banner

শনিবার, ০৩ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

ঈদে এসেছে শিশুদের বাহারী পোষাকের সমাহার

শিশুদের কথা মাথায় রেখে ফ্যাশন ও বুটিক হাউসগুলোর আয়োজনের কমতি নেই। দুই থেকে ১২ বছর বয়সী মেয়েশিশুদের জন্য থাকছে সালোয়ার-কামিজ, ফ্রক, স্কার্ট-টপস, ফতুয়া, থ্রিপিস ও টি-শার্ট। আর ছেলেদের জন্য ফতুয়া, প্যান্ট, শার্ট, টি-শার্ট, পাঞ্জাবি, শর্ট পাঞ্জাবি ইত্যাদি। মেয়েশিশুদের পোশাকে নকশা ও কাটিংয়ে রয়েছে বিশেষ ভিন্নতা। অ্যালাইন কাট, হাতাকাটা পোশাক ছাড়াও ঘটি হাতার ফ্রক ও টপসের সংগ্রহ বেড়েছে। কামিজের লেইসের ওপর বিশেষ ডিজাইন থাকছে। অধিকাংশ পোশাকই হাতা ছাড়া বা ছোট হাতার। কাপড়ের ক্যানভাসে থাকছে নানা রঙের আঁকিবুঁকি।

যে পুতুলটি নিয়ে খেলে, সেই ‘বার্বি ডলে’র গোলাপি ঝালরের পোশাকটি যেমন আছে, তেমনি আছে জনপ্রিয় কার্টুন চরিত্র টম অ্যান্ড জেরি, ব্যাটম্যান, সুপারম্যানের মতো পোশাকে সাজার সুযোগ। এ প্রসঙ্গে ক্যাটস আইয়ের পরিচালক সাদিক কুদ্দুস বলেন, ‘শিশুদের পোশাকের মোটিফ হিসেবে এলোমেলো নকশার বদলে চল বেড়েছে সাদাসিধে নকশার। বর্ণমালা কিংবা মজার সব ছবির ব্লকপ্রিন্টও আছে। তবে সুপার হিরো সিরিজের নানা কমিক ক্লাসিক্যাল চরিত্রগুলোও আছে ছোটদের পোশাকের ক্যানভাসে।’

10930068_10152921350495983_3097823985294016110_n 11181915_10152929369030983_1978034405776980301_n 11210519_10152908307275983_1124628282777824779_n

এই ঈদে বিশেষ মনোযোগ পাচ্ছে আবহাওয়ার বিষয়টি। বর্ষার বৃষ্টি হানা দিলেও গরম কিন্তু খুব একটা কমেনি। তাই আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে প্রাধান্য পাচ্ছে সুতি পোশাক। পাশাপাশি কিছু পোশাকে জর্জেট ও নেটের ব্যবহারও দেখা গেছে। ফ্যাশন হাউস ফড়িংয়ের ডিজাইনার মাহবুবুর রহমান মাসুম বলেন, ‘শিশুদের ক্ষেত্রে আরামের জন্য মনোযোগ দিচ্ছি সুতিতে। পাশাপাশি নজর রাখছি রঙে। কন্ট্রাস্ট কালার খুব চলবে শিশুদের এবারের ঈদ পোশাকে।’

1743592_450581961782651_8692982919775709943_n 11138100_450581291782718_991035887211225226_n

পরিবারের সবাই মিলে এক পোশাকে ঈদ উদ্‌যাপনেরও সুযোগ রেখেছে ফ্যাশন হাউসগুলো। বড়দের পোশাকের ডিজাইন ঠিক রেখে শুধু মাপ কমিয়ে বানানো হয়েছে শিশুদের পোশাক। বিশেষ করে মেয়েদের শাড়ি আর ছেলেদের পাঞ্জাবিতে দেখা মিলল এই ধারার। ফ্যাশন হাউস রিচম্যানের পরিচালক মনিরুল হক খান জানালেন, ‘বড়দের মতো ছোটদের জন্যও একই ডিজাইনের পাঞ্জাবি থাকছে, কেবল কমেছে পরিমাপ।’

