banner

শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

শিক্ষক লাঞ্ছনায় তারকাদের কান ধরে প্রতিবাদ

কথায় আছে শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। আর সেই জাতি গড়ে তুলতে একজন শিক্ষক প্রধান দায়িত্ব পালন করে থাকেন। কিন্তু সেই শিক্ষকই যদি  লাঞ্ছিত হন মানুষে দ্বার তাহলে এ জাতি আগামীতে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে। এমন প্রশ্নই জেগে উঠেছে গোটা জাতির মনে।

গত ১৪ মে নারায়ণগঞ্জে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে গণধোলাই ও পরে সংসদ সদস্যের নির্দেশে কান ধরে উঠবসের ন্যাক্কারজনক ঘটনায় দেশব্যাপী তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে। আর এ সামলোচনা এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে বেশি। একজন প্রধান শিক্ষককে এভাবে হেয়পতিপন্ন করায় ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেখা গেছে সবাই এর প্রতিবাদ করছেন কানে ধরা ছবি আপলোড করে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে তারকারাও এই প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন। তারাও কানে ধরে ছবি ইতিমধ্যেই আপলোড করেছেন ফেসবুকে।

তারকাদের মধ্যে রয়েছেন ইরেশ যাকের, রওনক হাসান, মাজনুন মিজান, রিমুসহ আরও অনেকে। এছাড়াও আরও অনেক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব রয়েছেন ছাড়া এই প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। সবাই একটি দাবীই করছেন করছেন যাতে করে এ ঘটনার একটি সুষ্ঠু বিচার হয়।

 

দাম্পত্য সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর নারীর করণীয় কী?

স্বামী ও স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ দু’প্রকার- ক. জীবিত অবস্থায় বিচ্ছিন্ন হওয়া। খ. মৃত্যু দ্বারা বিচ্ছিন্ন হওয়া। উভয় অবস্থাতেই নারীর ওপর ইদ্দত ওয়াজিব, অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করা।

স্বামী ও স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ দু’প্রকার- ক. জীবিত অবস্থায় বিচ্ছিন্ন হওয়া। খ. মৃত্যু দ্বারা বিচ্ছিন্ন হওয়া। উভয় অবস্থাতেই নারীর ওপর ইদ্দত ওয়াজিব, অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করা।

এই ইদ্দতের কারণ হলো, একটি পরিপূর্ণ বিয়ে ভাঙ্গার পর তার শেষ সীমা নির্ধারণ করাই । দ্বিতীয়ত গর্ভ থেকে জরায়ু মুক্ত করা, যেন বিবাহ বিচ্ছিন্নকারী ব্যতীত অন্য কারও সহবাসের বিষয়টি তার সাথে সম্পৃক্ত না থাকে, যদি এটা না করা হয় তবে গর্ভের সন্তানে মিশ্রণ ঘটবে ও বংশ বিনষ্ট হবে।

এ ছাড়া ইদ্দত দ্বারা স্ত্রী সাবেক বিয়ে-বন্ধনের প্রতি সম্মান প্রদর্শনসহ, তালাকদাতা স্বামীর হকের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও বিচ্ছেদের কারণে শোক প্রকাশ করে।

মূল : ড. সালেহ ইবনে ফাওজান
ভাষান্তর : মাওলানা মনযূরুল হক

 

মাখনের ৭টি স্বাস্থ্য উপকারিতা

বছরের পর বছর যাবত মাখনকে ফ্যাটি ফুড হিসেবে হৃদরোগ ও স্থূলতার জন্য দায়ী করা হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি এটি স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। হ্যাঁ, এটি শুধু মুখরোচকই নয় স্বাস্থ্যকর ও বটে। মাখনের বিভিন্ন রকমের স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। মাখন সরাসরি পাউরুটির সাথে বা স্যান্ডউইচের সাথে খাওয়া যায়। আবার স্বাদ বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন রকম রান্নায় ও ব্যবহার করা যায়। মাখনের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিই চলুন।

১। খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, স্থূলতার সমস্যাটির সাথে ডেইরি প্রোডাক্ট গ্রহণের কোন সম্পর্ক নেই। মাখনে অ্যাক্টিভেটর এক্স নামক যৌগ থাকে যা দেহকে অত্যাবশ্যকীয় খনিজ উপাদান শোষণে সাহায্য করে। যখন আমাদের শরীর খনিজ উপাদান গ্রহণ করে তখন তা ক্ষুধা কমতে সাহায্য করে। মাখনে আয়োডিন, সেলেনিয়াম, লেসিথিন এবং লরিক এসিডের মত কার্যকরী খনিজ উপাদান থাকে।

২। মাখনে প্রয়োজনীয় ভিটামিন থাকে

মাখন ভিটামিন সমৃদ্ধ। এতে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি ও ভিটামিন ই থাকে যা ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে। আশ্চর্যজনকভাবে মাখনে অনন্য ভিটামিন কে২ থাকে যা চর্বিকে দ্রবণীয় করতে পারে। কে২ ভিটামিন প্রোস্টেট ক্যান্সার, হাড় ভাঙ্গা এবং করোনারি হার্ট ডিজিজের ঝুঁকি কমায়। মাখন খেলে নারীর উর্বরতা বৃদ্ধি পায়।

৩। লিনোলেইক এসিড থাকে

মাখনে লিনোলেইক এসিড নামক যৌগ থাকে। এটি শরীরের বিপাকের উপর প্রভাব বিস্তার করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও মাখনে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ফ্রি র‍্যাডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।

৪। স্বাস্থ্যকর স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে

বেশিরভাগ মানুষ মনে করে যে সব ধরণের স্যাচুরেটেড ফ্যাট খারাপ। কিন্তু অনেক গবেষণায় পাওয়া গেছে যে, এদের মধ্যে কিছু আছে শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয়ই না বরং অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। এই স্বাস্থ্যকর সম্পৃক্ত চর্বিগুলো ভালো কোলেস্টেরল HDL এর  বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই HDL কোলেস্টেরল ব্রেইন ও নার্ভাস সিস্টেমের ডেভেলপমেন্টে সহায়তা করে, বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে।

৫। ওমেগা ৩ ও ওমেগা ৬ ফ্যাটি এসিডের ভারসাম্য রক্ষা করে

মাখনে এরাকিডোনিক্স এসিড থাকে যা ব্রেইন ফাংশন, স্কিন হেলথ ও প্রোস্টাগ্লান্ডিনের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে।

৬। উলজেন ফ্যাক্টর থাকে

হরমোনের মতোই একটি কার্যকরী পদার্থ উলজেন ফ্যাক্টর। এটি জয়েন্টের শক্ত হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে, সেই সাথে আরথ্রাইটিস ও প্রতিরোধ করে। এছাড়াও এই উপাদানটি ক্যালসিয়ামকে জয়েন্টের চেয়ে হাড়ে জমা হতে সাহায্য করে। এটি শুধুমাত্র এ্যানিমেল ফ্যাট যেমন- ক্রিম বা দুধে পাওয়া যায়। তবে উলজেন ফ্যাক্টর কাঁচা মাখন এবং ননীতে পাওয়া যায়।

৭। বিটা ক্যারোটিন

মাখনে উচ্চমাত্রার বিটা ক্যারোটিন থাকে যা চোখের জন্য ভালো। এটি চোখের সুরক্ষায় অবদান রাখে। এছাড়াও কোষের বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করে, ছানির গতিরোধ করে, মেকুলার ডিজেনারেশন হওয়ার সুযোগ কমায় এবং চোখের অন্যান্য সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে।

সতর্কতা :  মাখনের এত পুষ্টি উপকারিতা সত্ত্বেও ভুলে গেলে চলবেনা যে এটি মূলত চর্বি জাতীয় খাদ্য।  অধিক পরিমাণে গ্রহণ করলে স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। তাই সীমিত পরিমাণে গ্রহণ করুন।

 

লিখেছেন-

সাবেরা খাতুন

 

প্রসূতি মায়েদের আপন হয়ে ওঠা এক ক্লিনিকের গল্প

হবিগঞ্জ:  মাত্র বছর দুয়েক পূর্বেও অযত্ন অবহেলায় পড়ে থাকতো স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি । নাম মাত্র স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হতো কেন্দ্রটি থেকে। অন্য রোগীদের মতো প্রসূতিরাও ছুটে যেতেন  শহরের দিকে। কিন্তু বদলে গেছে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সেবা। প্রসূতি সেবাদানে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি আজ এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে।

