banner

শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

২০০ সেকেন্ডের স্যান্ড আর্টে শাহরুখের জীবনের ৫০ বছর

১৫ এপ্রিল মুক্তি পাচ্ছে শাহরুখ খান অভিনীত ‘ফ্যান’ ছবি। ছবিটির ট্রেলার এবং গান মুক্তির পর থেকেই যেন শাহরুখ ভক্তরা অপেক্ষায় রয়েছেন ছবি মুক্তির। তারকা আর ভক্ত নিয়ে তার এই নতুন ছবি ‘ফ্যান’।

শুধু ভারত নয় পুরো বিশ্বে রয়েছে শাহরুখের কোটি কোটি ভক্ত। তাদের অনেকেই এই ছবির জন্য বিভিন্ন ভিডিও বানিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন শাহরুখকে।

সম্প্রতি শাহরুখের এক ভক্ত স্যান্ড আর্ট নিয়ে একটি ভিডিও বানিয়েছেন। যেখানে শাহরুখের ৫০ বছরের জীবনী তুলে ধরা হয়েছে। ভিডিওতে শাহরুখের জন্ম থেকে শুরু করে তার সব হিট ছবি, বিখ্যাত ডায়লগ, হিট গান এবং আরও অনেক কিছু তুলে ধরা হয়েছে।

সবশেষে নতুন ছবি ‘ফ্যান’ এবং ‘রইস’ বিখ্যাত ডায়লগ দিয়ে শেষ হয়েছে ভিডিওটি। আর সেই স্যান্ড আর্টের মাধ্যমে শাহরুখের জীবনের এক ঝলক দেখালেন রাহুল আরিয়া।

 

পরিতৃপ্ত জীবন চান? নিন অপরাহ উইনফ্রের এই ৩০ দিনের চ্যালেঞ্জ!

মানুষ জীবনে কী চায়? বাড়ি, গাড়ি, ভালোবাসার মানুষ, সম্পদ- যেটার কথাই আপনি বলুন না কেন একটু ভেবে দেখলেই বুঝতে পারবেন যে আর কোন কারণে নয়, বরং একটু ভালো থাকার জন্য, নিজেকে খুশি রাখার জন্যেই এসবটা করছেন আপনি। করতে চাইছেন জীবনে। তাহলে জীবনের লক্ষ্য কি কেবলই খুশি থাকা? সম্প্রতি অপরাহ উইনফ্রের সাথে কথা বলার সময় খুশি বিশেষজ্ঞ শন অ্যাকর জানান, হ্যাঁ! মানুষ ভালো আর খুশি থাকতেই সবকিছু করে। তবে কেবল এটুকুই নয়, শন জানান এমন কিছু কাজের কথা যেগুলোর মাধ্যমে ৩০ দিনের ভেতরেই নিজেকে পুরোপুরি একজন সুখী ও খুশি মানুষে পরিণত করতে পারবেন আপনি। কী সেই পদ্ধতি? চলুন দেখে আসি নিঃসন্দেহে মাত্র ত্রিশ দিনে খুশি মানুষে পরিণত হওয়ার উপায়গুলো।

১ম দিন: সকালে ঘুম থেকে উঠেই এমন তিনটি জিনিসের কথা মনে করুন যেগুলোর জন্যে আপনি কৃতজ্ঞ। ( বাকী ২৯ দিন করুন। )

২য় দিন: গত ২৪ ঘন্টায় আপনার জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর ভেতরে সবচাইতে অর্থবোধক ও ভালো ঘটনাটির কথা মনে করুন। ( বাকী ২৮ দিন একই কাজ করুন। )

৩য় দিন: পরিচিত কারো সাথে কথা বলুন ও তার প্রশংসা করুন। ( বাকী ২৭ দিন একই কাজ করুন। )

৪র্থ দিন: দিনের অন্তত ১৫ মিনিট কার্ডিও কিংবা যেকোন ধরনের শরীরচর্চা করা শুরু করুন। ( বাকী ২৬ দিন একই কাজ করুন। )