পোশাকে প্রিন্টের অনেক রকম কাজ থাকছে। স্ক্রিনপ্রিন্টে নানা মোটিফের অলংকরণ যোগ হয়েছে। গরমের কারণে ভারী ডিজাইন করা হয়নি। হাতের কাজ, কারচুপি, কম্পিউটার এমব্রয়ডারি, অ্যাপ্লিক, রিবনের নকশাই কমবেশি রয়েছে। প্রজাপতির ডানা, কাপড়ের ফুল, টুনটুনি পাখি, সবই দেখা গেছে মোটিফ হিসেবে। মেয়েদের পোশাকের মধ্যে থ্রিপিসই বেশি চলছে বলে জানালেন ডিজাইনার মাহবুবুর রহমান মাসুম ‘মেয়েশিশুদের থ্রিপিসে এবারের ট্রেন্ড লং প্যাটার্ন। আগে কাপড়ের মাঝামাঝি শেড থাকত। এবার শেডের বদলে থাকছে স্ট্রেইটকাট।’

ছেলেদের শার্টে প্রাধান্য পাচ্ছে হাফ হাতা ও হাতা ছাড়া কাট। শার্টের মধ্যে চেকেরই প্রাধান্য। লং প্যান্টের বদলে কোয়ার্টার। সাদার পাশাপাশি রঙিন পাঞ্জাবি বেশ পছন্দ ছেলেশিশুদের। বিভিন্ন রঙের পাঞ্জাবির হাতা ও বুকে থাকছে কারুকাজের ছোঁয়া। বসানো হয়েছে পুঁতি। সুতি কাপড়ের বাইরে কারুকাজ করা সিল্কের পাঞ্জাবিও দেখা গেছে। বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসে দেখা গেল বড়দের পাঞ্জাবির সঙ্গে মিলিয়ে শিশুদের পাঞ্জাবি তৈরি করেছে। পাঞ্জাবির সঙ্গে আছে চুড়িদার পায়জামা, আলিগড়ি, কাবলি পায়জামাসহ নানা ধরনের প্যান্ট। বড়দের মতো এসব পাঞ্জাবির কলার ও হাতায় মেশিন এমব্রয়ডারির কাজ থাকছে।

10959312_10152571015506555_1593120823705727136_n

স্টুডিও এমদাদের ডিজাইনার এমদাদ হক বলেন, ‘অন্যান্য উৎসবের মতো ঈদের পোশাকেও রঙের যথেষ্ট ব্যবহার দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে ডিজাইনের সঙ্গে মিলিয়ে রং ব্যবহার হয়।’ ডুয়েটঅ্যাড ঐতিহ্যের কর্ণধার অনুপ কুমার পাল জানান, বর্ষা ও গরমের কথা মাথায় রেখে পোশাকে সব ধরনের উজ্জ্বল রং ব্যবহার করা হয়েছে। কাপড়ে ব্যবহার করা হয়েছে আকাশি, গাঢ় নীল, লাল, কমলা, জলপাই, হলুদ, বাদামি, ম্যাজেন্টা, নীল, গোলাপি, টিয়া, সবুজ, কালো ইত্যাদি রং। কোথাও শুধু সাদা কাপড়ের অর্ধ ভাগজুড়ে ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন রং। আবার দু-তিনটি রঙের মিশেলে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে রংবৈচিত্র্য।

সূত্র-কালের কন্ঠ।

মজাদার হরেক রকমের হালিম

রমজানে ইফতারের নানা আয়োজনের মাঝে হালিম অন্যতম একটি নাম। আমাদের দেশে বিশেষ করে ঐতিহ্যবাহী ঢাকায় ইফতারে হালিমের চাহিদা অনেক। আর তাই আমাদের রন্ধনশিল্পীরাও তৈরী করছেন নানান রকমের ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের সুস্বাদু হালিম।

