banner

শনিবার, ০৩ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

রোগীদের জন্য রমজানে যে বিষয়গুলো লক্ষ্যনীয়

ইসলামের ৫টি মূল স্তম্ভের মধ্যে রোজা অন্যতম। রমজানের রোজা আল্লাহ তায়ালার এক বিশেষ নিয়ামত।
অনেকে জটিল রোগে ভোগেন, কিন্তু নিজের আত্মার শান্তি এবং ধর্মীয় নির্দেশনার প্রয়োজনে রমজানের রোজা রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আবার এমনও লোক দেখা যায় যারা অজুহাত খোঁজেন রোজা না রাখার জন্য। কিন্তু অনেক রোগের ক্ষেত্রে রোজা রোগ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে তীব্র অসুস্থতায় অথবা কোন জটিল রোগে রোজা রাখা না রাখার ব্যাপারেও ধর্মীয় নির্দেশনা আছে। তবে কোন অজুহাতে বা সামান্য কোন অসুস্থতায় রোজা না রাখার কোন যৌক্তিকতা নেই।
পেপটিক আলসার রোগে আক্রান্ত রোগী
যারা গ্যাস্ট্রিক আলসার বা পেপটিক আলসারে ভোগেন, তারা অনেকেই মনে করেন খালি পেটে থাকলে এসিডিটির সমস্যা বাড়বে। এ ধরনের রোগীরা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগেন যে রোজা রাখবেন কিনা। আসলে রোজা রাখলে সাধারণত এসিডিটি বাড়ে না। রোগীদের প্রধান কাজ হল নিয়মিত খাবার খাওয়া, নিয়মিত ঘুমানো এবং নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ। রোজায় মানুষের জীবন একটা নিয়মে চলে আসে বিধায় এ সময় এসিডিটির সমস্যা অনেকাংশে কমে যায়। অবশ্যই ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। প্রয়োজনে ইফতার এবং সেহেরির সময় রেনিটিডিন বা ওমিপ্রাজল গ্রুপের ওষুধ একটা করে খেয়ে নিতে পারেন। এমনকি রাত্রে দুই-তিনবার এন্টাসিড ওষুধ খেলেও কোন অসুবিধা হবে না।
ডায়াবেটিস
ডায়াবেটিস হলে রোগী রোজা রাখতে পারবেন না একথা মোটেই ঠিক নয়। বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকগণ এবং ইসলামী আলেমগণ উভয়েই রোজা রাখার পক্ষেই মত দিয়েছেন। মোটামুটিভাবে নিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে খুব সহজেই রোজা রাখা সম্ভব। আধুনিক চিকিত্সা বিজ্ঞানের অভাবনীয় উন্নতি ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য রোজা রাখা অনেক সহজ করে দিয়েছে। তবে রোজা রাখার জন্য ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিন কিংবা কোনো ওষুধ গ্রহণের সময়টা একটু পরিবর্তন করে সেহরি ও ইফতারের সঙ্গে সমন্বয় করে নিতে হবে। যেসব ডায়াবেটিক রোগী ঝুঁকির কথা জেনেও ধর্মীয় কারণে রোজা রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, তারা রোজা শুরুর আগেই চিকিত্সকের সাথে পরামর্শ করে জটিলতা এড়িয়েই রোজা রাখতে পারেন।
হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের রোগী
রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকলে হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের রোগীদের রোজা রাখতে কোনো বাধা নেই। রোজা কোনোভাবেই হাঁপানি রোগ বাড়িয়ে দেয় না। যদি হাঁপানি বাড়তেই থাকে, তাহলে রোগী ইফতার এবং সেহেরির সময় দীর্ঘস্থায়ী জাতীয় বড়ি খেয়ে নিতে পারেন। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, দিনের বেলায় শ্বাসকষ্ট হলে ইনহেলার নেয়া যাবে। তাতে রোজার কোন ক্ষতি হবে না।
কিডনি রোগ
যারা কিডনির রোগে আক্রান্ত তাদের রোজা রাখা যাবে না এমন কোনো কথা নেই। যে সমস্ত রোগী ক্রনিক কিডনি ফেইল্যুরে আক্রান্ত, তাদেরকে সুনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করতে হয়, নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়, এমনকি পানি খাওয়ার ক্ষেত্রেও সতর্কতা ও পরিমাণ অনুযায়ী খেতে হয়। তাই রোজা রাখার ক্ষেত্রে তাদের বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। যাদের কিডনি ফেইল্যুরের মাত্রা একেবারে শেষ পর্যায়ে, তাদের পক্ষে রোজা রাখা সম্ভব নয়। তেমনি যারা ডায়ালাইসিসের রোগী অথবা ইতোমধ্যে কিডনি প্রতিস্থাপন করেছেন তাদের পক্ষেও রোজা রাখা প্রায় অসম্ভব। অল্প থেকে মধ্যম মাত্রার কিডনি ফেইল্যুর রোগীরা রোজা রাখলে কোনো ক্ষতি হয় না। তবে কিডনি আক্রান্ত রোগীদের শারীরিক অবস্থা যা-ই থাকুক না কেন, সর্বাবস্থায় একজন কিডনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে রোজা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়াই শ্রেয়।