আলোচিত এই সেবা প্রতিষ্ঠানটি হলো হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার বহরা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। যেটি এখন শুধুই স্বাস্থ্য কেন্দ্র নয়, প্রসূতিদের কাছে নিরাপদ সন্তান প্রসবের এক আপন ঠিকানা। অল্প দিনে এর সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে দেশ জুড়ে। এখানে দিনে রাতে ২৪ ঘন্টা প্রসূতি মায়েরা আসেন নিরাপদে সন্তান প্রসবের জন্য। পরিছন্ন পরিবেশে বিনা খরচে সন্তান প্রসব শেষে হাসি মুখে বাড়ি ফিরে যান তারা। তাই এখন শুধু বহরা ইউনিয়নের প্রসূতিরাই নন, আশে পাশের ইউনিয়ন এবং উপজেলার প্রসূতিরাও আসেন এখানে সেবা নিতে।

পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক আহছানুল হক সুমন জানান, এক মাসে ১৭ শিশুর জন্মগ্রহণের সর্ব্বোচ্চ রেকর্ড গড়েছে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। হঠাৎ কীভাবে কার উদ্যোগে বদলে গেল স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির চিত্র?

সেই মানুষটি হলেন বহরা ইউনিয়ন পরিষদেরই চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন। বদলে যাওয়ার কথা চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন জানালেন, এর আগেও একবার তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তখনও এই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি এখানে ছিল কিন্তু সেবা কার্যক্রম নিয়ে তখন তিনি ততটা ভাবেননি। সর্বশেষ গত ইউপি নির্বাচনে তিনি আবার চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হয়ে ২০১৩ সালের শেষের দিকে ইউএসআইডি এর অর্থায়নে মা-মণি সীমান্তিক এর একটি  প্রকল্পের অধীনে এক কর্মশালায় যোগদান করার সুযোগ পান। ওই কর্মশালায় মা ও শিশু স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিশেষ করে নিরাপদ মাতৃত্ব নিয়ে যেসব আলোচনা হয়, তাতে তিনি বিশেষ ভাবে আকৃষ্ট হন।

সিদ্ধান্ত নেন নিজের ইউনিয়নে অবহেলায় পড়ে থাকা স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিকে সেবাবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তোলার। তিনি জানান, কর্মশালা ঘিরে পরিষদের সদস্যদের তার আগ্রহের কথা তুলে ধরলে তাঁরাও উৎসাহী হন। স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি মাধবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোঃ শাহজাহান ও স্বাস্থ্য সেবায় সহযোগী ওই বেসরকারী প্রতিষ্ঠানটির সহযোগিতা চান তিনি। তারা সকলেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। মা-মণি সীমান্তিকের পক্ষ থেকে রুবিয়া খাতুন নামের একজন প্যারামেডিক দেওয়া হয়। এছাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ থেকে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা মাহমুদা খাতুন, পরিবার পরিকল্পানা পরিদর্শক আহছানুল হক সুমন সহ কিছুসংখ্যক জনবল নিয়ে প্রথম দিকে কার্যক্রম শুরু হয়। ১টি বেড(সিট) দিয়ে কার্যক্রম শুরু হলেও এখন বেড সিটের সংখ্যা ৩টি।

স্বাস্থ্যকেন্দ্রে  ঢুকতেই চোখে পড়ে আশে পাশের পরিচ্ছন্ন ও দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ। ভেতরে ঢোকার পরে দেখা যায় সামনে খোলা মেলা বারান্দায় ৭-৮জন নারী। কারও কারও সঙ্গে আছেন পুরুষও । তাদের প্রত্যেকের কোলে বিভিন্ন বয়সের শিশু। কারও কোলে নবজাতক। এরই মধ্যে ভেতরের একটি কক্ষ থেকে ভেসে আসে নবজাতকের কান্নার আওয়াজ। কয়েক মিনিট পর কর্তব্যরত সেবিকা মাহমুদা আক্তার হাসতে হাসতে এগিয়ে আসেন নতুন তোয়ালে মোড়ানো ওই নবজাতককে কোলে। জানান দুইটা জমজ শিশু পৃথিবীর আলো দেখল দুজনই সুস্থ আছে।