আজকে আমরা দেখবো মিসেস নাজমা হুদার তৈরী কয়েক রকমের হালিম তৈরীর প্রণালী।

মাখন পনির হালিম

11666035_919088561491439_5567090117782597566_n

উপকরণ: পনির ২ লিটার দুধের, কাজুবাদাম আধা কাপ, মাখন ৫০ গ্রাম, তেল আধা কাপ, হালিম মিক্স ১ কাপ (পানিতে ভেজানো), পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, বেরেস্তা (সোনালি রং) ৪ টেবিল চামচ, ক্রিম ১ টিন, কাশ্মীরি মরিচের গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, দই ২ টেবিল চামচ, হালিম মিক্স ২ কাপ (সেদ্ধ করা), হালিম মসলা ১ চা-চামচ, কাসুরি মেথি ১ টেবিল চামচ, টমেটোকুচি ১ কাপ, আদা-রসুনকুচি ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি: প্যানে মাখন দিয়ে আদা, রসুনকুচি দিয়ে একটু ভেজে পেঁয়াজ দিন। পেঁয়াজ একটু সেদ্ধ হয়ে এলে টমেটোকুচি ও কাজুবাদাম দিয়ে ভেজে নিন। এটি ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরি করে নিন। পনির ছোট ছোট করে টুকরা করে সামান্য বাগার দিয়ে একটু ভেজে নিন। এবার পাত্রে তেল দিয়ে ব্লেন্ড করা মসলা ঢেলে তার মধ্যে কাশ্মীরি মরিচের গুঁড়া ও হালিম মসলা দিয়ে খুব ভালো করে কষিয়ে নিন। সেদ্ধ করা হালিম মিক্স দিয়ে দিন। হালিম হয়ে এলে ভাজা পনির ও কিছু কাজু দিয়ে ক্রিম ও বেরেস্তা দিয়ে দমে রাখুন। নামানোর আগে মাখনে কাসুরি মেথি দিয়ে হালিমের মধ্যে ঢেলে দিন। ইচ্ছে করলে একটু চিনি দেওয়া যায়।

 

মুরগি-সবজি হালিম
11709401_919088548158107_373879807945525972_n
উপকরণ: :
মুরগির মাংস ১ কাপ (কিউব কাট),গাজর আধা কাপ,আলু আধা কাপ,মটরশুঁটি আধা কাপ,হালিম মিক্স ১ কাপ, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, পেঁয়াজ বেরেস্তা ২ টেবিল চামচ, মালাই ২ টেবিল চামচ,
আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হালিম মসলা ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ৪-৫টি,
ধনেপাতা ও পুদিনাপাতা ১ মুঠ, তেল আধা কাপ, ঘি ২ টেবিল চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো।

প্রণালি: :
সব সবজি কিউব করে কেটে নিন। একটি পাত্রে ঘি দিয়ে মুরগিতে একটু লবণ মাখিয়ে ভেজে উঠিয়ে নিন। একই পাত্রে সবজিগুলো হালকা করে ভেজে নিন। তেলে পেঁয়াজ দিয়ে ভেজে একে একে সব মসলা দিয়ে কষিয়ে নিন। এবার হালিম মিক্স দিয়ে কষিয়ে সেদ্ধ হওয়ার জন্য পানি দিন। হয়ে গেলে মালাই, বেরেস্তা, চিনি ও কাঁচা মরিচ দিয়ে দমে রাখুন। একটু পর নামিয়ে পাত্রে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। 

চিকেন তন্দুরী হালিম 
2331a3fc48f97210ff6c349d6723977a-14
উপকরণ: মুরগির মাংস ১৬ টুকরা, হালিম মিক্স ১ কাপ, পেঁয়াজ বেরেস্তা ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজবাটা আধা কাপ, তন্দুরি মসলা ২ চা-চামচ, হালিম মসলা ১ টেবিল চামচ, শুকনা মরিচের গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, আদাবাটা ২ টেবিল চামচ, রসুনবাটা ২ টেবিল চামচ, টকদই ২ টেবিল চামচ, টমেটো সস ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: সব মসলা থেকে অর্ধেক দিয়ে মুরগি মাখিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। এরপর শিকে অথবা তাওয়াতে অল্প তেল দিয়ে পোড়া পোড়া করে সেঁকে নিন।
হালিম মিক্স পানিতে ২০ মিনিট ভিজিয়ে সেদ্ধ করে নিন। তেলে পেঁয়াজ লাল করে ভেজে নিন। এবার হলুদ, মরিচের গুঁড়া, আদাবাটা, রসুনবাটা, টকদই ও হালিম মসলা দিয়ে কষিয়ে নিন। মুরগি দিয়ে কষিয়ে ২ কাপ পানি দিন। মুরগি সেদ্ধ হলে হালিম মিক্স দিন। প্রয়োজনমতো পানি দিয়ে ভালো করে জ্বাল দিয়ে নামিয়ে নিন।

 