উচ্চ রক্তচাপ
উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের বেলায় রোজা আরও উপকারী। আজকাল অনেক ওষুধ পাওয়া যায় যেগুলো দিনে একবার বা দুইবার খেলেই চলে। ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী ইফতার বা সেহেরির সময় বা প্রয়োজনে দুইবারই ওষুধ খেলে রক্তচাপ পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। অনেক রোগীর রক্তে কোলেস্টেরল বা অন্যান্য চর্বির মাত্রা বেশি থাকে। এসব নিয়ন্ত্রণেও রোজা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
হার্টের রোগ
হূদরোগ বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রেই রোজা রাখতে কোন নিষেধ নেই। তবে একিউট মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন, হার্ট ফেইলিউর ইত্যাদি রোগ থাকলে রোজা না রাখাই শ্রেয়। আবার একথাও সত্য যে অনেক ক্ষেত্রে হূদরোগীদের জন্য রোজা রাখা খুবই উপকারী। ভাজাপোড়া এড়িয়ে চলা, চর্বিজাতীয় খাবার পরিহার করা এবং ইফতারের দুই ঘণ্টা পর একটু ব্যায়াম করা উচিত। যারা নিয়মিত তারাবির নামাজ আদায় করেন, তারা ব্যায়াম নাও করতে পারেন। যারা নিয়মিত ওষুধ খান, তারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সম্ভব হলে সবগুলো ওষুধ রাতের বিভিন্ন সময়ে ভাগ ভাগ করে খেলে যদি অসুবিধা না হয় তো সেভাবেই ওষুধ খাবেন। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, দিনে যদি এনজাইনার ব্যথা হয়, তবে জিহ্বার নিচে স্প্রে জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা যাবে, তাতে রোজার ক্ষতি হবে না।
লিভারের অসুখ
লিভারের রোগীদের রোজা রাখা নির্ভর করে রোগটির ধরনের ওপর। কেউ যদি ভাইরাল হেপাটাইটিস নামক রোগে আক্রান্ত হন, তারা খেতে পারেন না, ঘন ঘন বমি হয়, রুচি নষ্ট হয়, জন্ডিস দেখা দেয়। অনেক সময় তাদের শিরায় স্যালাইন বা গ্লুকোজ দিতে হয়। তাদের পক্ষে রোজা না রাখাই ভাল। আবার যারা লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত, তাদের যদি রোগের লক্ষণ কম থাকে, তবে রোজা রাখতে পারেন।
চোখ, কান বা নাকের রোগী
রোজায় চোখের বা নাকের রোগীরা যে সমস্যায় পড়েন সেটি হল রোজা রাখা অবস্থায় ড্রপ ব্যবহার করতে পারবেন কিনা। চোখ বা নাকে ড্রপ দিলে তা মুখে চলে যেতে পারে, তা ফেলে দিয়ে কুলি করে ফেলা উচিত। ফলে ওষুধ গলায় বা পেটে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকে না। সে ক্ষেত্রে রোজা রেখে অনায়াসে চোখে বা নাকে ড্রপ দেয়া যায়। কানের ড্রপ দিলেও রোজার কোন ক্ষতি হবে না। এমন মতামতই ব্যক্ত করেছেন ইসলামী চিন্তাবিদগণ।
গর্ভাবস্থায় রোজা
গর্ভবতী মায়ের যদি শারীরিক কোনো জটিলতা না থাকে, তা হলে রোজা থাকতে কোনো বাধা নেই।
বুকের দুধ খাওয়ানো
বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ালে রোজার কোন ক্ষতি হবে না। রোজা রাখলে বুকের দুধ কমে যায় না। অবশ্যই সেহরি ও ইফতারের সময় প্রচুর তরল খাবার খেতে হবে। ইফতারের পর শোয়া পর্যন্ত প্রচুর পানি ও তরল খাবার খেতে হবে।
শেষ কথা হচ্ছে নিয়ন্ত্রণযোগ্য রোগে কিংবা সামান্য অসুস্থতায় রোজা রাখতে কোনো নিষেধ নেই, বরং রোজা রাখা রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তবে তীব্র অসুস্থতায় কিংবা জটিল রোগে রোজা রাখা ঠিক হবে না। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন সংশ্লিষ্ট চিকিত্সক।

