন্ধ হয়ে গেলে রক্ত প্রবাহ আশঙ্কাজনক হারে কমে যায়। হার্টের কোষ গুলো মরে যায়। এই পরিস্থিতির নাম ইশকেমিয়া। ইশকেমিয়া হলে বুকে তীব্র চাপ ও ব্যথা অনুভুত হয়। তখন এই সমস্যাটিকে বলে এনজাইনা পেক্টোরিস বা বুকে ব্যথা। যদি ইশকেমিয়া চলতেই থাকে তবে হার্টের কোষ গুলো একসময় মারা যায়। এই অবস্থাটি হার্ট অ্যাটাক হিসেবে পরিচিত।

ইশকেমিয়া হলে রোগীর বুকের বাম দিকে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। অনেকে আবার বুকের ওপর ভীষণ ভারী কিছু চেপে রাখার মতো অনুভব করেন। ব্যথার তীব্রতা বুকে বেশি থাকলেও এটা বুক থেকে গলা, গাল, মাড়ি, কান, বাম হাত এবং আশেপাশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। একে রেফার্ড পেইন বলা হয়। বুকের ব্যথা ১ থেকে ৩ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তবে এই ব্যথা কখনই ৩০ সেকেন্ড সময়ের কম নয়, আবার ১৫ মিনিটের বেশিও নয়। এনজাইনা বা ব্যথা শুরু হয় সাধারণত কোনো পরিশ্রমের কাজ করার সময়- যেমন দৌড়ানো বা জোরে হাঁটা ইত্যাদি। তবে পেট ভরে খাবার খাওয়া, যৌনক্রিয়া এমনকি হঠাৎ রেগে যাওয়া বা উত্তেজিত হলেও এনজাইনা শুরু হয়ে যেতে পারে। ব্যথার সঙ্গে রোগীর অন্য উপসর্গ যেমন শ্বাসকষ্ট, পেট ফাপা লাগা, অস্থির লাগা, বুক ধড়ফড় করা ইত্যাদিও থাকতে পারে। পরিশ্রম বন্ধ করে বিশ্রাম নিলে এই ব্যথা সাময়িকভাবে কমে যেতে পারে।

শতকরা  ৮৫ ভাগ হার্ট অ্যাটাক বয়সের কারণে হয়ে থাকে। পুরুষের প্রথম হার্ট অ্যাটাকের জন্য গড় বয়স ৬৬ এবং নারীদের ৭০। তবে, নারীদের হার্ট অ্যাটাকের বয়স ৫৫ থেকে শুরু হয় এবং বয়স ৬৫ থেকে নারী ও পুরুষ যেকোনো সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারে। এছাড়াও অনেক কারণে হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকে-

– রক্তের কলেস্টেরলের মাত্রা বেশি হলে।

– অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিস থাকলে।

– অতিরিক্ত তেল এবং চর্বিযুক্ত খাবার খেলে।

– হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে।

– স্থূলতা বা অতিরিক্ত ওজন থাকলে।

– অতিরিক্ত মদ্যপান, ধুমপান এবং শারীরিক পরিশ্রম না করা।

– বংশগত এবং অতিরিক্ত কোকেন জাতীয় ওষুধ খাওয়া এই রোগের কারণ হতে পারে।

বুকের ব্যথার কারণ হিসেবে এনজাইনা বা এমআই সন্দেহ হলে প্রথম একটি ১২ লিডের ইসিজি করানো লাগতে পারে। ব্যথার শুরুর দিকে ইসিজির রিপোর্ট স্বাভাবিক আসতে পারে। সঠিক তথ্য জানতে পর্যায়ক্রমে বেশ কয়েকবার ইসিজি করতে হয়। এরপরও যদি কোনো ত্রুটি ধরা না পড়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে এই রোগ নিশ্চিত করেন। এছাড়াও প্রয়োজনে আরও অনেক পরীক্ষা করতে হতে পারে।

করোনারি আর্টারি ডিজিজ বা ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ এর চিকিৎসা অবশ্যই হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ (কার্ডিওলজিস্ট) এর তত্ত্বাবধানে করা উচিৎ। কারণ, কেবল হৃদরোগ বিশেষজ্ঞই রোগীর সঠিক অবস্থা বিবেচনা করে আদর্শ চিকিৎসা দিতে পারেন।

 

সিরিয়াস নয় সিনসিয়ার হোন সফলতা অর্জনে….

