banner

শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

ইস্ত্রি না করে যেভাবে কাপড়ের কুঁচকানোভাব দূর করা যায়

জামাকাপড় কুঁচকে গেলে খুব খারাপ দেখায়। বিশেষ করে অফিস কাছারিতে যাওয়ার আগে নজরে আসে কুঁচকে যাওয়া শার্ট। অনেকের বাড়িতে ইস্তিরি থাকে না, অনেকে ইস্তিরি করতে পারেন না। কিন্তু তাতে কী, নিমেষের মধ্যে পোশাকের কুঁচকানোভাব দূর করতে পারবেন বিকল্প উপায়ে। রইল তারই কিছু টিপস্ –

১. পোশাকের কুঁচকানো দাগগুলি দূর করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন হেয়ার স্ট্রেইটনার। তবে ব্যবহারের সময় স্ট্রেইটনারের তাপ যাতে বেশি না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। অবশ্যই স্ট্রেইটনার পরিষ্কার করার পরই ব্যবহার করুন।

২. কাজে লাগাতে পারেন হেয়ার ড্রায়ারও। হ্যাঙারে শার্ট বা ড্রেস রেখে হেয়ার ড্রায়ারটি চালিয়ে দিন। ড্রায়ারের উষ্ণ বাতাস কাপড়ের কুঁচকানো দাগ দূর করে দেবে।

৩. একটি স্প্রে বোতলে জল নিয়ে পোশাকের উপর স্প্রে করে দিন। হ্যাঙারে ঝুলিয়ে শুকতে দিন কিছুক্ষণ। তারপর দেখুন সব দাগ কেমন দূর হয়ে গেছে। দেখবেন, আর মনেই হবে না জামাটি ইস্তিরি করা নয়।

৪. যখন স্নান করছেন বা হট ওয়াটার বাথ নিচ্ছেন, হ্যাঙারে করে শার্টটি ঝুলিয়ে রাখুন। উষ্ণতা কাপড়ের কুঁচকানোভাব দূর করবে।

৫. পোশাক কুঁচকে গেলে, সেই পোশাকটি ও কয়েকটি বরফের টুকরো ড্রায়ারের মধ্যে দিয়ে দিন। ড্রায়ারটি চালু করে দিন। তাতে বরফ গলে কাপড়ে সব জল শুষে নেবে। ড্রায়ারের তাপ সেই জল বাষ্পে পরিণত করবে। কাপড়ের কুঁচকানো দাগ দূর করবে।

 

সপ্তাহের ৭ দিনের ইবাদতপূর্ণ নফল নামাজ

সালাতের আভিধানিক অর্থ হলো দোয়া, রহমত, ইস্তিগফার ইত্যাদি। ইসলামে নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। রাসূল (সা.) বলেছেন, কুফরি এবং মুমিনের মধ্যে পার্থক্য হলো নামাজ।

নামাজ আদায়ের বহু উপকারিতা ও ফজিলত রয়েছে। এ সব ফজিলত ও উপকার নফল ও ফরজ উভয় ইবাদতের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। মুসলমান হিসেবে আমাদেরকে ফরজ নামাজ অবশ্যই পড়তে হয়। কিন্তু ফরজের পাশাপাশি এমন কিছু নফল নামাজ রয়েছে যা পড়লে উভয় জাহানে ব্যাপক কল্যাণ অর্জন সম্ভব।

শনিবার রাতের ও দিনের নফল নামাজ
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) ও হজরত মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, শনিবার রাতে চার রাকাত নফল নামাজ রয়েছে। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি শনিবার দিন চার রাকাত নফল নামাজ আদায় করবে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য ৭০ হাজার ফেরেশতা পাঠাবেন, যারা কিয়ামত পর্যন্ত তার জন্য দোয়া করতে থাকবে এবং কিরামান কাতেবিন তার জন্য শহীদের সওয়াব লিখতে থাকবে; সমুদ্রের ফেনা ও আকাশের তারকা সমান তার গোনাহ থাকলেও তা মাফ করে দেওয়া হবে।

রোববারের নফল নামাজ
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, রোববার চার রাকাত নফল নামাজ আদায় করবে।

