Daily Archives: May 1, 2025
কেমন হওয়া উচিত একজন নারীশ্রমিকের কর্মক্ষেত্র?
নারীবান্ধব পরিবেশ হওয়ার কারণে কর্মক্ষমতাও বেড়ে যাবে বহুগুণ, ফলে রাষ্ট্রের অর্থনীতির চাকা আরো সচল হবে । পাশাপাশি সমাজ থেকে ইভটিজিং, এসিড ও ধর্ষণের মত অপরাধ অনেক কমে আসবে । নারী পুরুষ আলাদা কর্মক্ষেত্রে থাকায় অনৈতিক সম্পর্কের সুযোগ কমে আসাবে ফলে পারিবারিক বন্ধন আরো দৃঢ় হবে । সর্বোপরি আল্লাহব হুকুম ফরজ পর্দা পালন করার মাধ্যমে ইহ ও পারলৌকিক সমৃদ্ধিতে বলিয়ান হবেন নারী শ্রমীক ।
বাংলাদেশের শিল্প কারখানায় নানা পেশায় ক্রমশ জড়িয়ে পরছে নারী শ্রমিক, পোশাক শিল্পের সাথে জরিত শ্রমিকের মধ্যে প্রায় ৭৫/৮০ ভাগ নারীশ্রমিক । যে নারী বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা টেনে নিয়ে যাচ্ছে তার জন্য প্রথম প্রয়োজন নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশ , প্রয়োজন আলাদা কর্মক্ষেত্রের। যা তার জন্য পর্দার ফরজ হুকুম যথাযথ পালনের পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দে কাজ করার পরিবেশ সৃষ্টি করবে। পুরুষ নিয়ন্ত্রিত এই সব কর্মক্ষেত্রে নারিশ্রমিক প্রায়ই নিগৃহীত হচ্ছেন নানাভাবে । বৈতনিক অসমতা থেকে শুরু করে পুরুষ শ্রমিক দ্বারা মৌখিক ও শারিরিকভাবেও লাঞ্চিত হতে হচ্ছে অহরহ । পুরুষ শ্রমিকদের সাথে একই প্লাটফর্মে কাজ করার কারণে মানসিক চাপে ভোগেন অধিকাংশ নারীশ্রমিক । নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশার সুযোগ থাকার কারণে শ্রমিকরা প্রায়শই জড়িয়ে যাচ্ছেন অনৈতিক সম্পর্কে। এতে সমাজের পারিবারিক অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে । অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে অনেকের ভবিষ্যৎ । অনেক সন্তান বাবা-মা হারিয়ে আর্তের মত জীবন যাপন করছে । ফলে সমাজে ইভটিজিং, এসিড, ধর্ষণের মত অপরাধ আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাচ্ছে। চলমান এ অবস্থার পরিবর্তন এখন সময়ের দাবি । প্রয়োজন নারীশ্রমিকের জন্য নারী-বান্ধব আলাদা কর্মক্ষেত্র।
নারীশ্রমিকের জন্য কর্মবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে যা করা প্রয়োজন : ১. নারী শ্রমিকদের জন্য আলাদা শেডের ব্যাবস্থা করা। ২. মহিলা শ্রমিকদের জন্য মহিলা সুপারভাইজার, ইনচার্জ, ম্যানেজারের ব্যাবস্থা করা । ৩. উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যাবস্থা করা ও ভারী কাজ থেকে বিরত রাখা । ৪. উপযুক্ত আবাসন ও প্রয়োজনীয় পরিবহনের ব্যাবস্থা । ৫. মহিলা চিকিৎসকের মাধ্যমে নিয়মীত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা । ৬. অসুস্থতাকালীন সময়ে কাজের চাপ কমিয়ে দেয়া । ৭. হাতের নাগালে পর্যাপ্ত খাবার পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের ব্যাবস্থা রাখা । ৮. পরিচ্ছন্ন খাবার ঘর ও নামাজ ঘরের ব্যাবস্থা রাখা । ৯. বিনোদন, সাপ্তাহিক তালিম , কোরআন ও প্রয়োজনীয় মাস’আলা মাসায়েল শিক্ষার ব্যাবস্থা করা । ১০. প্রসূতিকালীন ছুটি, বেতন ভাতা প্রদান ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রদান । ১১. বাচ্চা লালন-পালনের জন্য অভিজ্ঞ বেবি সিটারের ব্যাবস্থা করা । ১২. দুগ্ধদাতা মায়ের জন্য উপযুক্ত ব্যাবস্থা প্রদান । ১৩. সার্বিক নিরাপত্তা বিধান ও উপযুক্ত পারিশ্রমিক প্রদান । ১৪. নারী কন্যা, জায়া, জননি। শিক্ষিত নারী যেমন শিক্ষিত জাতি উপহার দেয় তেমনি বর্তমানে রাষ্ট্রের অর্থনীতির বোঝাও টেনে চলেছে একজন নারীই । নারীর জন্য যদি নারীবান্ধব আলাদা কর্মক্ষেত্র দেয়া সম্ভব হয় তবে নারীর আংশগ্রহণ আরো বাড়বে । নারীবান্ধব পরিবেশ হওয়ার কারণে কর্মক্ষমতাও বেড়ে যাবে বহুগুণ, ফলে রাষ্ট্রের অর্থনীতির চাকা আরো সচল হবে । পাশাপাশি সমাজ থেকে ইভটিজিং, এসিড ও ধর্ষণের মত অপরাধ অনেক কমে আসবে । নারী পুরুষ আলাদা কর্মক্ষেত্রে থাকায় অনৈতিক সম্পর্কের সুযোগ কমে আসাবে ফলে পারিবারিক বন্ধন আরো দৃঢ় হবে । সর্বোপরি আল্লাহব হুকুম ফরজ পর্দা পালন করার মাধ্যমে ইহ ও পারলৌকিক সমৃদ্ধিতে বলিয়ান হবেন নারী শ্রমীক ।
সুতি পোশাক যে কারণে সেরা