কেমন লাগছে জানতে চাইলে সেবিকা মাহমুদা বলেন, অনেক ভালো। মায়ের গর্ভ থেকে সন্তান সুস্থ্যভাবে দুনিয়ায় এলে মা যেমন সব কষ্ট ভুলে যান, তেমনি আমাদের কাছেও খুব ভালো লাগে।

সেবা গ্রহণকারীদের বক্তব্য

উপজেলার বহরা ইউনিয়নের হরিপশাদপুরের তাছলিমা আক্তার জানান, গত কিছু দিন পূর্বে উপজেলা সদরের একটি বেসরকারী হাসপাতালে তাকে নিয়ে গেলে একজন নারী চিকিৎসক বলেন গর্ভের বাচ্চা নাকি উপরে উঠে গেছে দ্রুত অস্ত্রেপাচার করতে হবে। তিনি দুশ্চিন্তা নিয়ে বাড়ি ফেরেন পরদিন লোকমুখে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কথা শুনে এখানে আসেন। এখানে বিনা অস্ত্রপাচারে তার একটি ছেলে সন্তান প্রসব হয়। শুধু তাছলিমাই নন, সেবা নিতে আসা একই ইউনিয়নের শরিফা খাতুন, পলি আক্তার স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে বিনা অস্ত্রোপাচারে নিয়মিত সন্তান প্রসব করানোর কথা বলেন।

পরিবার কল্যাণ পরির্দশিকা মাহমুদা আক্তার জানান, পুরো ইউনিয়নের গর্ভবতী মায়েদের তথ্য রয়েছে তাদের কাছে। পরিবার পরিকল্পানা পরিদর্শক আহছানুল হক সুমন বলেন, মাঠ পর্যায়ে থাকা কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে গর্ভবতী মায়েদের নাম ঠিকানা ও মুঠোফোন নাম্বার নিয়ে আসেন। এর মাসিক বৈঠকে ওয়ার্ড ও গ্রাম ভিত্তিক গর্ভবতী মায়েদের আলাদা দুটি মানচিত্র তৈরি করা হয়। এসব সার্বক্ষনিক তদারক করেন ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন।

মাধবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ মোঃ শাহজাহান বহরা ইউনিয়নে অবহিতকরণ সভায় উপস্থিত থেকে প্রতিটি গর্ভবতী মাকে প্রসূতি সেবা নিতে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ করছেন। উপজেলার বহরা ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি প্রসূতি সেবায় মডেল হিসেবে দাঁড়িয়েছে। গত ৮ মাসে এ কেন্দ্রে ১০৩ জন মা নিরাপদ প্রসব করেছে।

২৪ ঘন্টা ক্লান্তিবিহীন সেবা

স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের সামনে আশে পাশের বাজারে সাইন বোর্ড লাগানো হয়েছে। যাতে লেখা রয়েছে, এখানে ২৪ ঘন্টা নরমাল ডেলিভারি করা হয়। সাইনবোর্ডের লেখা অনুযায়ী সেবা দানে কোন হেরফের হয়না। অনেক সময় গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠে সন্তান প্রসব করাতে হয় বলে জানালেন মা-মনি প্যারামেডিক রুবিয়া খাতুন।

বহরা ইউপি চেয়ারম্যান আলা উদ্দিন জানালেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সেবা কেন্দ্রটির জন্য সাধ্যমতো সহায়তা করা হয়। বিভিন্ন বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ ও উপজেলা পরিষদ থেকে যথেষ্ট সহযোগিতা পেয়েছেন। তবে তার ইচ্ছা একটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা।

মাধবপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আকিব উদ্দিন বলেন, বহরা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ  কেন্দ্রটি সারা দেশের জন্য একটি মডেল হিসাবে ইতিমধ্যে পরিচিতি পেয়েছে। উচ্চ পর্যায়ের অনেক কর্মকর্তাও এরই মধ্যে এ সফলতা দেখে গেছেন। একজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইচ্ছে করলে কী না করতে পারেন আলাউদ্দিন সাহেব তার এ উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

