banner

শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে হয়ে উঠুন আরো বেশি দক্ষ

হাতে অনেক কাজ? কোনটা করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না? সমস্যাটা কেবল আপনার একার নয়। এই ধরনের ঝামেলায় পড়তে হয় নিত্যদিন আপনি আমিসহ আরো অনেককেই। অনেক অনেক কাজের ভীড়ে একে তো কোন কাজই ঠিকমতন করা হয় না। তারওপর পুরো ব্যাপারটা গুবলেট করে দিয়ে যায় আমাদেরই করা কিছু কর্মকান্ড। চলুন দেখে আসি এমনই কিছু ব্যাপারকে যেগুলো বাদ দিতে পারলে খুব সহজেই নিজের কর্মদক্ষতা বাড়াতে পারবেন আপনি।

১. একসাথে সব কাজ করা

অনেকসময় দেখবেন একজন মানুষ  অফিসের এক টেবিল থেকে আরেক টেবিলে দৌড়ে বেড়াচ্ছে। না পাচ্ছে কোন কাজে ঠিকঠাকভাবে মন দেওয়ার সুযোগ, না একটু শান্তিতে নিঃশ্বাস ফেলার অবসর। কী ভাবছেন? একসাথে অনেক কাজ হাতে নেওয়া এই মানুষগুলোই আসলে সফল? তারাই বুঝি অনেককিছু করে ফেলতে পারছে তাড়াতাড়ি? একটু গভীরে তলিয়ে দেখলেই বুঝতে পারবেন যে, আসলে এরা কিন্তু মোটেও এগোতে পারছেনা। বরং সব কাজ করতে গিয়ে আটকে যাচ্ছে একটা জায়গাতেই। তাই একটা সময়ে কেবল একটা কাজই করতে চেষ্টা করুন। এটাতো সত্যি যে, একটা কাজে সফল হতে হলে অন্যগুলোকে তখনকার মতন না বলে দিতে হবে আপনার। তাই মনযোগ একদিকে রাখুন।

২. অন্যের কাজে হাত দেওয়া

আপনার পাশের ডেস্কে বসে কেউ কোন একটা কাজ করছে, হঠাত্ মনে হল নাহ! ও কাজটা ঠিক করে করতে পারছেনা। এই ভেবে নিজেই হয়তো আপনি চলে গেলেন সেটাকে নিজের মতন করে ঠিক করে দেওয়ার জন্যে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে, আপনার এই অভ্যাসই আপনাকে থামিয়ে দিতে পারে কর্মক্ষেত্রে? পেছনে নিয়ে যেতে পারে অনেকখানি? শুধু তাই নয়। আপনার এই অহেতুক অনুপ্রবেশকে হয়তো ভালোভাবে নাও নিতে পারে আপনার কলিগ। নিজের কাজকে যথাযথ সম্মানিত হতে না দেখে মনে খারাপ হতে পারে তারও। তাই চারপাশে কার কাজে কি হচ্ছে সেটা না ভেবে নিজের কাজটা ঠিক করে করে ফেলতে চেষ্টা করুন।

৩. ঠিক সময়ে খাবার না খাওয়া

অনেককেই বলতে শোনা যায় যে কাজ করতে করতে খাবারেরই সময় পাননি। কিন্তু সত্যিই কি খাবার না খেয়ে অনেক বেশি কাজ করে ফেলেন তারা? বাস্তবে খাবারের অভাব আমাদের শরীর ও মনে এমনিতেই খানিকটা অলসতা আর অবসাদ এনে দেয়। ফলে মাথা কাজ করেনা। ধীর হয়ে যায় কাজের গতি। তাই যতই কাজ থাকুক সময়ের খাবার ঠিক সময়ে খেয়ে নিন।

৪. নিজেকে সময় না দেওয়া

অনেকের ধারণা করে থাকেন যে, সফলরা দিন-রাত কেবল কাজ করে। কিন্তু সত্যি বলতে গেলে মানুষ রোবট না। তাই প্রতিটি মানুষেরই দরকার পড়ে বিশ্রামের। অবসরের। সেটা খানিকটা সময়ের জন্যে হলেও। আর তাই প্রচুর কাজ করার মাঝেও বেছে বেছে নিজেকে খানিকটা হলেও সময় দিন। এতে করে মন চাঙা হয়ে উঠবে। কাজের গতি বাড়বে।

লিখেছেন

সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি

 

বৈশাখের সুস্বাদ: সরিষা বাটা দিয়ে পাবদা মাছের ঝোল

দেখতে দেখতে চলে এসেছে বৈশাখ মাস। এই কাঠ ফাটা গরমের মৌসুমে মাছের ঝোল ছাড়া কি চলে? না, সরিষা ইলিশ নয়, চলুন আজ শিখে নিই আতিয়া আমজাদের রেসিপিতে সরিষা বাটা দিয়ে পাবদা মাছের ঝোলের রেসিপি।