সফলতা তো আমরা সবাই পেতে চাই। কিন্তু সফলতা বলতে জীবনের কোন পর্যায়কে বুঝাবেন আপনি? আপনি কিসে নিজেকে সফল মনে করবেন? বেশীরভাগ মানুষই বিশাল পরিমান অর্থবিত্ত আর সম্মানের অধিকারী হওয়াকে সফলতা মনে করেন। কিন্তু আসলে বিষয়টি কি সে রকম কিছু?

সফলতা একটা যাত্রা যার শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই। সফলতা মানুষের জীবনে বার বার আসে। প্রথম যেদিন হাঁটতে শিখেছিলেন সেদিন আপনি সফল হয়েছিলেন, প্রথম যেদিন সাইকেল চালাতে শিখেছিলেন সেদিন সফল হয়েছিলেন, যেদিন সাঁতার কাটতে পেরেছিলেন সেদিন সফল হয়েছিলেন, যেদিন পড়াশুনা করে প্রথম সার্টিফিকেট পেয়েছিলেন সেদিন সফল হয়েছিলেন, এভাবে প্রতিটা কাজের যেদিন সুখময় সমাপ্তি টানতে পেরেছেন সেদিনই আপনি সফল হয়েছেন। তাহলে সফলতা সফলতা করে মাথা ঠুকার কি কারন?

এভাবে যদি হিসেব করেন তাহলে আপনার জীবনে হাতে গোনা কয়েকটি বিফলতা ছাড়া দেখবেন সফলতার পরিমানই বেশী। সত্যিকার অর্থে সফলতা হল আপনার জীবনের সেই সুখকর মুহুর্তগুলো যখন আপনি নতুন কিছু করতে পেরেছিলেন। আকাশের সীমানা আর সমুদ্রের বিশালতা যেমন পরিমাপ করা সম্ভব নয় ঠিক তেমনি আপনিও নিজেকে জীবনের কোন একটা পর্যায়ে এসে বলতে পারবেন না আমি সফল। তাই সফলতার যাত্রায় আপনি যতটা অর্জন দিয়ে সাজিয়ে জীবনটাকে উপভোগ করতে পারবেন ঠিক ততটাই সফল হবেন আপনি।

প্রতিটা ব্যাপারে ভারসাম্য থাকা খুব জরুরী। যেমনটা পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষা করছে মধ্যাকর্ষন শক্তি ঠিক তেমনি। কোন কিছু নিয়ে খুব আবেগী না হওয়া আবার কোন কিছু নিয়ে খুব বেশী উত্তেজিত না হওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ন। সার্মথ্যের বাইরে কোন কিছু করতে গেলে তার ফলাফল অনুকূলে না আসাটাই স্বাভাবিক। কাছের মানুষটি ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় চাকুরির প্রমোশনের মজা যেমন উপভোগ করতে পারবেন না তেমনি বিছানায় ছারপোকা রেখে শান্তিতে ঘুমাতেও পারবেন না।

জীবনটা চামচে মার্বেল রেখে দৌড় খেলার মতই। আপনি দৌড়ে প্রথম হলেও চামচে থেকে মার্বেল পড়ে গেলে আপনার অর্জন শূন্য। দৌড়ে প্রথম হয়েও লাভ হবে না। জীবনে যা কিছু করছেন তা আপনি, আপনার পরিবার, আপনজনদের জন্যই। সফলতার যাত্রায় স্বাস্থ্য আর সম্পর্কের সমন্বয়টা খুবই জরুরী। আপনার  প্রচেষ্টার মুল্য তখনই থাকবে যখন আপনি সব কিছুর সাথে সমন্বয় করতে পারবেন। না হলে সফল হয়ত হবেন কিন্তু থাকবে না জীবনের উচ্ছাস-উত্তেজনা, থাকবে না কোন অনুভূতি। জ্বালানী বিহীন গাড়ির মত হয়ে যাবে জীবন, থাকবে না কোন গতি।