পঞ্চম দিন: অন্তত ৫ মিনিট ধরে যোগব্যায়াম করুন। ( বাকী ২৫ দিন একই কাজ করুন। )

ব্যস! এভাবেই বাকী দিনগুলোতে একই কাজ চালু রাখুন। এভাবে ৫,১০,১৫,২০,২৫ করে একেবারে ৩০ দিনের দিন গিয়ে নিজেকে জিজ্ঞেস করুন আর দেখুন কতটা ভালো রয়েছেন আপনি ৩০ দিন আগের তুলানায়। সত্যি বলতে গেলে, ততক্ষণ পর্যন্ত চেষ্টা করুন এগুলোকে যতক্ষণ না আপনার অভ্যাসে পরিণত হবে এগুলো। মানুষ একঘেঁয়েমী কিংবা রোমাঞ্চ- যে অবস্থার মধ্য দিয়েই যাক না কেন, একটা সময় গিয়ে চারপাশের সবকিছুই তুচ্ছ মনে হতে থাকে। কাছের মানুষের দেওয়া আঘাতে কিংবা নিজের প্রতি হতাশায় একটা সময় ভেঙে পড়ে সে। ভুলে যায় যে, এই একটা জিনিসের পাশাপাশি তার জীবনে আছে আরো হাজারটা ভালো ব্যাপার। যেগুলো হয়তো প্রতিনিয়ত তার সাথে ঘটে চলেছে অথচ কষ্টের কালো রংটা সরিয়ে সেগুলোকে দেখতে পাচ্ছেনা সে।

আর তাই এই পাঁচটি কাজ প্রতিটাদিন করে যান ঠিক ত্রিশদিন অব্দি। দেখবেন, আপনার সাথে ঘটে যাওয়া ভালো ব্যাপারগুলো ঠিকই চোখের সামনে আসতে শুরু করেছে আপনার আর পৃথিবীকে মনে হচ্ছে অনেক বেশি সুন্দর আর ভালোলাগার স্থান। নিজেকে মনে হচ্ছে প্রকৃত অর্থেই একজন খুশি মানুষ!

 

লিখেছেন-

সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি

 

যে ৫টি জিনিস ভ্রমণে আপনার আনন্দকে করবে দ্বিগুণ!

আমরা বেড়াতে যাই, নিজেকে আনন্দ দিতে। শহরের ঝঞ্ঝাটময় কোলাহলের জীবন থেকে বেরিয়ে একটি শান্তিময় সময় কাটানোর উদ্দেশ্যে ছুটে যাই প্রকৃতির কাছে। সেই সময়ে কোন ঝঞ্ঝাট কি ভাল লাগে? একদমই না। একেবারে ঝামেলাহীন ছুটি কাটাতে করুন এই কাজগুলো-
ঠিকমত ব্যাগ গোছান
আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো যত্নের সাথে গুছিয়ে নিন। কোন দরকারি জিনিস ভুলে ফেলে গেলে সেটি আবার কেনা একটি সমস্যা। আবার এমনও হতে পারে আপনি যেখানে যাচ্ছেন সেখানে আর কেনার সুযোগও নেই। যেমন ধরুন, ট্রাকিং এ গেছেন বন্ধুদের সাথে। ভুলে টাওয়াল নেন নি। যখন বুঝতে পারলেন যে এত দরকারি একটা জিনিস নেন নি, ততক্ষনে অনেক দেরি হয়ে গেছে। এমন প্রত্যন্ত এলাকায় পৌছে গেছেন যে আর কেনার সুযোগ নেই। তখন? তাই ব্যাগে প্রত্যেকটি জিনিস ঠিকমত গুছিয়ে নিন। দরকারে লিস্ট করে নিন।
পর্যাপ্ত টাকা সাথে রাখুন
আপনার হয়ত একটা বাজেট ঠিক করা আছে, কত টাকায় আপনি আপনার ট্যুর শেষ করবেন। তবু সাথে কিছু বাড়তি টাকা রাখুন। আপনার যে কোন প্রয়োজনে হঠাৎ কিন্তু লাগতেই পারে। ক্রেডিট কার্ড সাথে নিন। আপনি যেখানে বেড়াতে যাচ্ছেন সেটা কিন্তু আপনার পরিমন্ডল না। সেখানে আপনার প্রয়োজনে টাকা দিয়ে পাশে দাড়ানোর কেউ নেই। তাই নিজেই সতর্ক থাকুন।
কাজ শেষ করে যান
আপনার কাজগুলো গুছিয়ে শেষ করুন। এতে বেড়ানোর সময়টা নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন। এখন ইন্টারনেটের যুগ। তাই চাইলেই বস কিন্তু কাজ ধরিয়ে দিতে পারেন আপনাকে। আর কোন কাজ যদি বাকি রেখে যান তাহলে তো কথাই নেই। বেড়ানোর মাঝেও ক্লায়েন্ট এর ফোন, বসের ঝাড়ি সব চলবে। তাই নিজেই কাজগুলো শেষ করে ফেলুন এবং জানিয়ে যান যে কাজ কোনটা বাকি নেই।
আবহাওয়ার খোজ নিন
অবশ্যই আবহাওয়ার খোজ নিন। ধরুণ, নেপাল যাচ্ছেন। পর্বতময় এলাকা, একেবারে হিমালয়ের কাছের দেশ নেপাল। আবহাওয়া ভাল না হলে একেবারে হোটেলেই কেটে যাবে আপনার পুরো ট্রিপ। এমন সব এলাকার কিছু বিশেষত্ত্ব আছে। কোথাও বৃষ্টির সময় যেতে হয়। আবার কোথাও গ্রীষ্ম-বর্ষার মাঝামাঝি গেলে চমৎকার দৃশ্য উপভোগ করা যায়। কোথাও আবার শীতে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। সেগুলো জেনে আপনার ট্রিপের পরিকল্পনা করুন।
বুঝে শুনে সঙ্গী নির্বাচন করুন
ভ্রমণে যথোপযুক্ত সঙ্গী নির্বাচন করা খুবই জরুরী। আপনি যদি পাহাড়ি পথে এমন মানুষ নিয়ে যান, যার কখনোই খুব বেশী হাঁটা বা স্ট্রেস নেওয়ার অভ্যেস নেই তাহলে সে আপনার পুরো ভ্রমণের আনন্দই নস্যাত করে দিতে পারে। আবার আপনার আগ্রহ হয়ত আরও ঘুরে দেখায়। কিন্তু আপনার সঙ্গীর আগ্রহ হোটেলেই আরামে ঘুমানোর আর নিজের ছবি তোলার। তাহলে? তাই আপনি যে ট্রিপে যাচ্ছেন তেমন মানানসই ভ্রমণসঙ্গী বেছে নিন।
লিখেছেন
আফসানা সুমী

 

আকর্ষণীয়, অপ্রতিদ্বন্দী ব্যক্তিত্বের জন্য যা করবেন

আমরা সবসময়ই নিজেকে অন্যের কাছে এক বিশেষ ভাবমূর্তির সাথে প্রকাশ করতে চাই। আমরা চাই অন্যেরা আমাদের বুদ্ধিমান হিসেবে জানুক, আমাদের ব্যক্তিত্বে আকৃষ্ট হোক। সবার মাঝে আলাদা ভাবে গুরুত্ব পেতে পছন্দ করি আমরা সবাই। কিন্তু সবাই কি গুরুত্ব পায়? আসরে, আড্ডায় সবাই কি হতে পারে মধ্যমণি?
আপনি যদি সবার প্রিয় পাত্র হন সেক্ষেত্রেও কিন্তু সেই আকর্ষণ ধরে রাখার ব্যাপার থেকে যায়। নিজের একটি অপ্রতিদ্বন্দী ব্যক্তিত্ব তৈরি করা এবং তা ধরে রাখা উভয়ই একটি কঠিন কাজ। আপনার কাজে দেবে চমৎকার এই কৌশলগুলো-
নিজের লক্ষ্য ঠিক রাখুন
ব্যক্তিত্ব গড়ে ওঠে মানুষের নিজস্ব গুণে। আপনার চরিত্রের দৃঢ়তাই কিন্তু ফুটে ওঠে আপনার প্রকাশভঙ্গিতে। নিজের বদভ্যাসগুলো শুধরে ফেলুন। লক্ষ্য নির্দিষ্ট করুন। যা করবেন ভেবেছেন, করে ফেলুন। সেটা যত ছোটখাট বিষয়ই হোক না কেন। হয়ত আপনি জিমে ভর্তি হয়েছেন। কিন্তু জিমে প্রথমদিন গিয়েই আর গেলেন না। কোন কাজ করবেন বলে হাতে নিয়েছেন, কিন্তু শেষ না করে রেখে দিলেন। এসবই আমরা করি যখন আমাদের লক্ষ্যের কোন ঠিক থাকে না। উদ্দেশ্যহীনভাবে আমরা সময় ব্যয় করে যাই। তাই, আমাদের একটি লক্ষ্য ঠিক করতে হবে এবং কাজ শুরু করার আগে অবশ্যই বুঝে নিতে হবে আমরা সেটি করতে পারব কিনা।
 
আপনার ব্যাপারে মতামত গড়ে তুলুন
আপনি যখন আত্মবিশ্বাসী এবং সৃষ্টিশীল তখন সহজেই সেটা আপনার চোখে মুখে ফুটে ওঠে। আপনার কন্ঠেও ফুটে ওঠে সাহস, দৃঢ়তা। আপনার বন্ধুরাও কিন্তু আপনার ব্যক্তিত্বে মুগ্ধ হয়ে আপনার সাথেই থাকবে। আপনি আরেকটু সচেতন হলেই গড়ে তুলতে পারেন আপনার ব্যাপারে সোজা সাপটা ইতিবাচক মতের একটি দল। আপনার ভক্তরা সবসময়ই সাহায্য করবে আপনাকে। এটা খুবই কাজে দেয়। কারণ, জীবনে তো সমস্যার শেষ নেই, শেষ নেই টানাপড়েনেরও। বিপর্যয় নেমে আসলে কাজে দেয় এই মানুষগুলোই। তখন সহজেই আপনি আবার ফিরে পেতে পারেন আত্মবিশ্বাস। নিজেকে রাখতে পারেন সতেজ।
 
নিজের মেধাকে কাজে লাগান
ব্যক্তিত্ব এমন এক বস্তু যা কৃত্রিম হতে পারে না। আপনার ভেতরে মেধা না থাকলে আপনি শুধু উপরে প্রকাশ সম্ভব নয়, সেটা ধরাও পড়ে যাবে মানুষের চোখে সহজেই। তাই একটু পরিশ্রমী হন, নিজের মেধাকে কাজে লাগিয়ে প্রকাশ করুন এমন কিছু যা শুধু আপনিই পারেন। আপনাকে একক করে গড়ে তুলবে, সবার থেকে আলাদা করবে এমন গুণকে সামনে নিয়ে আসুন। এভাবেই সবার নজরে থাকবেন আপনি। প্রয়োজনে নিজেকে সময় দিন, গড়ে তুলুন। আত্মচর্চার মাধ্যমে বাড়ান নিজের দক্ষতা।
সময়মত কাজ করুন
যে কাজটিই শুরু করবেন অবশ্যই সময়মত শেষ করবেন। সময়ের সাথে সাথে অনেক কাজের আর আগের মত মূল্যমান থাকে না। যেমন আপনি কোন সময়ের প্রেক্ষিতে সেই বিষয় নিয়ে একটা গল্প লিখতে শুরু করলেন। কিন্তু শেষ আর করছেন না। বছর পেরিয়ে যাচ্ছে। তাৎক্ষণিক মানুষের মনে সেই ঘটনার যে রেশ ছিল তা যখন কেটে যাবে তখন আপনার গল্পও কিন্তু মূল্য হারাবে। ইতিহাস তৈরি করে যেসব ঘটনা সেগুলোর কথা আলাদা। কিন্তু জীবনের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সময়ের কাজ সময়েই শেষ করতে হবে আপনাকে। এই নিয়ম না মানলে পিছিয়ে পড়বেন, ভিড়ে হারিয়ে যাবেন।
 
রাগ নিয়ন্ত্রণ করুন
একজন ব্যক্তিত্ববান মানুষ অবশ্যই যে কোন জায়গায় তাঁর রাগ প্রকাশ করেন না বা ব্রাস্টাউট হন না। তিনি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে জানেন। পরিস্থিতি সবসময়য় ইতিবাচক হবে না, এটাই স্বাভাবিক। আপনি যখন পথে বেড়োবেন তখন সব যে ভাল ঘটবে না তা জেনেই বের হতে হবে। আপনার কষ্ট করে দাঁড় করানো কাজটা বসের একদমই অপছন্দ হতে পারে, ঘটতে পারে এমন অনেক কিছুই। আপনাকে শিখতে হবে আত্মনিয়ন্ত্রণ।
বই পড়ুন
যতই পড়বেন, জানবেন ততই গড়ে তুলতে পারবেন নিজেকে। একটি ভাল বই মানুষের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে, বদলে দিতে পারে আপনার চোখে জীবনের মানে। ভাল ভাল বই পড়ুন, মানুষের জীবন সংগ্রামের গল্প পড়ুন। আপনাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে পারে একজন চে গুয়েভারা, আপনাকে সাহসী করে তুলতে পারে আনা কারেনিনা। এমন অনেক মানুষের বাস্তব জীবনের গল্প হতে পারে আপনার শক্তি।
 
মেডিটেশন
নিজেকে শান্ত করতে, লক্ষ্যে স্থির থাকতে মেডিটেশনের বিকল্প নেই। আপনার মনকে স্থির করে ধ্যান পৌঁছে দিতে আপনার কাঙ্খিত লক্ষ্যে। নিয়মিত ধ্যান করুন, নিজের ব্যক্তিত্বকে গড়ে তুলুন ভিন্নভাবে।
 
লিখেছেন
আফসানা সুমী

 

গরম প্রাণ জুড়াতে ঝটপট ম্যাঙ্গো ডিলাইট

বাজারে খুঁজলে এখনই পাওয়া যাবে কিছু কিছু পাকা আম। একেবারে প্যাচপ্যাচে এই গরমের এই দিনে আপনি যদি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা কোনো ডেজার্ট খেতে চান, তাহলে তৈরি করে নিতে পারেন মৌসুমের স্বাদে ম্যাঙ্গো ডিলাইট। সহজ এই রেসিপিতে খাবার তৈরির জন্য আপনাকে পাকা রাঁধুনি হতে হবে না। একদম অল্প কিছু উপাদানে খুব কম সময়ে তৈরি হয়ে যাবে চোখ জুড়ানো ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা এই ডেজার্ট।
উপকরণ
  • – ১ কাপ হেভি হুইপিং ক্রিম
  • – ১ চা চামচ ভ্যানিলা এক্সট্রাক্ট
  • – ৩ টেবিল চামচ অথবা স্বাদমতো গুঁড়ো চিনি
  • – ১ কাপ পাকা আমের পাল্প
  • – কয়েক টুকরো আম গার্নিশের জন্য
  • – পুদিনা পাতা গার্নিশের জন্য
প্রণালী
১) একটা পরিষ্কার, ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করা বোলে হেভি ক্রিম নিন এবং মিডিয়াম স্পিডে আধা মিনিট হুইপ করে নিন যাতে ঘন হয়ে আসে।
২) ভ্যানিলা এক্সট্রাক্ট এবং গুঁড়ো চিনি মিশিয়ে বিট করুন যতক্ষণ না “স্টিফ পিক” তৈরি হয়।
৩) সার্ভিং গ্লাস বা বাটিতে বড় এক চামচ হুইপড ক্রিম দিন। গ্লাসটা ধীরে ধীরে টেবিলে ঠুকে সমান করে নিন ক্রিম। এবার ওপরে এক স্তর আমের পাল্প দিয়ে নিন। আবারও সমান করে নিন।
৪) এবার ওপরে অল্প করে হুইপড ক্রিম দিন। একটু পুদিনা এবং কয়েক টুকরো আম দিয়ে পরিবেশন করুন ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা!

 

নগরদোলার বর্ণিল বৈশাখী পোশাক সম্ভার

ফ্যাশন হাউজ নগরদোলা এবারের বৈশাখকে সামনে রেখে পোশাক সংগ্রহে এনেছে বর্ণিলতা ও ভিন্নতার সমাহার। পোশাকের অলংকরণে ভিন্ন মাত্রার উপস্থাপন দেখা যাবে নগরদোলার এবারের বৈশাখী পোশাক সম্ভারে।

এবারের পোশাকগুলোয় কাজ করা হয়েছে ব্লক প্রিন্ট, স্ক্রিন প্রিন্ট, কাঁথা স্টিচ, এপ্লিক, এম্ব্রয়ডারী, কারচুপি ও অন্যান্য মাধ্যমের কারুকাজ। সব বয়সীদের পোশাক নিয়ে এবার নগরদোলার এবারের বৈশাখ উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ ফ্যামেলি ড্রেস। পরিবারের সবাইকে নিয়ে বৈশাখ উদযাপন করতে একই কাপড়ে ও ডিজাইনে পুরো পরিবারের সবার জন্য পোশাক তৈরি করা হয়েছে। তরুণদের প্রাধান্য দিয়েই এবার পোষাকের ডিজাইন করা হয়েছে।

বিশেষ পোশাকের মধ্যে রয়েছে নতুন ডিজাইনে স্লিভলেস ফতুয়া। ছেলে-মেয়ে সবার কথা মাথায় রেখে বৈশাখ উপলক্ষে থাকছে নতুন ধূতি। বরাবরের মতোই সুতি কাপড়কে প্রাধান্য দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বৈশাখী পোশাকসমূহ। সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে তাঁত, খাদি, মসলিন, এন্ডি সিল্ক, এন্ডি কটন ও অন্যান্য আরামদায়ক কাপড়। রং নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রচলিত লাল সাদার পাশাপাশি অন্যান্য উজ্জ্বল রংগুলোর সংমিশ্রণ ঘটানো হয়েছে। বর্তমান সময়ের ট্রেন্ডকে লক্ষ্য রেখে প্রচলিত পোশাকের পাশাপাশি নতুন ডিজাইনে থাকছে স্টাইলের নতুনত্ব। কাটিং ও প্যাটার্নেও বৈচিত্র আনা হয়েছে।  ক্রেতা সাধারনের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই রয়েছে পোশাকের মূল্য। পরিবারের সবাই একই কম্বিনেশনের পোশাক সংগ্রহ করতে পারবেন নগরদোলার বর্ণিল বৈশাখী পোশাক সম্ভার থেকে।

নগরদোলার বিক্রয়কেন্দ্র সমূহ – ধানমন্ডি-০১৬৭৬৭৯৫৫৭০, বসুন্ধরা সিটি-০১৯১৪৭৫৩৬৯১, গুলশান লিংক রোড-০২ ৯৮৯১৪২৪, যমুনা ফিউচার পার্ক-০১৭৫৭১১১৭৭৭, চট্টগ্রাম-০৩১২৫৫৬৮৯৫, কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি-০১৬৭৬৭৯৫৫৭০, সিলেট- ১৬৮২৬২৯০৪০

 

হত্যা আতঙ্কে দেশ ছেড়েছেন ৩০ ব্লগার

টার্গেটে ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট। তালিকা ধরে চলছে হত্যা। চলছে একের পর এক। তাদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ অবস্থায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ব্লগাররা। যে যেভাবে পারছেন নীরবে দেশ ছেড়ে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত অন্তত ৩০ জন ব্লগার দেশ ছেড়ে গেছেন। দেশ ছাড়ার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত আছেন আরও অন্তত ১০-১২ জন। এ ছাড়া নিয়মিত হুমকি মাথায় নিয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন অনেকেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকেও হুমকিতে থাকা ব্লগারদের সতর্ক থাকার পাশাপাশি ‘আন-অফিশিয়ালি’ বিদেশ চলে যেতে বলা হচ্ছে। ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের ওপর খড়গ নেমে আসে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ওই বছরই ১৫ই ফেব্রুয়ারি রাজীব হায়দার ওরফে থাবা বাবা নামে একজন ব্লগারকে হত্যা করা হয়। মূলত তখন থেকেই ব্লগারদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক দানা বাঁধে। অনেকে ব্লগারই আত্মগোপনে চলে যান। কেউ কেউ ব্লগ লেখাও বন্ধ করে দেন কিছুদিন। পরের বছর ২০১৪ সাল মোটামুটি শান্তভাবে চললেও গত বছর মার্কিন নাগরিক লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়ের হত্যার মাধ্যমে আবারও ব্লগারদের ওপর ধারাবাহিক আক্রমণ শুরু হয়। এ অবস্থায় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন মুক্তমনা ব্লগাররা। আত্মগোপনে থেকেও রেহাই মেলেনি তাদের। ব্লগার ওয়াসিকুর রহমান বাবু ও নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় একাধিকবার হুমকি পেয়ে অনেকটা আত্মগোপনে থাকতেন। তার পরও দুর্বৃত্তরা তাদের কুপিয়ে হত্যা করেছে। ব্লগাররা বলছেন, একের পর এক ব্লগার হত্যাকাণ্ড ঠেকাতে না পারার কারণে অনেকেই নিরাপত্তাজনিত কারণে দেশের বাইরে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।

দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া ব্লগাররা হলেন- আসিফ মহিউদ্দিন, ওমর ফারুক লুক্স, অনন্য আজাদ, শাম্মী হক, মশিউর রহমান বিপ্লব, রাসেল পারভেজ, সৈকত চৌধুরী, সুব্রত শুভ, ক্যামেলিয়া কামাল, রতন (সন্ন্যাসী), সবাক, কৌশিক, পারভেজ আলম, অমি রহমান পিয়াল, শামীমা মিতু, আজম খান, মাহমুদুল হক মুন্সি ওরফে বাঁধন, তন্ময় প্রমুখ। ব্লগার সূত্র জানায়, ব্লগারদের বেশির ভাগই গত দুই বছরে বেশি দেশ ছেড়েছেন। গত বছর সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ব্লগার নিরাপত্তাজিনত কারণে দেশ ছাড়েন। ব্লগার ও লেখক সৈকত চৌধুরী গত বছরের ২০মে দেশ ছেড়ে যান। ড. হুমায়ুন আজাদের ছেলে অনন্য আজাদ হুমকির কারণে দেশ ছাড়েন গত বছরের ২৯শে জুলাই। ব্লগার শাম্মী হক জার্মানিতে চলে যান গত বছরের অক্টোবরে। গণজাগরণ মঞ্চের নেতৃত্ব দেয়া মাহমুদুল হক মুন্সী ওরফে বাঁধন ও অমি রহমান পিয়াল দেশ ছাড়েন গত বছরের নভেম্বরে।

প্রায় একই সময়ে দেশ ছেড়ে যান সাংবাদিক ও ব্লগার শামীমা মিতুও। ব্লগার সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্লগার ক্যামেলিয়া কামাল, অমি রহমান পিয়াল, সুব্রত শুভ ও আজম খান বর্তমানে সুইডেনে রয়েছেন। পারভেজ আলম রয়েছেন নেদারল্যান্ডসে। শাম্মী হক, অনন্য আজাদ, তন্ময়, আসিফ মহিউদ্দিন ও মাহমুদুল হক মুন্সী ওরফে বাঁধন রয়েছেন জার্মানিতে। সন্ন্যাসী রতন রয়েছেন নরওয়েতে। ব্লগার মনির রয়েছেন ফ্রান্সে। দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন ব্লগার ও প্রকাশক শুদ্ধশ্বরের কর্ণধার আহমেদুর রশীদ চৌধুরী টুটুলও সবার অগোচরে দেশ ছেড়ে আমেরিকায় চলে যান। জার্মানি চলে যাওয়া ব্লগার শাম্মী হক গতকাল মানবজমিনকে বলেন, ‘আমি আমার দেশে ফিরতে চাই, প্রাণ খুলে নিজের ভাষায় কথা বলতে চাই। আমার সহযোদ্ধাদের খুনের বিচার চাই।’

ক্ষমতাসীন সরকারকে উদ্দেশ করে শাম্মী বলেন, ‘যে রক্তে নিজের হাত লাল করেছে এবং মৌলবাদীদের হাতকে লাল করার জন্য প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে এর বিচার একদিন হবেই। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করবে না।’ দেশ ছেড়ে যাওয়া মানে পরাজয় স্বীকার করা কি না- জানতে চাইলে ব্লগার শাম্মী হক বলেন, এটা একদিক থেকে সঠিক আবার ভুলও। প্রথমত, দেশ ছাড়ার পরও অসংখ্য থ্রেট আসছে। তারা যদি আমাদের দেশ ছাড়াটাকে তাদের সাফল্যও ভেবে নেয়, তাহলে হুমকি এমনকি বিদেশে অবস্থানরত ব্লগারদের হিটলিস্ট তৈরি করছে কেন? শাম্মী বলেন, বরং যে দেশ ছাড়তে পারছে, সে আরও বেশি লেখালেখি করার সুযোগ পাচ্ছে। আমাদের মূল যুদ্ধই তো লেখার মাধ্যমে। শাম্মীর ভাষ্য, সরকারের পক্ষ থেকে শক্ত অবস্থান নেয়া হলে এত ব্লগারকে জীবন দিতে হতো না। বিচারহীনতার সংস্কৃতির জন্যই এভাবে একের পর এক ব্লগার খুন হচ্ছেন। শক্ত হাতে বিচার করলে এগুলো হতো না।’

ব্লগার-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সর্বশেষ নাজিমউদ্দিনকে হত্যার পর অনেক ব্লগার বিদেশ যাওয়ার জন্য আবার চেষ্টা শুরু করেছেন। নিজের জীবন বাঁচাতে দেশ ছাড়ার আর কোনো বিকল্প দেখছেন না তারা। এজন্য অনেকেই বিদেশে থাকা ব্লগারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আশ্রয় পাওয়ার প্রক্রিয়া জানার চেষ্টা করছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে অন্তত ১০-১২ জন ব্লগার দেশ ছাড়ার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে সহযোগী ব্লগার বা তারা নিজেদের নাম প্রকাশ করতে নিষেধ করছেন।

এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানায়, যেসব ব্লগারের ওপর হুমকি বা থ্রেট রয়েছে তাদের নিরাপত্তা দেয়ার পাশাপাশি সতর্কতামূলক পরামর্শ দিচ্ছেন গোয়েন্দারা। একই সঙ্গে সর্বশেষ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নাজিমউদ্দিনকে হত্যার পর হুমকিতে থাকা ব্লগারদের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশনা দেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মারুফ হোসেন সরদার বলেন, ব্লগারদের কেউ নিরাপত্তাজনিত কারণে জিডি করতে চাইলে সঙ্গে সঙ্গে থানা পুলিশকে জিডি নেয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা বিধান করার নির্দেশনা দেয়া রয়েছে। একই সঙ্গে ব্লগারদের মধ্যে কারা হুমকিতে বা থ্রেটের মধ্যে রয়েছেন তাদের অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

দৈনিক মানবজমিনের সৌজন্যে