 

লেখক: ডাঃএবিএম আব্দুল্লাহ। অধ্যাপক, মেডিসিন বিভাগ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়

 

নারী উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন সেবা কার্যক্রম এনেছে আইডিএলসি

নারী উদ্যোক্তাদের আর্থিকসহ সব ধরনের সহযোগিতা করতে ‘আইডিএলসি পূর্ণতা’ নামে সেবা কার্যক্রম চালু করেছে নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড।

সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, নারীদের সব কাজের স্বীকৃতি মিললে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তাদের আসন আরও ওপরে থাকতো। নারী উদ্যোক্তাদের যে ধরনের সহায়তা দেয়া দরকার আমরা তা দিতে পারিনি। ‘আইডিএলসি পূর্ণতা’র কথা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে জানালে তারাও উত্সাহিত হবে। এতে সুফল পাওয়া যাবে।
bb1
পূর্ণতা প্রকল্পের আওতায় নারী উদ্যোক্তাদের ঋণের পাশাপাশি ব্যবসায়িকভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে ডিপোজিট সুবিধা, সব উদ্যোক্তার মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ সম্পর্ক স্থাপন, বীমা সুবিধা দেয়া, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ সহায়তা, অনলাইনে পণ্য বিপণনের সুযোগ সৃষ্টি করা, হেল্পলাইনের মাধ্যমে তথ্য সেবা দেয়া হবে।
এছাড়া ব্যবসা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় দলিল ও ঋণ অনুমোদনপত্র প্রস্তুতে সহায়তা করা এবং নির্দিষ্ট বিপণি বিতানে বিভিন্ন পণ্যের আকর্ষণীয় মূল্য সুবিধা উপভোগ করতে বিশেষ ‘মূল্যছাড় কার্ড’ দেয়া হবে।
পূর্ণতা প্রকল্পের অধীনে চাহিদা অনুযায়ী চলতি ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নিতে পারবেন নারী উদ্যোক্তারা। এক্ষেত্রে তিন লাখ টাকা থেকে শুরু করে ব্যবসার ধরন বুঝে ঋণ দেয়া হবে। নতুন প্রকল্পের সুবিধা হল, কোনো উদ্যোক্তা আবেদন করার তিনদিনের মধ্যে ঋণ পাবেন কি-না তা জানিয়ে দেয়া হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবুল কাশেম, আইডিএলসি’র চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর এফ হোসেন, মহাব্যবস্থাপক জাহিদ ইবনে হাই প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে আইডিএলসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর এফ হোসেন জানান, গত পাঁচ বছরে তাদের প্রতিষ্ঠানের এসএমই ঋণ বেড়েছে প্রায় আট গুণ। ২০১১ সালে শুরু হয়ে এখন পর্যন্ত দুই হাজার ২২০ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। এই খাতে খেলাপির সংখ্যাও এতই কম, যা মাত্র ০.০৭ শতাংশ।