সোমবারের নফল নামাজ
হজরত আবু উমামা (রা.) বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি সোমবার দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করবে, সে অসংখ্য সওয়াবের অধিকারী হবে। হজরত উমর (রা.) বলেন, যে ব্যক্তি সোমবার দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করবে, তার জীবনের সব পাপ মাফ করে দেয়া হবে।

মঙ্গলবার রাতের ও দিনের নফল নামাজ
হজরত সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, মঙ্গলবার রাতে ছয় রাকাত নফল নামাজ আছে। হজরত আনাস (রা.) বলেন, মঙ্গলবার দিনে ১০ রাকাত নফল নামাজ রয়েছে। হজরত মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) বর্ণনা করেন, মঙ্গলবার সূর্য ওঠার পর চার রাকাত নফল নামাজ পড়বে।

বুধবার রাতের ও দিনের নফল নামাজ
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, বুধবার রাতে চার রাকাত নফল নামাজ আছে। হজরত মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় চার রাকাত নফল নামাজ পড়বে। হজরত আনাস (রা.) বলেন, বুধবার দিনে চার রাকাত নফল নামাজ রয়েছে।

বৃহস্পতিবারের নফল নামাজ
হজরত মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, বৃহস্পতিবার আট রাকাত নফল নামাজ পড়বে। হজরত আনাস (রা.) বলেন, বৃহস্পতিবার আট রাকাত নামাজ রয়েছে।

জুমার রাতের নফল নামাজ
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, শবে জুমুআ বা জুমার রাতে (বৃহস্পতিবার বাদ এশা) দুই রাকাত নফল নামাজ পড়বে। এই নামাজ বিশেষ ফলপ্রদ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার রাতে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়বে, তার পঠিত প্রতিটি হরফে আলোর জ্যোতি তৈরি হবে। সেই আলো হাশরের দিন তার সামনে সামনে দৌড়াবে। তার আমলনামা ডান হাতে দেয়া হবে। দোজখ থেকে তাকে নিষ্কৃতি দেয়া হবে। সে ৭০ জন সগোত্রীয় পাপীর জন্য সুপারিশ করতে পারবে।

শুক্রবারের নফল নামাজ
জুমার দিনে মসজিদে গিয়ে চার রাকাত নফল নামাজ পড়া মুস্তাহাব। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, জুমার দিনে মসজিদে গিয়ে চার রাকাত নফল নামাজ পড়লে ওই নামাজির জান, মাল, সন্তান, পরিজন এবং দুনিয়া ও আখিরাতের সম্পদ আল্লাহ তা’আলা অনিষ্ট থেকে রক্ষা করবেন।

 