মাধবপুর উপজেলার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সেবা পর্যবেক্ষন করেছেন সেইভ দি চিলড্রেনের কান্ট্রিডিরেক্টর এলিজাবেধ পির্য়াস, সাবেক স্বাস্থ্য সচিব হুমায়ুন কবীর, মি: জবি জর্জ সিওপি এমসিএইচ আইপি, মিস কান্তা জামিল, মিস সিনো কুনিয়া, ডা: জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া উপ-পরিচালক পরিবার পরিকল্পনা হবিগঞ্জ, ডাঃ দেবপ্রদ রায়, সিভিল সার্জন হবিগঞ্জ এর নেতৃত্বে একাধিক প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

 

নারী চাকরিজীবীদের দ্রুত তৈরি হওয়ার উপায়

আজকাল পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও সমতালে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করছেন। ফলে কর্মক্ষেত্রে নারীদের পদচারণায় মুখরিত হচ্ছে। তবে রাজধানীর যান্ত্রিক জীবনের মাঝে অসহনীয় যানজটে প্রায়ই অফিসে পৌঁছতে দেরি হয়ে যাচ্ছে তাদের। এছাড়া সকালবেলা সংসারের যাবতীয় কাজকর্ম গুছিয়ে সঠিক সময়ে বাসা থেকে বের হওয়াটাও কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে কীভাবে সবকিছু বজায় রেখেও ঠিকমতো অফিসের উদ্দেশ্যে বের হওয়া যায় তার উপায় নিয়েই নিচে আলোচনা করা হলো :
রাতেই গুছিয়ে রাখুন : আগের দিন রাতেই ঠিক করুন পরের দিন অফিসে কি পরে যাবেন। সেইভাবে পোশাকের সাথে মিলিয়ে অনুষঙ্গগুলো গুছিয়ে রাখতে পারেন। তাহলে অফিসে যাওয়ার সময় খুব সহজেই তৈরি হতে পারবেন।

ছোট্ট মেকআপ পার্স : আপনার সাথে সব সময়েই ছোট্ট একটি মেকআপ পার্স রাখুন। সেখানে ফেস পাউডার, কাজল আর লিপস্টিক থাকবে। ঘরের থেকে সেজে বের হওয়ার সময় না পেলেও ট্রাফিক জ্যামে বসে অবসরটাকে কাজে লাগিয়ে ফেলতে পারেন নিজেকে একটু সাজিয়ে।

দীর্ঘস্থায়ী মেকআপ : কসমেটিকস কেনার সময়ে দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয় এমন প্রোডাক্ট কিনুন। যেগুলো খুব সহজেই নষ্ট হয়ে যায় কিংবা ঘামলেই গলে যায় এমন মেকআপ পরিহার করুন। এতে একবার মেকআপ করলে বহুক্ষণ ভালো থাকবে আপনার মেকআপ।

৫ মিনিটের হেয়ারস্টাইল : ইন্টারনেটে একটু খুজলেই অনেকগুলো সহজ হেয়ারস্টাইল আছে যেগুলো মাত্র ৫ মিনিটেও করে নেওয়া যায়। দীর্ঘক্ষণ ধরে চুল স্ট্রেইট করার সময় না পেলে এমন চট জলদি হেয়ার স্টাইল করে নিন। আর কিছু না হলেও একটি পনিটেল করে নিতে পারেন। এতে অনেক বেশি সময় চুলের পেছনে ব্যয় করতে হবে না। আবার চুলের যেই স্টাইল আপনার ফেসের সাথে মানানসই এমন একটি স্টাইল বেছে নিতে পারেন।

মেকআপ কৌশল শিখুন : চটজলদি মেকআপ করার জন্য কিছু মেকআপ কৌশল শিখে নিন। নারীদের মূল সময়টা সাধারণত আইলাইনার লাগাতে গিয়ে নষ্ট হয়। এক্ষেত্রে লিকুইড আইলাইনার ব্যবহার না করে পেন্সিল আইলাইনার ব্যবহার করুন। এতে আপনার চোখের মেকআপ নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হবে না। সেই সঙ্গে লিপগ্লস না লাগিয়ে চট জলদি ম্যাট লিপস্টিক লাগিয়ে নিন। তড়িঘড়ি বেজ তৈরির জন্য ভালো কোনো ব্র্যান্ডের সি সি ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। এটি একই সাথে সানস্ক্রিনের কাজও করবে এবং ত্বকের ছোটখাটো দাগ ঢেকে ফেলবে।