 

উপকরণ

– পাবদা মাছ ১০ টি

– সরিষা বাটা ৪ টে চামচ ( কালো ও হলুদ সরিষা মিশিয়ে নিলে ভালো)

– পিঁয়াজ মাঝারি ৩ টি কুচি করা

– রসুন বাটা ১ চা চামচ

– আদা বাটা দেড় চা চামচ

– হলুদ গুঁড়ো ১ চা চামচ

– মরিচ গুঁড়ো ১ চা চামচ বা পরিমান মতো

– ধনিয়া গুঁড়ো ১ চা চামচ

– জিরা গুঁড়ো ১ চা চামচ

– কাঁচা মরিচ ৪/৫ টি মাঝে ফালি করে কাটা

– তেজপাতা ১ টি, দারচিনি ১ পিস

– কালো জিরা ১ চা চামচ

– ধনেপাতা কুচি ১ মুঠ

– লবণ ১ চা চামচ

– চিনি ১ চা চামচ

– সরিষার তেল ৪ টে চামচ

– গরম পানি ২ কাপ

– বেরেস্তা আধা কাপ

প্রনালী

– মাছ কেটে আলাদা করে লবণ দিয়ে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে । এরপর অর্ধেকটা হলুদ, লবণ ও ১ চা চামচ তেল দিয়ে মাখিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন। এবার ফ্রাই প্যান গরম করে ৩ টে চামচ তেল দিয়ে মাছগুলোর উভয় পাশ ১ মিনিট করে ভেজে নিতে হবে, মাঝারি আঁচে ।

– তেল থেকে মাছগুলো তুলে কালোজিরা, তেজপাতা, দারুচিনি দিন একই তেলে । এবার পিঁয়াজ বাদামী করে বেটে বাটা ও গুঁড়া মশলা দিয়ে কষাতে হবে। এ সময় একটু পানি দিয়ে নেবেন।

-কষানো হয়ে গেলে গরম পানি দিয়ে ঢেকে দিন। বলক এলে চুলার আঁচ কমিয়ে ভাজা মাছ গুলো ঝোলে বিছিয়ে দিন এক এক করে।লবণ দিন।

– চিনি, বেরেস্তা ও কাঁচামরিচ দিয়ে ঢেকে ৫ মিনিট রান্না করুন। নামানোর সময় ধনে পাতা দিয়ে নামিয়ে নিন।

 

শিল্পকলায় শুরু ‘চার্লি চ্যাপলিন চলচ্চিত্র উৎসব’

পুরো বিশ্বের সবার প্রিয় চার্লি চ্যাপলিন। যিনি শুধুমাত্র নির্বাক চলচ্চিত্র দিয়ে পৃথিবীকে হাসাতে পেরেছিলেন। একের পর এক সুপার স্যাটায়ার কমেডি ফিল্ম উপহার দিয়ে তিনি হয়েছিলেন হাসির আতংক।

বিশ্বসেরা এই কৌতুক অভিনেতার জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের নিয়মিত চলচ্চিত্র প্রদর্র্শনীর ধারাবাহিকতায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার ইন্টারন্যাশনাল ডিজিটাল কালচারাল র্আকাইভে ১৬ থেকে ২২ এপ্রিল আয়োজন করা হয়েছে ‘চার্লি চ্যাপলিন চলচ্চিত্র উৎসব’।

ধারাবাহিকভাবে ১৬ এপ্রিল ‘চ্যাপলিন ইউ টার্ন’, ১৭ এপ্রিল ‘মডারন টাইমস’, ১৮ এপ্রিল  ‘ইন দ্যা গোল্ড রাশ’, ১৯ এপ্রিল ‘চারলট এটলি ম্যানি কুইন’,‘লাফিং গ্যাস’, ‘ফেইস  অন দ্যা বাররুম ফ্লোর রিঅ্যাকশন’, ‘দ্যা ম্যাস কুয়ারাদার’, ‘গুড ফর নাথিং’,  ‘দ্যা রাউন্ডারস’, ২০ এপ্রিল ‘দ্যা ফায়ার ম্যান’, ‘দ্যা এ্যাডভেনচারার’, ‘এ ডগস লাইফ’, ২১ এপ্রিল ‘এ উইম্যান’, ‘দ্যা ব্যাংক’, ‘দ্যা রিংক’, ২২ এপ্রিল ‘দ্যা পনশপ’, ‘বাই দ্যা সি’ এবং ‘দ্যা ইমিগ্রান্ট’ প্রদর্শীত হবে।

প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট থেকে শুরু হবে প্রদর্শনী। এটি সবার জন্য উন্মুক্ত।

 