জীবন নিয়ে খুব সিরিয়াস হওয়ার দরকার নেই। প্রিপেইড কার্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার মত জীবন আমাদের। কারন এ পৃথিবীতে আমরা ক্ষনিকের অতিথি। মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে দুষ্টুমি আড্ডায় সময় কাটানো, দুই একদিন স্কুল কিংবা অফিস  ফাঁকি দেওয়া, হটাৎ করে প্রেমে পড়া,  প্রিয় মানুষটির সাথে অকারনে অল্পসল্প ঝগড়া, অভিমান, খুনসুটি তো দোষের কিছু নয়।  প্রত্যেকেই মানুষ আমরা যন্ত্র তো নয়। সুতরাং সিরিয়াস হওয়ার থেকে সিনসিয়ার হওয়াটা বেশী প্রয়োজন।

শুভকামনা নিরন্তর।

 

একাধিক বিয়ের গুঞ্জন সম্পর্কে যা বললেন মাহি

গত ২৫ মে দীর্ঘদিনের বন্ধু অপুকে বিয়ে করেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। শোবিজ মিডিয়ায় মাহির বিয়ের আমেজ ফুরিয়ে যেতে না যেতেই ২৭ মে সন্ধ্যা থেকে মাহির বিয়ে নিয়ে শুরু হয় নতুন গুঞ্জন। ফেসবুকে ভেসে আসে কিছু ছবি। ছবিগুলোর বরাত দিয়ে খবর প্রচার করা হচ্ছিল মাহি এর অাগেও বিয়ে করেছিলেন। ছবিতে বিয়ের সাজে মাহিকে দেখা যায় তার কথিত বর শাওনের সঙ্গে। বন্ধু শাওনের সঙ্গে মাহির বিয়ের খবর প্রকাশিত হয়েছিল গত বছরেই। সেসময় মাহি বিষয়টিকে ফেক বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন।

তবে ২৭মে প্রকাশিত ছবিগুলোতে মাহি ও শাওনকে বিয়ের পোশাকে খুঁজে পাওয়ার পরও মাহি একই কথা বললেন।

মাহি জানিয়েছেন ছবিগুলো ফেক। একটি শুটিং সেটে মাহিকে বিয়ের সাজে দেখে দুষ্টুমি করে তার সঙ্গে ছবি তুলেছেন শাওন।

ইতোমধ্যেই টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হওয়া ঘটনাটিকে শুধু ফেইক বলেই ক্ষান্ত হননি মাহি। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন যারা অনলাইনে ছবিগুলো ছড়িয়ে দিয়েছেন ও যেসব অনলাইন ভুল খবর প্রকাশ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে তিনি মামলাও করবেন।

 

নারীর সুগন্ধি ব্যবহার : ইসলাম কী বলে

এক্ষেত্রে কোনো মেয়ের শরীর থেকে যদি কোনো দূর্গন্ধ প্রকাশিত হওয়ার সমস্যা থাকে সে ক্ষেত্রে সুগন্ধি ব্যবহার ছাড়া নিজেকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে পারেন। প্রয়োজনে প্রতি ঘণ্টা অন্তর অন্তর নিজেকে পরিস্কার করে নিতে পারেন। সমস্যা খানিকটা জচিল হলে তিনি একজন চর্ম বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন এবং ডাক্তারের পরামর্শ মতো বৈধ কিছু ব্যবহার করতে পারেন।

অনেক মহিলা বাইরে বের হওয়ার সময় পর্দা করে বের হয় বটে, কিন্তু পারফিউম বা অন্য সুগন্ধি ব্যবহার করে । মহিলাদের বাইরে বের হওয়ার সময় সুগন্ধি ব্যবহার করা নাজায়েয। এতে পর্দা লঙ্ঘন হয়। শরঈ পর্দা আদায় হয় না। হাদিস শরিফে ওই সব মহিলার উপর অভিসম্পাত করা হয়েছে যারা সুগন্ধি মেখে বের হয়।

পর্দার সাথে হলেও মহিলা পারফিউম বা সেন্ট জাতীয় কোন সুগন্ধি ব্যবহার করে বাইরে যেতে পারে না। কারণ তাতে ফিতনা আছে। মহানবি সা. বলেছেন, “প্রত্যেক চক্ষুই ব্যাভিচারী। আর মহিলা যদি (কোন প্রকার) সুগন্ধি ব্যবহার করে কোন (পুরুষের) মজলিসের পাশ দিয়ে অতিক্রম করে, তবে সে ব্যভিচারিণী (বেশ্যার মেয়ে)।” (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনে হিব্বান, ইবনে খুযাইমাহ, হাকেম, সহীহুল জামে, ৪৫৪০ নং)