মাথা ব্যাথার নানা কারণ

মোবাইল ফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ, ডেস্কটপের মতো ডিজিটাল যন্ত্র একটানা ব্যবহার করলে মাথাব্যথা হতে পারে। এ সমস্যার সমাধানে কথা বলেছেন নিউইয়র্কের এক স্নায়ুবিদ।
কখনো কখনো একটানা কম্পিউটার ব্যবহারে মাথার ভেতর দপদপে বা চিনচিনে ব্যথা শুরু হয় পরে আবার তা চলেও যায়। কিন্তু এই সামান্য মাথাব্যথাও অনেক সময় তীব্র যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে। একে মাইগ্রেনও বলে। মাইগ্রেনের সমস্যায় যদি কোনো চিকিৎসা নেওয়া না হয় তবে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত মাইগ্রেনের যন্ত্রণা হতে পারে।
কতবার এবং কতক্ষণ মাইগ্রেন স্থায়ী হচ্ছে সে বিবেচনা করেই চিকিৎসা দেন চিকিৎসক। অবশ্য এই মাইগ্রেন বা মাথাব্যথা পুরোপুরি নির্মূল করার চিকিৎসা নেই। কারণ এটি প্যাথো-ফিজিওলজির বিষয়। এটি ঠিক কী কারণে হয় তা পুরোপুরি এখনো বুঝতে পারেননি গবেষকেরা। কিন্তু মাইগ্রেনের লক্ষণ দেখে জীবনযাপনের ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন এনেই এর চিকিৎসা করা যায়। এ জন্য অবশ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবলে গত জুন মাসটি মাইগ্রেন সচেতনতা দিবস হিসেবে পালন করেছে। এ মাস উপলক্ষে ম্যাশেবলের প্রতিবেদনে নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ড. অড্রে হালপার্নের পরামর্শ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রযুক্তির প্রতি আসক্তি এবং প্রযুক্তির ব্যবহারে কীভাবে আমাদের মাথাব্যথা বা মাইগ্রেন হচ্ছে তা নিয়ে কথা বলেছেন এই স্নায়ুবিদ।
ডিজিটাল স্ক্রিনের দিকে চেয়ে থাকা
মোবাইল, ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের মতো স্ক্রিনে দীর্ঘক্ষণ এক নাগাড়ে তাকিয়ে থাকলে মাথা ব্যথা দেখা দিতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে ৬০ শতাংশ মার্কিনিরা দিনে ছয় ঘণ্টা স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকেন। ডিজিটাল স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকায় চোখের যে প্রদাহ হয় তাতে মাথা ব্যথা হতে পারে। ড. হালপার্নের পরামর্শ হচ্ছে, হিপটোনাইজ করে রাখে যে ডিভাইসগুলো তা থেকে কিছুক্ষণের জন্য বিরতি নিতে হবে। কিংবা এক নাগাড়ে আধা ঘণ্টার বেশি ডিজিটাল স্ক্রিনের দিকে চেয়ে থাকা যাবে না। এ ছাড়া অ্যান্টি-গ্লো স্ক্রিন প্রটেক্টরও কেনা যেতে পারে।
ঘাড়ে টান লাগা
ড. হালপার্ন বলেন, ফোনের দিকে ঘাড় নিচু করে চেয়ে থাকা বা এক নাগাড়ে ডেস্কে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার করায় ঘাড়ে টান লাগতে পারে এবং মাইগ্রেন শুরু হতে পারে। ঘাড়ের এই টান লাগার সঙ্গে মাইগ্রেনের সম্পর্কের বিষয়টি অত্যন্ত জটিল একটি বিষয়। কাজের ক্ষেত্রে যাতে ঝুঁকে বসে কাজ করতে না হয় বা কম্পিউটার স্ক্রিনের সঙ্গে যেন বসা ঠিক হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সঠিক উচ্চতায় বসা, চেয়ারের উচ্চতা ঠিক ও কম্পিউটার স্ক্রিনের উচ্চতা ঠিকঠাক রাখলে ঘাড়ে টান লাগে কম।
মোবাইল যন্ত্রণা
সব কিছুতেই এখন মোবাইল বাগড়া দেবে, বিষয়টি এখন প্রতিনিয়তই ঘটছে। ড. হালপার্ন বলেন, এখন ভারচুয়ালি কাজ বা চাপ সৃষ্টিকারী বিষয় থেকে দূরে থাকা আর সম্ভব নয়।
তাঁর মতে, মানসিকভাবে যদি বিরতি না নেওয়া হয় তবে আমাদের মনের ওপর চাপ বাড়তে তাকে। এর ফলেও মাথাব্যথা দেখা দিতে পারে। তাঁর পরামর্শ হচ্ছে, যেহেতু রাত আটটার পরেই ফোন বন্ধ করে মানসিক শান্তি খুঁজে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না তাই অন্য কোনো উপায়ে চাপ কমাতে হবে। এ ক্ষেত্রে যোগ ব্যায়াম বা মেডিটেশন কাজে আসতে পারে।
উজ্জ্বল আলো
যদি ঘুমানোর আগে ফোনের দিকে তাকানোর অভ্যাস গড়ে ওঠে তবে ঘুম চক্র নষ্ট হবে। এতে দিনের বেলায় কাজের সময় বেশি ক্লান্ত ও চাপ মনে হবে। রাতে কোনো উজ্জ্বল আলো ঘুম নষ্ট করলে তা থেকে মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ড. হালপার্ন বলেন, আমাদের শরীর ঘুমানোর সময় বিশ্রামে যেতে চায়, উদ্দীপক কোনো উজ্জ্বল আলো চায় না। এর সঙ্গে চোখের প্রদাহের পরিষ্কার কোনো সম্পর্ক আছে। ল্যাপটপ চার্জ হওয়ার সময় যে সামান্য আলো দেখা যায় সেটি কিংবা রাতে টিভি চালিয়ে রেখে ঘুমাতে গেলেও সহজে ঘুম আসতে চাইবে না। স্নায়ুবিদ হালপার্ন মনে করেন, ঘুমানোর ঘরে কোনো ইলেকট্রনিকসের জিনিস থাকা ঠিক নয়। আমাদের পুরো ঘর অন্ধকার করে ঘুমানো উচিত।