জাহিদ ইবনে হাই জানান, ব্যবসা পরিচালনার জন্য তারা প্রয়োজনীয় দলিল ও ঋণ অনুমোদনপত্র প্রস্তুতে সহায়তা করা এবং নির্দিষ্ট বিপণি বিতানে বিভিন্ন পণ্যের আকর্ষণীয় মূল্য সুবিধা উপভোগ করতে বিশেষ ‘মূল্যছাড় কার্ড’ দেবেন। এ ছাড়া পূর্ণতা প্রকল্পের অধীনে চাহিদা অনুযায়ী চলতি ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নিতে পারবেন নারী উদ্যোক্তারা।

সূত্র- ইত্তেফাক

 

বাড়ছে নারী উদ্যোক্তা

স্বল্প সুদে জামানত ছাড়া ঋণ পাওয়ায় বাড়ছে নারী উদ্যোক্তা। শহরের পাশাপাশি গ্রামেও দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা। আর সমাজে নারীর ক্ষমতায়ন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারী উদ্যোক্তা বাড়াতে ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে (এসএমই) প্রতিনিয়ত নতুন নারী উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। বাড়ছে উদ্যোক্তার সংখ্যা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ এক পর্যালোচনায় দেখা গেছে—চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) এসএমই খাতে এক হাজার ৭৮২ জন নতুন নারী উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। গতবছর অর্থাত্ ২০১৪ সালের প্রথম তিন মাসে এর পরিমাণ ছিল ৬৭৭ জন। ফলে গতবছরের একই সময়ের তুলনায় এ বছর এক হাজার ১০৫ জন বেশি নতুন নারী উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। অর্থাত্ শতকরা হিসেবে এর বৃদ্ধির হার ১৬৩ দশমিক ২২ শতাংশ।
নতুন নারী উদ্যোক্তা তৈরি প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশ্যাল প্রোগ্রামস বিভাগের মহাব্যবস্থাপক স্বপন কুমার রায় বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন তহবিলেরর আওতায় নারী উদ্যোক্তারা সহজ শর্তে এবং স্বল্প সুদে ঋণ পাওয়ায় এসএমই খাতে নতুন নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা বাড়ছে। এর পাশাপাশি প্রান্তিক পর্যায়ের কোনো নারী ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে যাতে কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন না হয়, এ বিষয়ে আমরা কঠোর মনিটারিং করছি। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোও এ বিষয়ে সচেতন রয়েছে। এতে সহজে নতুন উদ্যোক্তারা ঋণ পাচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রত্যেক শাখা থেকে কমপক্ষে তিনজন নারী উদ্যোক্তাকে ঋণ দেয়ার নির্দেশনা দিয়ে আমরা যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিলাম, তারও সুফল উদ্যোক্তারা পেতে শুরু করেছেন। কেবল চলতি বছর নয়, বিগত কয়েকবছর যাবত্ নতুন নারী উদ্যোক্তা বৃদ্ধির এই প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। আর নতুন উদ্যোক্তাদের মধ্যে নারীরাই বেশি সফল হচ্ছেন।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে—চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত দেশে প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ সেবার আওতায় ৮০ হাজার ৩৭০ জন নারী উদ্যোক্তা রয়েছেন। এদের মাঝে বছরের প্রথম তিন মাসে ৮৮৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়েছে, যা বিগত বছরের একই ত্রৈমাসিকে বিতরণকৃত ঋণের চেয়ে ৫৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা বেশি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এসএমই খাতে ২ লাখ ১০ হাজার ৮০০ উদ্যোক্তার মাঝে মোট ২৬ হাজার ১৪০ কোটি ৮ লাখ টাকার এসএমই ঋণ বিতরণ করেছে।
সূত্র- ইত্তেফাক।