banner

শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

পরপুরুষের সঙ্গে নারীর নির্জন সাক্ষাত : ইসলাম কী বলে

ইমাম শাওকানী [রহ.] বলেন- “পর-নারীর সাথে নির্জন সাক্ষাত ঐকমত্যে হারাম। হারাম হওয়ার কারণ তাদের তৃতীয়জন শয়তান, যা হাদীসেই স্পষ্ট। শয়তানের উপস্থিতি তাদেরকে হারাম লিপ্ত করবে, তবে মাহরামসহ সাক্ষাত বৈধ। কারণ, তার উপস্থিতিতে পাপ সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।”

নবী [সা] বলেছেন- যে আল্লাহ ও পরকাল দিবসের প্রতি ঈমান রাখে সে এমন নারীর সাথে নির্জন সাক্ষাত করবে না যার সাথে মাহরাম নেই। কারণ, তাদের তৃতীয়জন হচ্ছে শয়তান।

আমের ইবন রাবিআহ [রা] থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসূলুল্লাহ [সা] বলেছেন- জেনে রেখ, কোনো পুরুষ এমন নারীর সাথে একান্ত সাক্ষাত করবে না, যে তার জন্য হালাল নয়। কারণ, তাদের তৃতীয়জন হয় শয়তান, যদি না সে পুরুষটি হয় মাহরাম।

ইমাম শাওকানী [রহ.] বলেন- “পর-নারীর সাথে নির্জন সাক্ষাত ঐকমত্যে হারাম। হারাম হওয়ার কারণ তাদের তৃতীয়জন শয়তান, যা হাদীসেই স্পষ্ট। শয়তানের উপস্থিতি তাদেরকে হারাম লিপ্ত করবে, তবে মাহরামসহ সাক্ষাত বৈধ। কারণ, তার উপস্থিতিতে পাপ সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।” (নাইলুল আওতার, ৬/১২০)

কতক নারী ও তাদের অভিভাবক বেশ কিছু নির্জন সাক্ষাত সম্পর্কে শিথিলতা করেন ক. স্বামীর নিকটাত্মীয়দের সাথে নির্জন সাক্ষাত করা ও তাদের সামনে চেহারা উন্মুক্ত রাখা। বস্তুত তাদের সাথে নির্জন সাক্ষাত অন্যান্য সাক্ষাত থেকে বেশি ক্ষতিকর। নবী [সা] বলেন- খবরদার, তোমরা নারীদের নিকট প্রবেশ করবে না, তখন এক আনসারী ব্যক্তি বলল: হে আল্লাহর রাসূল, দেবর সম্পর্কে কী বলেন? তিনি বললেন- দেবর হচ্ছে মৃত্যুতুল্য হারাম।

অনেকে আবার ড্রাইভারের সাথে একাকী চলাফেরার ক্ষেত্রে শিথিলতা করে অথচ এটাও হারাম নির্জনতা। সৌদি আরবের মুফতি শাইখ মুহাম্মাদ ইবরাহীম [রহ.] বলেন- বর্তমান এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, অপরের গাড়িতে মাহরাম ব্যতীত পর-নারীর একাকী চড়া অনেক অনিষ্টের সঙ্গী হয়। এতে বহু অনিষ্ট রয়েছে যার ব্যাপারে শিথিলতা করা কখনো সমীচীন নয়। হোক সে লজ্জাশীল নারী কিংবা বেশি বয়সের পবিত্রা নারী, যে সাধারণত পুরুষের সাথে কথা বলে থাকে। যে ব্যক্তি তার মাহরাম নারীর জন্য এ জাতীয় আচরণ পছন্দ করে তার দীনদারী দুর্বল, সে পুরুষত্বহীন ও আত্মমর্যাদাবোধশূন্য। (মাজমুউল ফতোয়া ১০/৫২)

মূল : ড. সালেহ ইবনে ফাওজান
ভাষান্তর : মাওলানা মনযূরুল হক

 

বাসর রাতে স্বামী-স্ত্রীর নামাজ ও দোআ

দাম্পত্য জীবনের প্রথম রাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রত্যেক নব বিবাহিত দম্পতির উচিত বাসর রাতের গুরুত্বপূর্ণ সময়কে আনন্দ-উৎসবের নামে অবহেলা ও অনর্থক কাজে ব্যয় না করে নামাজ ও দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর নিকট কল্যাণ কামনা করা। মহান রাব্বুল আলামীন উম্মতে মুহাম্মদীকে বাসর রাতে উত্তম আমল করার তাওফিক দান করুন। আমীন।