এমন কি মসজিদে নামায পড়ার উদ্দেশ্যে যেতেও সে সেন্ট ব্যবহার করতে পারে না। মহানবি সা. বলেন, “আল্লাহ্র বান্দীদেরকে মসজিদে আসতে বারণ করো না, তবে তারা যেন খোশবু ব্যবহার না করে সাধাসিধাভাবে আসে।” (আহমাদ, আবূ দাঊদ, সঃ জামে ৭৪৫৭ নং)

যে মহিলা সেন্ট ব্যবহার করে মসজিদে যাবে, সে মহিলার গোসল না করা পর্যন্ত কোন নামায কবুল হবে না।” (ইবনে মাজাহ ৪০০২)

এক্ষেত্রে কোনো মেয়ের শরীর থেকে যদি কোনো দূর্গন্ধ প্রকাশিত হওয়ার সমস্যা থাকে সে ক্ষেত্রে সুগন্ধি ব্যবহার ছাড়া নিজেকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে পারেন। প্রয়োজনে প্রতি ঘণ্টা অন্তর অন্তর নিজেকে পরিস্কার করে নিতে পারেন। সমস্যা খানিকটা জচিল হলে তিনি একজন চর্ম বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন এবং ডাক্তারের পরামর্শ মতো বৈধ কিছু ব্যবহার করতে পারেন।

মাওলানা মিরাজ রহমান

 

লিডারশীপ ডেভেলপ করার সহজ ৪ স্টেপ

লিডারশীপ হচ্ছে নিজের খেয়ে, অন্যকে দিয়ে বনের মোষ তাড়ানো। আরো সোজা কথায় বললে, যাকে অন্যরা ফলো করে সে-ই লিডার। সেটা ভার্সিটির ক্লাব, ভলান্টিয়ার অর্গানাইজেশন, কিংবা ট্যুরে বের হওয়া ফ্রেন্ডদের গ্রুপেও হতে পারে। তবে লিডারশীপ কোয়ালিফিকেশনের কথা শুনলেই বেশিরভাগ পোলাপান হাফ প্যান্ট খুলে দৌড় মেরে বাকি জীবন দুধ-ভাত হয়ে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। অথচ লিডারশীপ ডেভেলপ করা খুবই খুবই সোজা। সিম্পল ৪ টা স্টেপ ফলো করলে যে কেউ লিডার হতে পারবে।

স্টেপ-১: বি এভেইলএবল: 

কম্পিউটারের খাঁচা, খেলা দেখার নেশা, বাথরুমের চিপা থেকে একটু সময় বের করতে হবে। ক্যাম্পাসে প্রায়ই কালচারাল ইভেন্ট, ক্যারিয়ার ক্লাব, ডিপার্টমেন্টের প্রোগ্রাম, ভলান্টিয়ার এক্টিভিটি হয়। এরকম একটা বা দুইটা ইভেন্টে যাবা।নির্ধারিত সময়ের একটু আগে গিয়ে কোনার মধ্যে লুকিয়ে না থেকে, অর্গানাইজাররা যেখানে ছোটাছুটি করতেছে তার আশেপাশে ঘুরাঘুরি করবা। তেমন কিছু বলার বা করার দরকার নাই। জাস্ট দেখো, খেয়াল করো, অবজার্ভ করো। কেউ ভারি কিছু একা একা সরাইতে না পারলে একটু হেল্প করো। ব্যস, এই টুকুই। এর বেশি কিছু না।

স্টেপ-২: বি হেল্পফুল: 