 

দেরিতে বিয়ে হলে ৭ মানসিক সমস্যায় ভোগেন মেয়েরা

শিরোনামটি পড়ে অনেকেই ক্ষেপে উঠতে পারেন। তবে সত্য এটাই যে, সমাজে এখনও একজন নারীর শেষ গন্তব্য ও সাফল্য বিবেচনা করা হয় বিয়ে ও সংসারকেই। আর তাই, একটি নির্দিষ্ট বয়সের মাঝে বিয়ে না হলে, বেশিরভাগ নারীই কিছু মানসিক সমস্যায় ভুগতে শুরু করেন। এমনকি যারা ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন নারী, তাদের মাঝেও দেখা যায় কিছু কিছু ব্যাপার। কখনও কাজ করে ঈর্ষা, কখনও সামাজিক চাপ, কখনও একাকীত্ব। সব মিলিয়ে অনেকেই নিজের মাঝে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন।

জেনে নিন এমন কিছু সমস্যা সম্পর্কে, যেগুলো তৈরি হয় বিয়ে দেরিতে হলে। সমস্যাগুলি চিহ্নিত করা গেলে সেটা থেকে বের হয়ে আসাও সহজ।

১) একাকীত্ব থেকে বিষণ্ণ হয়ে যাওয়া:
সমবয়সী সকল বোন বা বান্ধবীদের বিয়ে হয়ে গেছে, আর স্বভাবতই বিয়ের পর সকলেই নিজের পৃথিবী নিয়ে একটু বেশিই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এক্ষেত্রে যার বিয়ে হয়নি, তিনি হয়ে পড়েন একলা। প্রিয় বোন বা বান্ধবীদের খুব একটা কাছে পান না, কাটানো হয় না ভালো সময়। সবমিলিয়ে বিষণ্ণ হয়ে পড়েন, আর সেই বিষণ্ণতা থেকেই মনের মাঝে জন্ম নেয় হতাশা ও শূন্যতা। আর এই বোধ থেকে বের হয়ে আসার সেরা উপায় হচ্ছে নতুন বন্ধু বান্ধব তৈরি করা, যার কাছে আপনার জন্য পর্যাপ্ত সময় আছে।

২) নিজেকে অযোগ্য মনে করা:
সমবয়সী সকলে নিজের জীবন সঙ্গী পেয়ে গিয়েছে, আপনি হয়তো বারবার চেষ্টা করেও পারছেন না। হয়তো প্রেম সফল হয়নি, কিংবা পরিবার থেকে চেষ্টা করেও ফল হচ্ছে না। বিশেষ করে আমাদের দেশে পাত্রী দেখাবার প্রক্রিয়াটা খুব অপমানজনক। এক্ষেত্রে প্রত্যাখ্যাত হবার পর নিজেকে অনেকেই অযোগ্য মনে করতে শুরু করেন। এত অযোগ্য যে, কোন ছেলেরই তাকে পছন্দ হচ্ছে না। এমনটা ভাবা মানে অকারণেই নিজেকে ছোট করা। মনে রাখবেন, কোন পুরুষের আপনাকে পছন্দ হয়নি মানেই আপনি অযোগ্য নন। এটা নিয়ে কষ্ট পাবার কিছু নেই। সম্ভব হলে ঘটা করে পাত্রী দেখার আয়োজনটা এড়িয়ে যান, অনেকটাই স্বস্তি পাবেন।

৩) খুব কাছের বোন বা বান্ধবীর প্রতিও ঈর্ষা হওয়া:
এটাও খুব সাধারণ একটা আবেগ। আমরা মানুষ, এমনটা হতেই পারে আমাদের সাথে। খুব কাছের বোন বা বান্ধবীটি হয়তো এখন আর আপনাকে সেভাবে সময় দিতে পারেন না, নিজের সংসার নিয়েই ব্যস্ত ও সুখী। এমন অবস্থায় ঈর্ষার একটা বোধ খোঁচা দিতেই পারে আপনাকে। এক্ষেত্রে নিজেকে বিষয়টা বোঝান। প্রথমত এটা ভাবুন যে তার জীবনে মোটেও আপনার গুরুত্ব কমেনি। আর দ্বিতীয়ত, একদিন আপনারও এমন চমৎকার একজন জীবনসঙ্গী হবে, তাই মন খারাপের কিছুই নেই।