সূত্র-প্রথম আলো।

 

অন্যদের কথায় মন দিলে নিজের লক্ষ্যের দিকে যাওয়া যায় না- হাসিনা নেওয়াজ

আজকে যাকে নিয়ে যার শুরু এবং সফলতা নিয়ে কথা হবে তিনি আমাদের মাঝে অনেক গুলো পরিচয়ে পরিচিত। একাধারে গৃহিনী,মা,স্ত্রী এবং সফল ব্যবসায়ী। সমাজে নিজ পরিচয়ে প্রতিষ্ঠিত একজন সফল নারী। তখন সত্তরের দশকে বাঙ্গালী সমাজে কোন নারী নিজ উদ্যোগে কিছু করার ব্যাপারে,নিজের আলাদা একটা পরিচয় দাঁড় করানোর ব্যাপারে অতোটা ভাবতেন না। কিন্তু ব্যতিক্রম তো কেউ না কেউ থাকে,যারা কি না সাধারনের ভীড় থেকে তৈরী করেন নিজের অসাধারন পরিচয়। তেমনই একজন আমাদের অত্যন্ত প্রিয় মুখ,গর্বিত হাসির অধিকারিণী মিসেস হাসিনা নেওয়াজ।

মিসেস নেওয়াজের শুরুটা ছিল ১৯৭৬ সালে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে পড়াশোনা শেষে সবাই ধরেই নিয়েছিল গৃহিণীই হবেন তিনি। মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করার জন্য যেকোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানেই চাকরির সুযোগ মিলত তাঁর। এমফিল করার সুযোগও ছিল। বাংলা একাডেমিতে চাকরির সুযোগ ছিল। সেসব কিছুই করলেন না তিনি। হাসিনা বলেন, ‘আমি নিজে কিছু করতে চাইছিলাম। প্রচলিত চাকরির ধারণাকে ছাপিয়ে নিজের ব্যবসা বা উদ্যোগের প্রতি আমার আগ্রহ ছিল তখন।’ চাকরির চেয়ে হাসিনা নেওয়াজের অবশ্য ভাবনা ছিল বড় কিছু করা। ঢাকায় স্বামী আর কন্যাকে নিয়ে সুখেই দিন কাটানোর সব সুযোগই ছিল তাঁর। সব একপাশে রেখে বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিঠি লেখা শুরু করেন তিনি। বিভিন্ন দূতাবাস থেকে ঠিকানা জোগাড় করে বিভিন্ন জায়গায় রপ্তানির জন্য লিখতেন। চিঠি লিখতে লিখতে একসময় একটা সুযোগ পেয়ে যান। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বন্ধু সামুদ্রিক মাছ ও প্রাণী রপ্তানির বুদ্ধি দেয়। সহপাঠী হংকংয়ের এক ব্যবসায়ীর খোঁজও দেয়। অনেক দৌড়াদৌড়ি আর পরিশ্রমের পরে সেই ভদ্রলোক হাসিনা নেওয়াজের কাছ থেকে কচ্ছপ, ইলিশ মাছ, কাঁকড়া নেওয়া শুরু করেন। বাবার অনুপ্রেরণা আর স্বামী শাহনেওয়াজ তালুকদারের উৎসাহে ধীরে ধীরে শুরু করেন অন্য ব্যবসা।