আইনুন্নাহার: সফলতার আদর্শ

ময়মনসিংহের একজন সফল নারী উদ্যোক্তা আইনুন্নাহার। ২০০৩ সালে একটি সেলাই মেশিন নিয়ে শুরু করেছিলেন সেলাই কাজ। ১৩ বছরের পথচলায় তিনি এখন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে অনেকের আদর্শ। আইনুন্নাহারের নিজের কাজের পরিধি দেশের সীমানা ছাড়িয়ে গিয়েছে। তাঁর উদ্যোগের জন্য তিনি অর্জন করেছেন স্বীকৃতি ও সম্মাননা।
২০০৩ সালে আইনুন্নাহার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অধীনে সেলাই প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণে প্রথম হয়ে তিনি একটি সেলাই মেশিন পান। ময়মনসিংহ শহরের ভাড়া বাড়িতে শুরু করেন সেলাই কাজ। প্রথমে পরিবার, স্বজন ও প্রতিবেশীদের পোশাক তৈরি করে দিতেন। টাকাপয়সার চিন্তা মাথায় খুব বেশি ছিল না। কেউ খুশি হয়ে যা দিত তাতেই খুশি। ইচ্ছা ছিল বড় কিছু করার। এভাবে কেটে যায় চার বছর। চার বছরে আইনুন্নাহারের সেলাইয়ের কথা ছড়িয়ে পড়ে শহরের বিভিন্ন এলাকার নারীদের মধ্যে। আসতে শুরু করে নারী ও শিশুদের পোশাকের কাজের ফরমাশ। একা তিনি করতে পারছিলেন না। দরকার কয়েকজন কর্মী। আইনুন্নাহার কর্মী নিয়োগ না নিয়ে ২০ জন নারীকে নিয়ে নিজের বাড়িতেই আয়োজন করেন প্রশিক্ষণ। তিন মাসের বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ শেষে ৫ জনকে রেখে দেন নিজের সঙ্গে।
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চারজনকে নিয়ে শুরু হয় আইনুন্নাহারের বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পোশাক তৈরি। ক্রমে বাড়তে থাকে কাজের পরিধি। নারী ও শিশুদের জন্য পোশাক তৈরি করে প্রথমে ময়মনসিংহের বিভিন্ন দোকানে সরবরাহ করতে শুরু করেন। এর মধ্যে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত পোশাক তৈরির কাজ পেয়ে যান। বেড়ে যায় তাঁর কর্মী ও কাজ।
২০০৯ সালের ময়মনসিংহের উন্নয়ন সংস্থার আসপাডা পরিবেশ উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক আবদুর রশিদ একদিন আইনুন্নাহারের কাজ দেখে মুগ্ধ হন। তিনি বিনা সুদে ৫০ হাজার টাকা ঋণ দেন। পরে আইনুন্নাহার শুরু করেন নারী কর্মী তৈরির কাজ। আয়োজন করেন প্রশিক্ষণের। এরপর থেকে প্রতিবছর চলে চারটি ব্যাচের প্রশিক্ষণ। প্রতি ব্যাচে ৩০ জন করে নারী বিনা মূল্যে সেলাই ও বুটিকের কাজের প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন।
২০১৩ সালে নারী উন্নয়ন অধিদপ্তরের নিবন্ধন নিয়ে আইনুন্নাহার প্রতিষ্ঠা করেন তৃণমূল নারী উন্নয়ন সমিতি। বর্তমানে এই সমিতির মাধ্যমে নিয়মিত চলে নারীদের সেলাই প্রশিক্ষণ। প্রতিবছর বের হয়ে আসছেন অনেক দক্ষ নারী কর্মী। যাঁরা পরবর্তী সময়ে নিজেরাই উদ্যোক্তা হয়েছেন। আইনুন্নাহারের রয়েছে তৃণমূল কারুপণ্য নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এখানে তৈরি হয় ব্লক ও বুটিকের পোশাক। ময়মনসিংহ ছাড়াও ঢাকার রাপা প্লাজায় ‘জয়িতা’ নামের রয়েছে তাঁর একটি দোকান। রয়েছে ওই সব পণ্যের চাহিদা। দেশের বিভিন্ন মেলায় উদ্যোক্তা হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। দেশের বাইরে ভারতে দুবার, নেপালে একবার মেলায় স্টল নিয়েছে আইনুন্নাহারের তৃণমূল কারুপণ্য। চলছে চীনের মেলায় অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি। বর্তমানে আইনুন্নাহারের অধীনে কাজ করছেন ১৬০ জন নারী ও পুরুষ।
উদ্যোক্তা হিসেবে ১৩ বছর কাজ করে পেয়েছেন বিভিন্ন সম্মাননা ও স্বীকৃতি। উল্লেখযোগ্য পদকগুলো হলো ২০১০ সালে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে যুব উন্নয়ন থেকে পুরস্কার ও সম্মাননা। ২০১৩ সালে ময়মনসিংহ সদর উপজেলা, ময়মনসিংহ জেলা ও ঢাকা বিভাগীয় পর্যায়ে ‘জয়িতা’ পুরস্কার লাভ। এ ছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে তিনি উদ্যোক্তা হিসেবে পেয়েছেন বেশ কিছু পুরস্কারের স্বীকৃতি। নারীদের দক্ষ কর্মী ও উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন নারী উন্নয়ন ফোরাম। বর্তমানে এটির নিবন্ধন-প্রক্রিয়া চলমান আছে। আইনুন্নাহার বলেন, ‘পড়াশোনা শেষে ইচ্ছা ছিল, চাকরি না করে নিজে কিছু করব। পাশাপাশি আমাদের সমাজের নারীদের কর্মী হিসেবে স্বাবলম্বী করা যায় এমন ভাবনা ছিল। সেই চিন্তা নিয়ে আস্তে আস্তে আমি অগ্রসর হয়েছি। নারী উন্নয়ন ফোরাম করে আমি নারীদের উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে ব্যাংক লোনসহ অন্যান্য সুবিধা দেওয়ার জন্য কাজ করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার পথচলায় স্বামী খোন্দকার ফারুক আহমেদসহ অনেকের অকৃত্রিম সহযোগিতা থাকায় কাজ করতে সুবিধা হয়েছে।’