৪) বিয়ে করার জন্য তাড়াহুড়া করতে গিয়ে নিজেকে হাস্যকর করে ফেলা:
অনেক নারীই এই কাজটি করে ফেলেন নিজের অজান্তেই। আর তা হল, একটি বিয়ে করার জন্য “ডেস্পারেট” হয়ে যান। ক্রমাগত সামাজিক ও পারিবারিক চাপ থেকে এটা হয়। মনের মাঝে ক্রমাগত ঘুরতে থাকে যে “বয়স পার হয়ে যাচ্ছে”! আর এই পার হয়ে যাওয়া বয়সকে টেক্কা দিতে একজন জীবনসঙ্গীর জন্য আকুল হয়ে ওঠেন অনেকেই। বারবার ঘটকের কাছে যাওয়া, অফিসে বা পরিচিত মহলে নিজেকে পাত্রী হিসাবে উপস্থাপন ইত্যাদি করতে গিয়ে নিজেকে হাসি ও করুণার পাত্রে পরিণত করে ফেলেন তারা। আপনিও কি এমন করছেন? তাহলে জেনে রাখুন, এসব করে কেবল সামাজিক মর্যাদাতেই খাটো হচ্ছেন আপনি। এসবের তেমন কোন ফল নেই।

৫) চাপের মুখে ভুল মানুষকে বেছে নেওয়া:
ক্রমাগত পারিবারিক ও সামাজিক চাপের কারণে অনেক নারীই ভুল মানুষটিকে বেছে নেন বিয়ের জন্য। ব্যাপারটা এমন হয়ে দাঁড়ায় যে, যাকে সামনে পেলাম, তাকেই বিয়ে করে ফেললাম। কিংবা যে রাজি হল, তাকে পছন্দ না হলেও বিবাহের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যাওয়া। অনেকেই এই ব্যাপারটিকে ভালোবাসা ভেবে নিজেকে শান্তনাও দিতে চান। আবার অনেকে পরিবারকে খুশি করার জন্য নিজেকে রীতিমত চাপ দিয়ে বিয়েতে রাজি করায়। এই ভুলটি কখনও করবেন না। একটাই জীবন এবং এই জীবনে একটি ভুল বিয়ে আপনার অশান্তি কমবে না বরং বাড়বে।

৬) কারও ভালো সহ্য করতে না পারা:
এটাও একটি সাধারণ সমস্যা, যা অনেকের মাঝেই দেখা যায়। যখন বিয়ে না হবার কারণে একজন মানুষ ক্রমাগত হয়রানির শিকার হতে থাকেন৷ তখন স্বভাবতই তার মাঝে জন্ম নেয় ক্ষোভ ও ক্রোধ। আর এই ক্ষোভ ও ক্রোধের কারণেই বিবাহিত সকলকে মনে হতে থাকে শত্রু। নিজের অজান্তেই একজন খিটখিটে মানুষে পরিণত হয়ে যাই আমরা, যার কাছে পৃথিবীর কারও ভালোটা ভালো লাগে না। কারও সাফল্য বা সুখ সহ্য হয় না। এই ব্যাপারটা দূর করার জন্য কাউন্সিলিং ভালো কাজ দিতে পারে।

৭) আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলা:
এটাই কি স্বাভাবিক না? যে সমাজে একজন মেয়ের সফলতা বা বিফলতা নির্ভর করে তার স্বামী ও সংসারের স্ট্যাটাসের ওপরে এবং সঠিক সময়ে বিয়ে না হলে মেয়েটি হয়ে ওঠে সকলের চক্ষুশূল, সেই সমাজে বিয়েতে দেরি হলে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। যখন ক্রমাগত নিজের কাছের মানুষেরাই বলতে থাকে যে “তুমি এত অযোগ্য যে পাত্র জোটে না”, তখন অনেক নারীই নিজের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেন আর ক্রমশ গুটিয়ে নিতে থাকেন জীবন থেকে। ভুলেও এই কাজটি করবেন না। জীবন আপনার। আর আপনার জীবনে মাথা উঁচু করে আপনাকেই বাঁচতে হবে। একবার ঘাড় নুইয়ে ফেললেই পরাজিত আপনি।