অর্গানাইজাররা যখন দেখবে তুমি হেল্প করতেছ এবং বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে বুঝাই দিচ্ছ তুমি এভেইলএবল। তখন তারাই বলবে, রিসেপশনের যে থাকার কথা সে এখনো আসে নাই। তুমি কি ওই খানে একটু বসতে পারবা? কোন গেস্ট আসলে সামনের সারিতে এনে বসবা। বা এই খাবারের প্যাকেটগুলার সাথে একটা করে ড্রিংকস দিতে পারবা? তখন হাসি মুখে বলবা- অবশ্যই। এই “অবশ্যই” শব্দটা বলে তুমি একটা অর্গানাইজেশনের আনঅফিসিয়াল মেম্বার হয়ে গেছ। এইভাবে দুই-তিনটা ইভেন্টে হেল্প করলে, ওরাই তোমাকে পাবলিক রিলেশন সেক্রেটারি বা ফুড সেক্রেটারি বানায় দিবে। ব্যস, তোমার সিভিতে বড় বড় করে লেখার মতো একটা জিনিস পেয়ে গেলা। যারা রুমে বসে বসে গেইম অফ থ্রোন দেখতেছে তাদের চেয়ে এগিয়ে গেলা।

স্টেপ-৩: বি এ ফলোয়ার:

একটা অর্গানাইজেশনের সাথে যুক্ত হলেই সেটার সাথে দিনরাত ২৪ ঘন্টা লেগে থাকা লাগে না। মাসে ৩-৪ ঘন্টা বা সেমিস্টারে ১০-১৫ ঘন্টা সময় দিলেই হয়। তবে তোমাকে যেসব দায়িত্ব দিবে সেগুলা সিনসিয়ারলি করবা। যেখানে যেতে বলবে সেখানে যাবা। পড়ালেখা ঠিক মতো করো বা না করো, এই কাজে কোন ফাঁকিবাজি করবা না। সিনিয়ররা যেসব ডিসিশন নিচ্ছে, সেগুলা খেয়াল করবা। বেশিরভাগ জিনিসই কমন সেন্স। তোমার কোন অভিমত থাকলে জানাবা। বি এ গুড ফলোয়ার। গুড লিসেনার। রিলায়েবল টিম মেম্বার। আর কিছু না।

স্টেপ-৪: বি এ লিডার: 

তুমি যখন থার্ড ইয়ারের শেষ দিকে যাবা, তখনই সিনিয়রদের বিদায় ঘন্টা বেজে উঠবে। তারা চাইবে তাদের প্রাণপ্রিয় অর্গানাইজেশনটা কোন ইফেক্টিভ এবং সিনসিয়ার পারসনের হাতে তুলে দিতে। তুমি যেহেতু এত দিন ধরে দায়িত্ব নিয়ে হেল্প করেছ। তোমাকে একটা গুরুত্বপূর্ণ পদ দিবে। তারপর থেকে তুমিই জুনিয়রদের কাজে লাগাবা। তুমিই ডিসিশন মেক করবা। মানে তুমিই লিডার হয়ে যাবা।

সো, লিডার হওয়ার জন্য হেল্প করার মেন্টালিটি নিয়ে এখন যারা লিড দিচ্ছে তাদের ফলো করতে থাকো। সময়ের আবর্তনে সুযোগ তোমার কাছে চলে আসবে। এতদিন সিনিয়ররা যা কিছু করতো সেগুলা কপি-পেষ্ট করলেই তোমার ভিতরে সাহস বেড়ে যাবে, ক্লাবের ভিশন ডেভেলপ হয়ে যাবে। কাকে দিয়ে কিভাবে কাজ করিয়ে নিতে হবে সেই বুদ্ধি গজাবে। হচ্ছে না, হচ্ছে না বলেও, শেষ মুহূর্তে স্পন্সর জোগাড় হয়ে যাবে। ঠেকায় পড়ে, পোস্টার ডিজাইন, ম্যাগাজিন প্রিন্ট, টি-শার্ট ডিজাইন শিখে ফেলবে। দশ-পনের জনের একটা টিম চালানোর দক্ষতার আবির্ভাব হয়ে যাবে। এভাবে কাজে নেমে পড়লে ঠিক সময়ে লিডারশীপ স্কিলও পয়দা হয়ে যাবে।

জীবনে সফল হওয়ার জন্য কনফিডেন্স অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কনফিডেন্স, পিপল ম্যানেজমেন্ট আর লিডারশীপ স্কিল ডেভেলপ করার জন্য ভার্সিটি লাইফ এবং ভার্সিটির অর্গানাইজেশনের চাইতে মামুলি জায়গা আর নাই। তাই যখন কোন টিমের সদস্য হবা তখন লিডার হওয়ার আগে ভালো টিম মেম্বার হও। কোন কিছু চাপিয়ে দেয়ার আগে, সেটা সবার সাথে ডিসকাস করে সবার ভিতর থেকে বের করে আনার চেষ্টা করো। অন্যের উপর কাজ চাপিয়ে না দিয়ে, সবাই মিলে দায়িত্ব ভাগ করে নাও। পজিটিভলি চিন্তা করো। আটকে গেলে, সিনিয়র বা স্যারদের পরামর্শ নিবে। যারা নতুন আসবে তাদেরকে কিভাবে কি করতে হবে বলে দিবে। এগুলাই লিডারশীপ। এগুলা করার জন্য ইচ্ছা আর চেষ্টাই যথেষ্ট।

 

এবার আম দিয়ে তৈরি হবে মজাদার ম্যাঙ্গো পুডিং

আম খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে মেলা ভার। রসালো এই ফলটি দিয়ে তৈরি করা যায় মজাদার সব খাবার। পুডিং সাধারণত ডিম, দুধ দিয়ে তৈরি করা হয়। আমের পুডিং খেয়েছেন কখনও? আম দিয়ে তৈরি করা যায় মজাদার ম্যাঙ্গো পুডিং। আসুন জেনে নিন মজাদার এই খাবারের রেসিপিটি।

উপকরণ:

  • ৩টি  ডিমের কুসুম
  • ৩ টেবিল চামচ চিনি
  • ১ কাপ আম
  • ৫০০ মিলিলিটার দুধ
  • ১ টেবিল চামচ জেলাটিন
  • ২ টেবিল চামচ পানি
  • সাজানোর জন্য
  • হুইপড ক্রিম
  • ১/২ কাপ টুকরো করা আম
  • ১/৪ কাপ ডালিম
  • পুদিনা

প্রণালী:

১। পানিতে জেলাটিন কয়েক মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।

২। একটি পাত্রে ডিমের কুসুম, চিনি এবং দুধ ভাল করে ফেটে নিন। ভাল করে মেশানো হয়ে গেলে এতে জেলাটিন দিয়ে দিন।

৩। জেলাটিন দেওয়ার পর চুলা নিভিয়ের ফেলুন।

৪। চুলা থেকে জেলাটিন ভাল করে মেশান। তারপর এতে আমের রস দিয়ে দিন।

৫। আমের রস দিয়ে আরও কিছুক্ষণ নাড়ুন।

৬। এরপর পরিবেশ পাত্রে ঢেলে ফ্রিজে ২ ঘন্টার জন্য রেখে দিন।

৭। দুই ঘণ্টা পর ফ্রিজ থেকে বের করে হুইপড ক্রিম, আমের টুকরো, ডলিম এবং পুদিনা পাতা দিয়ে পরিবেশন করুন।

 