 

আলো ছড়াচ্ছেন নূরজাহান

‘আপন আলোয় উদ্ভাসিত এক মানুষ নূরজাহান আক্তার। সুযোগ পেলে তিনিও হয়তো জ্বলে উঠবেন অনেকের মতো।’ ২০১১ সালের ২৭ জুলাই ‘আলোর পথে নূরজাহান’ প্রতিবেদনের শুরুটা ছিল এমনই। তিনি সুযোগ পেয়েছেন এবং সবাইকে অবাক করে জ্বলে উঠেছেন আত্মপ্রত্যয়ে। সেই নূরজাহান আক্তার এখন কাজ করছেন এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের মোটর ভেহিকেল ডিভিশনে ডকুমেন্টেশন অফিসার হিসেবে।
নূরজাহানের জীবনের শুরুটা এমন ছিল না। জীবনযুদ্ধে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। সুবিধাবঞ্চিত এই নারীকে চাকরির সুযোগ দেয় প্রতিষ্ঠানটি। ২০১২ সাল থেকে তিনি এখানে কাজ করছেন।
নূরজাহান এখন আলোকবর্তিকা হয়ে উঠেছেন তাঁর পরিবারে, তাঁর কর্মস্থলে।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের মেয়ে নূরজাহান। ‘চাকরির জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছিলাম। অথচ কোনো চাকরি পাচ্ছিলাম না।’ একটু থেমে আবার বলতে শুরু করেন নূরজাহান। ‘কী করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। রাতে ঘুম আসত না নিজেদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে। ’

অন্যের আশ্রয়ে থেকে যেখানে জীবনধারণ কঠিন হয়ে পড়ে, সেখানে নূরজাহান চালিয়ে গেছেন পড়াশোনা। এর পেছনে রয়েছে মা সালেহা বেগমের অবদান। নিজে পড়াশোনা না জানলেও মেয়েকে শিক্ষার সুযোগ করে দিয়েছেন। আর একজনের নাম না বললেই নয়। তিনি আশ্রয়দাতা শাহজাহান মোহাম্মদ মহিউদ্দিন; যাঁর সহযোগিতায় নূরজাহান মিরপুর বাঙলা কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর পাস করেছেন।

এনার্জিপ্যাকের মানবসম্পদ বিভাগের উপব্যবস্থাপক কাজী জান্নাতুল মাহ্ফুজা জানালেন নূরজাহানের কাজের ব্যাপারে। তিনি বললেন, ‘আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন নূরজাহানের চাকরির ব্যবস্থা করা। আর এটা সম্ভব হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ূন রশীদের চেষ্টায়। এনার্জিপ্যাক সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সব সময় সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে চায়, হতে চায় আলোর পথের যাত্রীদের সহযোগী।’

১৭ এপ্রিল নূরজাহানের বাগদান হয়েছে সরকারি চাকরিজীবী নূরে আলম সিদ্দিকীর সঙ্গে। নূরজাহানের চোখে এখন অনেক স্বপ্ন। সে স্বপ্ন কেবল নতুন সংসার বা নিজের পেশাজীবন নিয়ে নয়। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী কোনো সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান নূরজাহান। কাঁধে তুলে নিতে চান তাঁদের দায়িত্ব। হতে চান তাঁদের এগিয়ে চলার সহযাত্রী।

 

নারীদের তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ হওয়ার পরামর্শ চুমকির

পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরও তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।
মঙ্গলবার রাজধানীর বেইলি রোডে জাতীয় মহিলা সংস্থার বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অডিটরিয়ামে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাস্তবায়িত জেলাভিত্তিক মহিলা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ (৬৪ জেলা) প্রকল্পের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ পরামর্শ দেন।
 তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীকে তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ করতে না পারলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়। নারীর পূর্ণ ক্ষমতায়ন তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞান ছাড়া সম্ভব নয়।
জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মমতাজ বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব নাছিমা বেগম এবং জেলাভিত্তিক মহিলা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রকল্পের পরিচালক কবি মো. ফয়সাল শাহ বক্তব্য রাখেন।