সম্মিলিত নারী প্রয়াসের মানববন্ধন: ধর্মীয় ও পারিবারিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে নারী নীতিমালা প্রণয়নের দাবি
নারী সংস্কার কমিশনের বিতর্কিত সুপারিশ বাতিল এবং নতুনভাবে কমিশন গঠনের দাবিতে গত ৮মে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে ‘সম্মিলিত নারী প্রয়াস’। বৃহস্পতিবার সকালে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ধর্মীয় ও পারিবারিক মূল্যবোধকে ভিত্তি করে ইসলামিক স্কলারদের নেতৃত্বে সব ধর্মের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে নতুন নারী সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে।
সম্মিলিত নারী প্রয়াসের সভানেত্রী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিভিন্ন রাজনৈতিক, নারী সংগঠন, সুশীল সমাজ, শিক্ষক-ছাত্রী ও মানবাধিকার কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
সংগঠনের সেক্রেটারি ড. ফেরদৌস আরা খানম অভিযোগ করেন, “নারী সংস্কার কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান কোনো মুসলিম নারী স্কলারকে অন্তর্ভুক্ত না করে পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছেন। এ সুপারিশ নারী সমাজ প্রত্যাখ্যান করেছে।” তিনি বলেন, “কমিশনের সদস্যদের উচিত নিজেদের মা, বোন ও কন্যাদের যৌন শ্রমিক হিসেবে কল্পনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া, তাহলে তারা বুঝতে পারবেন আসল মর্যাদা কোথায়।”
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহীন আরা আনোয়ারী বলেন, যৌনকর্মীদের শ্রমিকের স্বীকৃতি দিলে গোটা সমাজ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে। গনোরিয়া, সিফিলিস, এইডসসহ নানা রোগ বাড়বে এবং সমাজে নৈতিক অবক্ষয় সৃষ্টি হবে।
“যৌনকর্ম নয় তো পেশা, সে তো সমাজ নষ্টের নেশা”— এই স্লোগান ধারণ করে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি সাহেল মোস্তারী, তাহমিনা আক্তার সুরমা, নুসরাত জাহান লিজা, হেলেনা আক্তার লাকি ও নাদিয়া বিনতে মাহতাব।
সভাপতির বক্তব্যে ড. শামীমা তাসনিম বলেন, “এই কমিশনের সুপারিশ নারীর বিরুদ্ধে নয়, বরং পুরুষকে নারীর প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা। অথচ ইসলাম নারী-পুরুষকে পরিপূরক হিসেবে চিহ্নিত করে সম্মান, স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছে।”
তিনি সতর্ক করে বলেন, “ধর্মীয় ও পারিবারিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে নারী নীতিমালা না হলে তা সমাজে নৈতিক অবক্ষয় ও অপরাধ প্রবণতা বাড়াবে।”