নারীকে মাটিতে ফেলে পেটালো থানার দালাল

চাঁদা না দেয়ায় তিরিশোর্ধ এক নারীকে রাস্তায় পেটাতে পেটাতে মাটিতে শুইয়ে দিল থানার এক দালাল। স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্যের মীমাংসা করে দেয়ার বিনিময়ে টাকা দাবি করেছিল শাহজাহান নামের ওই দালাল। বিচারপ্রার্থী শাহানারা বেগম (৩২) সেই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত সোমবার রাস্তায় একা পেয়ে বেদম প্রহার করে সে। এতে শাহানারার শরীরে অনেক স্থান ফেটে রক্ত বেরিয়ে যায়। এই দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করেন এক যুবক। শুক্রবার ভিডিওটি বাংলামেইলের কাছে এসেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার হাতিয়া পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শাহানারা বেগম ৫নং ওয়ার্ডের রিয়াজ উদ্দিনের স্ত্রী। শাহানারা বেগমের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। তার প্রথম স্বামী ধনু মিয়া মারা যান ২০০২ সালে। একই সালে রিয়াজ উদ্দিনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তবে বিয়ের কোনো কাবিন হয়নি, ঘরোয়াভাবে মৌলবির সামনে কলেমা পড়ে বিয়ে হয়। প্রথম ঘরে তার দুই মেয়ে আছে। দু’জনেরই বিয়ে দিয়েছেন। দ্বিতীয় ঘরে আরেকটি মেয়ে রয়েছে। মেয়েটি এএম উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে।

শাহানারা বেগম বেশ কিছু পৈত্রিক সম্পত্তি পেয়েছেন। এছাড়াও সুদে টাকা কর্জ দিয়েও উপার্জন করেন। দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে তিনি প্রথমে স্থানীয় এক উকিলের কাছে গিয়ে বিচ্ছেদের জন্য অ্যাফিডেভিট করতে চান। কিন্তু কাবিন না থাকায় তিনি পৌরসভার মেয়রের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন। মেয়র মীমাংসাও করে দেন। এই সুযোগে থানার দালাল শাহজাহানসহ আরো তিনজন তার বাসায় গিয়ে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। মীমাংসার আশ্বাসে এক কাউন্সিলরকে ১০ হাজার টাকা তিনি দিয়েছেনও।

এর আগেও বিভিন্ন সময় শাহজাহান এলাকায় চাঁদাবাজি করেছেন বলে দাবি করেন শাহানারা বেগম। বাড়ি নির্মাণের সময়ও তিনি তাকে ১৪ হাজার টাকা চাঁদা দিয়েছেনও।

গত শনিবার রাতে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা চাওয়া হয়। এবারও দিতে অস্বীকৃতি জানান। সোমবার শাহানারা ব্যাংক থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা ঋণ তোলেন। এর আড়াই লাখ টাকা নিজের নামে এবং এক লাখ টাকা মেয়ের নামে। টাকা নিয়ে বাড়ি আসার পথে একা পেয়ে শাহজাহান পেছন থেকে তিনটি ঘুষি মেরে ফেলে দেয়। এরপর রাস্তা থেকে তুলে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে শাহানারা রাস্তা থেকে ছিটকে সংস্কারাধীন  রাস্তার পাশের গর্তে পড়ে যান।

ঘটনাস্থলে লোকজন জড়ো হতে থাকে। এসময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবক ভিডিও করতে থাকেন। ভিডিওতে দেখা যায়, শাহজাহান গাছের ডাল দিয়ে শাহানারা বেগমকে পেটাচ্ছে। এসময় স্থানীয় এক যুবক তাকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করলেও কোনো কাজ হয়নি। এক পর্যায়ে স্থানীয় এক প্রবীণ এগিয়ে আসেন কিন্তু তার কথাও শোনেনি শাহজাহান।

এভাবেই পেটানো হয়েছে শাহানারাকে

এ ব্যাপারে শাহানারা বেগমের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বাংলামেইলকে বলেন, চাঁদা দিতে না চাইলে শাহজাহান আমার ব্যাগ কেড়ে নেয়। ব্যাগে সাড়ে তিন লাখ টাকা ছিল। এছাড়াও সে আমার গলায় থাকা দেড় ভড়ি স্বর্ণের চেন টান দিয়ে ছিঁড়ে ফেলে। প্রহারের এক পর্যায়ে আমি অজ্ঞানের মতো হয়ে গিয়েছিলাম। গর্ত থেকে তুলে আমাকে পাশের একটি বাড়ির সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর রড দিয়ে মারে শাহজাহান। আমার নাকফুল কেড়ে নেয়। কয়েকটা থাপ্পর দিয়ে আমার বুকে লাথি দেয়। এসময় স্থানীয় লোকরা আমাকে উদ্ধার করে। স্থানীয় লোকেরা আসলে সে আমাকে অর্ধেক চেন ফেরত দেয়। পরে একটি রিকশায় করে আমাকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।