মানব জীবনে বিয়ে অতি গুরুত্বপূর্ণ এক পর্ব। বিয়ের মধ্য দিয়ে একজন নারী ও পুরুষের মধ্যে গড়ে ওঠে গুরুত্বপূর্ণ এক সম্পর্ক। প্রাপ্তবয়স্ক সক্ষম ব্যক্তিদের ওপর মহান রাব্বুল আলামীন বিয়ে ফরজ করেছেন। বিয়ের পর্ব সমাপ্তির পর বাসর রাতে স্বামী-স্ত্রীর প্রথম সাক্ষাতে স্বামীর উচিত স্ত্রীকে নিয়ে জামাআতের সহিত দুই রাকাআত নফল নামাজ আদায় করা। এ নামাজ পড়া মুস্তাহাব। এটি উত্তম এক আমল। যে আমলে রহমত ও বরকত বৃদ্ধি পায়। নামাজের পর নব দম্পতি পরস্পরের জন্য দোয়া করবে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) এর বর্ণনায় দোয়াটি তুলে ধরা হলো-

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা বারিক লি ফি আহলি ওয়া বারিক লাহুম ফিইয়্যা, আল্লাহুম্মাজমা’ বাইনানা মা জামা’তা বিখাইরিন ওয়া ফাররিক্ব বাইনানা ইজা ফাররাক্বতা ইলা খাইরিন। (আদাবুজ যিফাফ, মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক)

অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমার জন্য আমার পরিবারে বরকত দান কর এবং তাদের স্বার্থে আমার মাঝে বরকত দাও। হে আল্লাহ! তুমি যা ভালো একত্রিত করেছ তা আমাদের মাঝে একত্রিত কর। আর যখন কল্যাণের দিকে বিচ্ছেদ কর তখন আমাদের মাঝে বিচ্ছেদ কর’।

দাম্পত্য জীবনের প্রথম রাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রত্যেক নব বিবাহিত দম্পতির উচিত বাসর রাতের গুরুত্বপূর্ণ সময়কে আনন্দ-উৎসবের নামে অবহেলা ও অনর্থক কাজে ব্যয় না করে নামাজ ও দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর নিকট কল্যাণ কামনা করা। মহান রাব্বুল আলামীন উম্মতে মুহাম্মদীকে বাসর রাতে উত্তম আমল করার তাওফিক দান করুন। আমীন।

 

আসুন নারীর জন্য বিশ্ব গড়ি

সমাজ পরিবর্তনের প্রতিনিধি হিসেবে নারী ও বালিকাদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি এবং তাদের ক্ষমতায়নে একসঙ্গে কাজ করার জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, সমাজ পরিবর্তনের প্রতিনিধি হিসেবে নারী ও বালিকাদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি, শিক্ষাসহ দক্ষ করে গড়ে তোলা এবং তাদের ক্ষমতায়নে আমাদের এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি এ ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনে আন্তরিক অঙ্গিকার এবং শক্তিশালী নেতৃত্ব থাকতে হবে। আসুন নারীর জন্য একটি সুষ্ঠু বিশ্ব গড়ে তুলতে আমরা নতুন করে অঙ্গীকার করি, যেখানে আমরা মর্যাদার সঙ্গে এবং সকল প্রকার ভয়-ভীতি থেকে মুক্ত হয়ে বসবাস করতে পারি।

বুধবার বিকেলে বুলগেরিয়ার সোফিয়ায় ন্যাশনাল আর্ট গ্যালারিতে ‘গ্লোবাল উইমেন লিডার্স ফোরাম’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মূল বক্তব্যে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজিএস) অর্জনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে গত বছর নিউইয়র্কে আমরা একটি পরিবর্তনশীল এজেন্ডা ২০৩০ গ্রহণ করেছি। নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ সমতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে নতুন এজেন্ডা উপস্থাপন করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি একমাত্র জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা এই উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য অর্জন করতে পারি।

অনুষ্ঠানে বুলগেরিয়ার প্রেসিডেন্ট রোজেন প্লেভনেলিয়েভ, উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং শ্রম ও সামাজিক নীতিবিষয়ক মন্ত্রী ইভায়লো কালফিন, জ্বালানি মন্ত্রী টামেনুজকা প্যাটকোভা, আঞ্চলিক উন্নয়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী লিলিয়ানা পাভলোভা, ইনেস্কোর মহাপরিচালক ইরিনা বোকভা, বুলগেরিয়া জাতীয় পরিষদের চেয়ারম্যান ট্যাসটাসকা টাচেভা এবং সিমেন্স বুলগেরিয়ার সিইও ও সে দেশের কাউন্সিল অব উইমেন ইন বিজনেসের চেয়ারপারসন বুরিয়ানা ম্যানোলোভাও বক্তব্য রাখেন।