11146283_450243981811067_2870035727694325137_n

১৯৮২ সালে শুরু করেন অর্কিড প্রিন্টার্স। হাসিনার ভাষ্যে, ‘ব্যবসায় প্রচুর প্রতিবন্ধকতা থাকে। এর সঙ্গে যুক্ত হয় সামাজিক প্রতিবন্ধকতা। অনেকেই অনেক কথা বলতেন, কিন্তু আমার একটা ব্যাপারেই মনোযোগ ছিল; আর তা কাজ আর কাজ।’ বাবা আবদুল হাসিব চৌধুরীর ব্যবসা দেখেই ছোটবেলা থেকে নিজে কিছু করার স্বপ্ন দেখতেন হাসিনা। তিনি জানান, ‘আমার বাবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি নিয়েও চাকরি করেননি, ব্যবসা করেছেন। আমিও বাবার মতো কিছু করতে চেষ্টা করেছি।’
১৯৮২ সালে শুরু করা মুদ্রণ ব্যবসাকে সময় আর শ্রম দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন হাসিনা। তিনি বলেন, ‘পথে নামলে অনেক কথা শুনতে হয়। অন্যদের কথায় মন দিলে নিজের লক্ষ্যের দিকে যাওয়া যায় না। সমাজের প্রতিবন্ধকতা থাকবেই, কিন্তু নিজের জ্ঞান আর বুদ্ধি দিয়ে সব পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যেতে হবে লক্ষ্যের দিকে।’ এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছেন প্রত্যয়ী হাসিনা নেওয়াজ।

11103023_1408111039507852_5894643267663730164_n

মিসেস হাসিনা নেওয়াজ বর্তমানে ঢাকার একটি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান অর্কিড প্রিন্টার্সের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সেই সাথে বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্সের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি। এ ছাড়া তিনি ডেইলি স্টার-ডিএইচএল ‘আউটস্ট্যান্ডিং উইমেন ইন বিজনেস’ পুরস্কার পেয়েছেন ২০০৫ সালে। ২০১৩ সালে পেরুর রাজধানী লিমাতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের শিল্প উন্নয়ন সংস্থা ইউএনআইডিওর এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর মিনিস্ট্রিয়াল সাউথ সাউথ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের সদস্য ছিলেন তিনি।

অপরাজিতাবিডি পরিবারের পক্ষ থেকে মিসেস হাসিনা নেওয়াজের জন্য রইলো অনেক অনেক সফলতা ও শুভ কামনা।

 

জাতীয় কবি পৌত্রীকে সম্মাননা দিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে নজরুল-প্রমীলার কলকাতানিবাসী পৌত্রী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অনিন্দিতা কাজীকে সম্মাননা দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাকে এ সম্মাননা দেয়া হয়।

11013102_431723750322807_8227905856558728736_n

 

নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এ সম্মাননা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন। সম্মাননা জ্ঞাপক বক্তব্য প্রদান করেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এবং সামাজিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। অনুষ্ঠানের শুরুতেই উপাচার্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে অনিন্দিতা কাজীকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন।

অনিন্দিতা কাজী তার বক্তব্যে পারিবারিক স্মৃতিচারণ করে দাদু নজরুলের জীবনের সঙ্গে নিজের জীবন-সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দাদু বিদ্রোহের চেয়েও বেশি ভালোবাসা লালন করতেন। বাংলাদেশে নজরুল চর্চার নানা দিকের কথা উল্লেখ করে বর্তমানে তরুণ শিল্পীরা নজরুলশিক্ষার প্রতি যে আগ্রহী হয়ে উঠছে, সেটি একটি শুভ লক্ষণ বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মান প্রদান করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।