নারী আসামিদের জন্য আলাদা হাজত: একটি শুভ উদ্যোগ

একটি খবর পড়ে মনে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছি। খবরের শিরোনাম হচ্ছে, ‘নারী আসামিদের জন্য আলাদা হাজত’। খবরে বলা হয়েছে, নারী আসামিদের রাখার জন্য আলাদা হাজতখানা করার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লা। ‘দেয়ালের দিকে নারী আসামির মুখ’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশের পর ২২ মে বিকেলে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা হাজতখানা পরিদর্শন করেন। নারীদের আলাদা হাজতখানা না থাকায় তিনি আদালত ভবনের প্রবেশপথের বাঁ পাশে একটি জায়গায় নারী হাজতখানা করতে বলেন।
খবরটি পড়ে আশ্বস্ত হলাম এ কারণে, অবশেষে স্বস্তি আসতে যাচ্ছে নারী আসামিদের জীবনে। তাঁদের হাজতখানায় আর পুরুষ আসামিদের হাতে হেনস্তা হতে হবে না। ঢাকা মহানগর দায়রা জজের এই উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে।
১৯ মে প্রকাশিত ‘দেয়ালের দিকে নারী আসামির মুখ’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে হাজতখানার যে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, তা পড়ে আমি রীতিমতো শিউরে উঠি। ওই প্রতিবেদনে চিত্রিত হয়েছে নারী আসামিদের নিপীড়নের কাহিনি, হাজতে তাঁদের চরম দুর্দশার কথা। শ খানেক পুরুষ আসামির সঙ্গে জনা দশেক নারী আসামি। পুরুষ আসামিরা সেখানে শুয়ে-বসে আরাম করে আছেন। অথচ নারী আসামিরা আরাম করা তো দূরের কথা, তাঁরা বসতেও পারেন না। আলাদা কোনো ব্যবস্থা না থাকায় পুরোটা সময় তাঁরা দাঁড়িয়ে থাকেন। শুধু যে দাঁড়িয়ে থাকেন তা-ও নয়, পুরুষ আসামিদের ভয়ে দেয়ালের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে থাকেন। কারণ, এ সময় তাঁরা নানানভাবে পুরুষ আসামিদের দ্বারা নিপীড়নের শিকার হন। তাঁদের পুরুষ আসামিদের বিশ্রী অঙ্গভঙ্গি, নানা রকম কটূক্তি, অশ্লীল মন্তব্যসহ নানা বিব্রতকর ও অপমানজনক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। সকাল নয়টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত এই অবস্থা চলে। এখানেই শেষ নয়, হাজতখানায় শৌচাগার মাত্র একটি। প্রতিদিনই দেখা যায়, নারী শৌচাগারে ঢুকেছেন, এমন সময় বাইরে থেকে কেউ কড়া নাড়ছেন। এভাবেই নারী আসামিরা প্রতিদিন আদালতে নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন।
শুধু যে হাজতখানায় থাকাকালে এই অস্বস্তিকর পরিবেশের মধ্য দিয়ে নারীকে যেতে হয় তা-ই নয়, আদালতের কার্যক্রমের জন্য কারাগার থেকে পুলিশ ভ্যানে সকালে নারী আসামিদের নিয়ে আসা হয় এবং বিকেলে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এই যাতায়াতের সময়ও তাঁদের জন্য আলাদা পরিবহন না থাকায় পুরুষ আসামি দ্বারা নিপীড়নের শিকার হন তাঁরা।
আমি ভাবি, আদালতপাড়ার হাজতখানাগুলোতে এভাবে পুরুষ আসামিদের হাতে নারী আসামিদের হেনস্তা অনেক দিন ধরেই হয়ে চলেছে। তাহলে কারও এত দিন টনক নড়েনি কেন? কেন মনে হয়নি এর একটা সমাধান হওয়া দরকার।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজের আদালতে নারীদের জন্য আলাদা হাজতখানা করার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আমরা চাই তা দ্রুত বাস্তবায়িত হোক। শুধু মহানগর দায়রা জজ আদালতে নয়, দেশের সব আদালতে নারীদের জন্য আলাদা হাজতখানা তৈরি হোক। সেই সঙ্গে নারী আসামিদের বহনে আলাদা পরিবহনের ব্যবস্থা করা হোক।

 

নিজেই করুন সানবার্ন ফেসিয়াল

প্রখর রোদ আর গরমের এই দিনে ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখা খুবই কষ্টের। ঘরের বাইরে বের হলেই রোদে পুড়ে ত্বক কালো হয়ে যাওয়া বা সানবার্ন, ব্রণ, র‌্যাশ, ছোপ ছোপ কালো দাগ হওয়ার ভয় থাকে। এসময় তৈলাক্ত ত্বকে সানব্লক পাউডার আর শুষ্ক ত্বকে অবশ্যই সানব্লক ক্রিম লাগিয়ে বাইরে বের হতে হবে। এর পরেও সানবার্নের শিকার হলে ছোট্ট দুটি উপায়ে নিজেই করতে পারেন ফেসিয়াল।

প্রথমত

গরুর দুধ, লেবুর রস ও চন্দনের গুঁড়া একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার মুখের ত্বকের পুরোটা  জুড়ে ম্যাসাজ করে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিতে হবে। পরে ধুয়ে ফেলতে হবে স্বাভাবিক ঠাণ্ডা পানিতে। এতে সানবার্ন উধাও হবে।

দ্বিতীয়ত

ত্বকের যত্নে অপর একটি উপকারী প্যাক হচ্ছে অ্যালোভেরা জেল ও লেবুর রসের মিশ্রণ। উভয় উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে ত্বক উজ্জ্বল ও পোড়া দাগ দূর হবে। নিয়মিত যত্ন নিলে আপনি পাবেন দাগহীন কোমল মসৃণ ত্বক।