যুক্তরাজ্যের বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স-৬ (এমআই৬)-এর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রধান পদে একজন নারী নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এমআই৬-এর বর্তমান প্রধান রিচার্ড মুর-এর স্থলাভিষিক্ত হবেন ব্লেইস মেট্রেওয়েইলি।
বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, ব্লেইস মেট্রেওয়েইলি ১৯৯৯ সাল থেকে ব্রিটিশ সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস-এ কর্মরত। বর্তমানে তিনি সংস্থাটির প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করছেন। পেশাগত জীবনের বড় একটি অংশ তিনি কাটিয়েছেন মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে। এর আগে তিনি এমআই৫-এর পরিচালক পদেও দায়িত্ব পালন করেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার তাঁর নিয়োগকে ‘ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “যখন জাতীয় নিরাপত্তার কাজ স্মরণকালের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, তখন এমন নেতৃত্ব নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী।”
ব্লেইস মেট্রেওয়েইলি ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নৃতত্ত্ব বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। ২০২৪ সালের ‘কিংস ওভারসিস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অনারস লিস্ট’-এ তাঁকে যুক্তরাজ্যের বৈদেশিক নীতিতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সিএমজি (কম্প্যানিয়ন অব দ্য অর্ডার অব সেইন্ট মাইকেল অ্যান্ড সেইন্ট জর্জ) উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
২০২১ সালে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে (তখন তিনি ছিলেন এমআই৫-এর পরিচালক) তিনি বলেছিলেন,“যুক্তরাজ্যের জাতীয় নিরাপত্তার হুমকিগুলো এখন বহুস্তরবিশিষ্ট।
রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা, প্রযুক্তি, অর্থনীতি, এমনকি নাগরিকদের নিরাপত্তাও হুমকির মুখে।”
তিনি আরও বলেন “রাশিয়া নয়, বরং রাশিয়ার রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত তৎপরতাই বড় হুমকি। আর চীন এমনভাবে বৈশ্বিক কাঠামো পাল্টে দিচ্ছে, যা যুক্তরাজ্যের জন্য একদিকে যেমন নতুন সম্ভাবনা আনছে, তেমনি তৈরি করছে বড় ঝুঁকিও।”
প্রসঙ্গত, এমআই৬ মূলত যুক্তরাজ্যের বাইরের দেশগুলোতে গোয়েন্দা তৎপরতা চালায়। সংস্থাটির প্রধানকে অভ্যন্তরীণভাবে ‘সি (C)’ নামে ডাকা হয়। ব্লেইস মেট্রেওয়েইলি হবেন সংস্থার ১৮তম প্রধান এবং প্রথম নারী ‘সি’।