প্রচন্ড গরম এখন চারিদিক। তাপমাত্রার বাড়তি চাপে জীবন যখন অতিষ্ঠ। তা বলে বাড়িতে বসে থাকা যায় না। স্কুল, কলেজ, অফিস, জরুরি কোনও কাজে বাইরে যেতেই হয়। গরমকালে রোদের তাপ এড়াতে প্রয়োজন সঠিক পোশাকের। এমন জামাকাপড় বেছে নিতে হবে, যা বেশ আরামদায়ক। এই সময়ে সুতির জামাকাপড়ই সবচেয়ে ভালো।
১. গরমে শরীরে প্রচণ্ড পরিমাণ ঘাম হয়। এর হাত থেকে বাঁচতে সাহায্য করবে সুতির পোশাক।
২. সুতির জামাকাপড়ে হাওয়া চলাচল ভালো হয়। যা শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।শরীর ঠান্ডা রাখে।
৩. সুতির জামাকাপড় বেশ হালকা হয়। গরমকালে এমন হালকা পোশাক পরাই ভালো।
৪. সুতির জামাকাপড় সূর্যের তেজ শুষে নেয়। তাই গরম লাগার কোনও প্রশ্নই নেই।
৫. গরমকাল মানেই শরীরে ঘামাচি, অ্যালার্জি। জ্বালা যন্ত্রণায় ভুগতে হয়। এমন পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে সুতির পোশাক ব্যবহার করা ভালো।
৬. কড়া রোদের হাত থেকে বাঁচতে বেছে নিতে হবে ফুলহাতা সুতির জামা। তাতে বেশি গরমও লাগবে না। হাতে ট্যান পড়ার ভয়ও থাকবে না।
উদ্বিগ্নতা যেভাবে নেতৃত্ব গুন বাড়ায়
বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব নারী ব্যবসায়ীদের
চলতি অর্থবছরের ন্যায় আগামী বাজেটে (২০১৬-১৭) নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ১০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব দিয়েছে নারী ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (বিডব্লিউসিসিআই)।
একইসঙ্গে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য জাতীয় টাক্সফোর্স গঠন, সবক্ষেত্রে ৪ শতাংশ ভ্যাট ও সিআইপি নির্ধারণে আলাদা কোটা রাখাসহ ৩১টি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে।
সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় সংগঠনটির সভাপতি সেলিমা আহমাদ এসব প্রস্তাব করেন।
সেলিমা আহমাদ বলেন, বাংলাদেশের জন্য তৃণমূল নারী উন্নয়ন জরুরি। অর্থমন্ত্রী নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আলাদা ঋণের ব্যবস্থা করেছেন। তাই চলতি অর্থবছরের মতো এবারও জাতীয় বাজেটে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ১০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ চলমান রাখা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, একইসঙ্গে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ট্রেড লাইসেন্স ফি পূর্বের হারে ফিরিয়ে আনতে হবে। তা না হলে নতুন উদ্যোক্তা এগিয়ে আসবে না। নারী উদ্যোক্তারা অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে থাকেন। ব্যবসা করতে গিয়ে মূসক, আয়কর দিয়ে দিন শেষে তাদের লাভের খাতা একেবারেই শূন্য থাকে। এ কারণে ব্যবসায় নারীদের অংশগ্রহণও অনেক কম।
নারীদের ব্যবসায় অন্তর্ভুক্ত করতে সর্বাবস্থায় ৪ শতাংশ ভ্যাট রাখা, নারীদের ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়কর সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আয় ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত রাখা ও মেশিনারি আমদানিতে কর মওকুফ করার প্রস্তাব করেন তিনি।
নারী উদ্যোক্তাদের হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়ে বিডব্লিউসিসিআই সভাপতি বলেন, নারীদের জন্য দেশের সব জায়গায় ব্যবসা সহজ নয়। এজন্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাগুলোতে নিবন্ধন ফ্রি ও পাঁচ লাখ টাকার পণ্য ফি ছাড়া প্রবেশের সুযোগ দেওয়া দরকার। এছাড়া নারী উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ, উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানকে রেয়াদ দেওয়া, সিআইপি নির্ধারণে নারী উদ্যোক্তা কোটা রাখার প্রস্তাব করছি।
নারী উদ্যোক্তারা তাদের পণ্য আমদানি ও রপ্তানিতে অনেক সময় কাস্টমসে হয়রানির শিকার হন। তাই নারী উদ্যোক্তাদের পণ্য আমদানি ও রপ্তানিতে অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া দরকার বলে জানান তিনি।
সেলিমা আহমাদ বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সব ব্যাংকে ১৫ শতাংশ এসএমই লোন নির্ধারণ করে দেওয়া দরকার। সব কর্মাসিয়াল ব্যাংকে কমপক্ষে তিন শতাংশ পল্লী ঋণের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি পৃথক ব্যাংক প্রতিষ্ঠা ও সুদের হার ৭-৮ শতাংশ নির্ধারণ করা প্রয়োজন।
প্রাক-বাজেট আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান।