banner

শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

যে খাবার নারীদের প্রতিদিন খাওয়া উচিত

নারীরা সব সময় ঘরের সবার খেয়াল রাখেন। শুধু রাখেন না নিজেদের খেয়াল। তাদের শরীরের জন্য প্রতিদিনই পুষ্টিকর খাবার প্রয়োজন।

নারীদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যে সব খাবার রাখা উচিত—

রসুন

এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-বি৬, সি, ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম আছে। রসুন উচ্চ রক্তচাপ হ্রাস করে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখে। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্যান্সারের মতো রোগে বাধা সৃষ্টি করে। হাড় মজবুতে বেশ কার্যকর। কাজেই প্রতিদিন খাবারে এক কোয়া হলেও রসুন রাখা উচিত।

আদা

আদা শরীরের ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এটি বুক জ্বালা রোধ করে এবং ঠাণ্ডা ও ফ্লু দূরে রাখে। রসুন প্রাকৃতিক উপায়ে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে। কোলন ক্যান্সার দূরে রাখে।

দধি

শরীরে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি’র অভাব পূরণ করে দধি। হাড় ও দাঁত শক্ত করে। রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং পরিপাক ক্রিয়া ঠিক রাখে।

কমলা লেবু

কমলা লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি আছে। যা শরীরে সংক্রমণের ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে। এটি চোখকে রক্ষা করে। ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে, যা ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে।

আমলকি

আমলকি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন-সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে। চুল বৃদ্ধিতে খুবই কার্যকর আমলকি। এটি কোলেস্টেরল হ্রাস করে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। রক্তচাপ ঠিক রাখে।

মটরশুটি

হার্টের বন্ধু হচ্ছে মটরশুটি। এতে কম ফ্যাট এবং উচ্চমাত্রায় ফাইবার আছে। প্রোটিন পাওয়ার ভালো উৎস হচ্ছে মটরশুটি। রক্তে সুগারের মাত্রা ঠিক রাখে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে।

মিষ্টি আলু

মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন সি, ই ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে। শরীরে দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন রোগ হ্রাস করে। এটি হার্ট ও শরীরের ভালো বন্ধু। কাজেই বেশি করে মিষ্টি আলু খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত।

পালং শাক

পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ আছে। কাজেই প্রতিদিনের খাবারে পালং শাক রাখা উচিত।

 

জাকার্তায় সেরা বাংলাদেশি নারী নির্মাতা

এসিড সন্ত্রাসবিরোধী ‘ফাইট এসিড ভায়োলেন্স’ নির্মাণ করে সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্রের পুরস্কার পেল বাংলাদেশি নারী নির্মাতা শাহিদা আখতার। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় নারী, সামাজিক বিষয় ও শূন্য বৈষম্যের ওপর আয়োজিত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এ সম্মান পেয়েছেন তিনি।

সেরা পরিচালক হিসেবে শাহিদা পেয়েছেন প্লাটিনাম অ্যাওয়ার্ড। বাংলাদেশি এই নারী নির্মাতা জিতেছেন অনুষ্ঠানের সর্বোচ্চ সম্মান ও পুরস্কার। ফিল্মমেকার অব ইন্সপিরেশন হিসেবে বিশেষ পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস ও শূন্য বৈষম্য দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ, রেডিও রিপাবলিক ইন্দোনেশিয়া ও জাকার্তার ফিল্মফ্রিওয়ের সহযোগিতায় এ পুরস্কার বিতরণীর আয়োজন করেছে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অ্যালিয়েন্স। গত ৩ মার্চ শুরু হওয়া এ উৎসব চলবে ২৮ মার্চ পর্যন্ত।

উৎসবটির মূল লক্ষ্য হলো জাতিসংঘের শান্তি ও মানবাধিকার প্রকল্পের প্রচারণায় সহযোগিতার পাশাপাশি নারীদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করতে সারাবিশ্বের নির্মাতাদের সহায়তা প্রদান ও উদ্বুদ্ধ করা।

এ উৎসবে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, ‍যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইতালি, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, মিসর, আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর ও ভারতের নির্মাতা, পরিচালক, প্রযোজক, অভিনয়শিল্পী ও সংগীতশিল্পীরা।

 

জয়া আলোকিত নারী সম্মাননা পেলেন যারা

জয়া আলোকিত নারী-২০১৬ সম্মাননা প্রদান করেছে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভি। মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তাদের হাতে সম্মাননা পদক তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান শুরুর আগেই সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমের আসন তখন কানায় কানায় পূর্ণ। তারকাঠাসা আসন আর মনোমুগ্ধকর গান-নাচের পরিবেশনা। করতালির মাধ্যমে গ্রহণ করা হয় দেশের খ্যাতনামা আট নারীকে।

চতুর্থ বারের মতো এ সম্মাননা প্রদান করেছে আরটিভি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এবার আটজন আলোকিত নারীকে সম্মাননা দেওয়া হয়। তারা হলেন— শিক্ষায় জাতীয় অধ্যাপক ড. সুফিয়া আহমেদ, সঙ্গীতে রুনা লায়লা, ভাষা আন্দোলনে ভাষাসৈনিক রওশান আরা বাচ্চু, অভিনয়ে (চলচ্চিত্র) কোহিনূর আখতার সুচন্দা, সাহিত্যে নাসরিন জাহান, নারী উদ্যোক্তায়, গোলাপ বানু, ক্রীড়া, মাবিয়া আক্তার সীমান্ত ও মাহফুজা খাতুন শীলা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ’র নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন— আরটিভির চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, প্রধান তথ্য কমিশনার গোলাম রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সাবেক সংসদ সদস্য কবরী সারোয়ার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, কবি আসাদ চৌধুরী, গাজী মাযহারুল আনোয়ার, সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব আজাদ রহমান, জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন কনকচাঁপা ও কণা, বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত আট উপন্যাস নিয়ে নির্মিত চলচিত্রের আট নারীকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ র‌্যাম্প শো। র‌্যাম্প শোটির কোরিওগ্রাফি ও নির্দেশনা দেন বুলবুল টুম্পা। ইভান শাহরিয়ার সোহাগের নির্দেশনায় লায়লা হাসান, অপি করিম ও রিচি সোলায়মান নৃত্য পরিবেশন করেন।

চিত্রনায়ক ফেরদৌসের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করেছেন সোহেল রানা বিদ্যুত।

 

কোম্পানির পর্ষদে নারী : এশিয়ার শীর্ষে বাংলাদেশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে নারীদের অংশগ্রহণের দিক থেকে এশিয়ার শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, কানাডা, রাশিয়ার মতো উন্নত দেশ থেকেও এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। ‘রিং দি বেল ফর জেন্ডার একুয়ালিরি’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০১৬ উপলক্ষে।

এতে জানানো হয়, বাংলাদেশে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদের ১৭ শতাংশ সদস্যই নারী। যেখানে যুক্তরাজ্যে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে নারীর অংশগ্রহণ ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ। আর যুক্তরাষ্ট্রে নারীর অংশগ্রহণ ১২ দশমিক ২ শতাংশ।

অপরদিকে, এশিয়ার প্রভাবশালী দেশগুলোর মধ্যে ভারতে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে নারী সদস্যের হার ৭ দশমিক ৭ শতাংশ, জাপানে মাত্র ২ দশমিক ৪ শতাংশ, চীনে ১০ দশমিক ৭ শতাংশ, হংকংয়ে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়াতে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ, কোরিয়াতে মাত্র ১ দশমিক ৮ শতাংশ।

এ ছাড়া কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে সিঙ্গাপুরে ৯ শতাংশ, ফিলিপাইনে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়াতে ১৫ দশমিক ১ শতাংশ, থাইল্যান্ডে ৯ দশমিক ৭ শতাংশ, কানাডাতে ১৩ দশমিক ১ শতাংশ, আর্জেন্টিনাতে ৮ শতাংশ, ব্রাজিলে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ, মেক্সিকোতে ৬ দশমিক ২ শতাংশ সদস্য নারী।

কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে নারীদের অংশগ্রহণ বাংলাদেশের থেকে বেশি এমন দেশের তালিকায় আছে ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নরওয়ে, সাউথ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস ও সুইডেন।

এর মধ্যে ডেনমার্কে ২১ দশমিক ৮ শতাংশ, ফিনল্যান্ডে ২২ দশমিক ১ শতাংশ, ফ্রান্সে ২৯ দশমিক ৯ শতাংশ, জার্মানিতে ১৮ দশমিক ৩ শতাংশ, ইতালিতে ২২ দশমিক ৩ শতাংশ, নরওয়েতে ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশ, সাউথ আফ্রিকাতে সাড়ে ১৭ শতাংশ, নেদারল্যান্ডসে ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ এবং সুইডেনে ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ পরিচালনা পর্ষদ সদস্য নারী।

এদিকে, বাংলাদেশে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে নারীদের সংখ্যা সব থেকে বেশি ওষুধ ও রাসায়নিক খাতের কোম্পানিতে। এ খাতের কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদ সদস্যের ২৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ নারী।

এ ছাড়া পরিচালনা পর্ষদে ২০ শতাংশের উপরে নারীরা রয়েছেন এমন খাতগুলোর মধ্যে টেক্সটাইলে ২৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ, চামড়ায় ২১ দশমিক ২১ শতাংশ, সেবা ও আবাসনে ২৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ, পাটে ২০ শতাংশ এবং বীমাতে ২২ দশমিক ১৪ শতাংশ।

বাকি খাতগুলোর মধ্যে ভ্রমণ খাতে ১২ শতাংশ, টেলিযোগাযোগে ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ, পেপার ও প্রিন্টিংয়ে ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ, আইটিতে ১১ দশমিক ৬৩ শতাংশ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে ৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ, খাদ্যে ৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ১৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ১৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ, সিরামিকে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ, সিমেন্টে ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ, ব্যাংকে ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং বিবিধ খাতে ১৫ দশমিক ৩১ শতাংশ পরিচালনা পর্ষদ সদস্য নারী।

ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্বপনকুমার বালার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক রুকসানা চৌধুরী, ডিএসইর সাবেক সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটু, ডিএসইর খুজেস্তা নূর এ নাহারীন প্রমুখ।

বক্তরা বলেন, দেশে নারীরা অনেক এগিয়ে গেছেন। কিন্তু এখনো কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে পুরুষদের তুলনায় নারীর অংশগ্রহণ অনেক কম। তাই বিএসইসি, ডিএসই, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে কোম্পানিগুলোকে পরিচালনা পর্ষদে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য চিঠি দেওয়া হবে।