ভালো থাকুন নারীরা। নিজেকে বিয়ের বা সংসারের মাপকাঠিতে মাপবেন না। আপনি মানুষ, নিজেকে মাপুন কেবল নিজের যোগ্যতার মাপকাঠিতে।

 

বাড়িতে থেকেই টাকা আয়ের কিছু উপায়

এখন প্রতিযোগিতার বাজার। প্রচুর ডিগ্রি নিয়ে কত মানুষ বেকার হয়ে বাড়িতে বসে রয়েছেন। কিন্তু চাকরি পাচ্ছেন না। আর ভালো ভালো ডিগ্রি নিয়ে বেকার বসে থাকায় কনফিডেন্সও হারাচ্ছেন। তাই চাকরি না পেলেও এত ভেঙে পড়বেন না। আয় করার আরও অনেক পথ খোলা রয়েছে। অনেক মানুষ চাকরি না করেও আয় করে বেঁচে রয়েছেন। কীভাবে বাড়িতে বসে টাকা আয় করবেন, তার কয়েকটি উপায় বলে দেওয়া হল।

১) কনটেন্ট রাইটার:
এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা লিখতে ভালোবাসেন। অনেক কোম্পানি রয়েছে, যারা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের জন্য লোক চায়। যারা ইংরেজিতে ভালো, তারা সেই সমস্ত জায়গায় চেষ্টা করতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনার আয়টাও মন্দ হবে না।

২) পেট ক্রেশ:
আপনি কি পোষ্য পছন্দ করেন। তাহলে আপনার জন্য খুবই ভালো একটি কাজের সুযোগ রয়েছে। নিজের বাড়িতে কিংবা কিছুটা বড় জায়গা ভাড়া নিয়ে পেট ক্রেশ খুলতে পারেন। পোষ্যদের দেখভালের জন্য প্রতি ঘণ্টা কিংবা দিনের হিসেবে পারিশ্রমিক নিন। এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা বেড়াতে যাওয়ার জন্য কিংবা সঠিক দেখভালের জন্য তাদের পোষ্যকে এমন একটা জায়গায় রেখে যেতে চান, যেখানে তারা নিরাপদে থাকবে। আপনি সেই সমস্ত পোষ্যদের দেখভালের কাজ করুন। আর বিনিময়ে টাকাও আয় করুন।

৩) কাউন্সিলিং:
আপনি যদি ভালো কাউন্সিলর হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার বাইরে চাকরি করার কোন প্রয়োজন নেই। বাড়িতেই চেম্বার খুলতে পারেন। আর সেখানে শিশু থেকে বৃদ্ধ সমস্ত মানুষের কাউন্সিলিং করুন।

৪) ইউটিউব:
ইউটিউব শুধু সিনেমা দেখা কিংবা গান শোনার জন্যই নয়। ইউটিউব থেকে টাকাও আয় করা যায়। ইউটিউবের ভিডিও আপলোড করে আপনিও টাকা আয় করতে পারেন। আপনার কাছে যদি যে কোন বিষয়ের ওপর ভালো ভিডিও থাকে, তাহলে আপনি সেটা ইউটিউবে আপলোড করে টাকাও আয় করতে পারবেন।

৫) গ্যারাজ:
আপনার বাড়ি যদি শহরের মধ্যে হয়, আর আপনার বাড়িতে যদি বেশ খানিকটা জায়গা থাকে, তাহলে আপনি নিজের বাড়িতেই একটা গ্যারাজ খুলতে পারেন। অনেক মানুষ আছেন, যারা গাড়ি নিয়ে কাজের জায়গায় যান। আবার এমন অনেক মানুষ আছেন, যাদের বাড়িতে গাড়ি রাখার জায়গা নেই। তাদের গাড়ি আপনি আপনার গ্যারাজে রেখে দিলেন। আর তার পরিবর্তে ঘণ্টা কিংবা দিনের হিসেবে ভাড়া নিলেন।