banner

মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫ ইং, ,

পোস্টটি 4 বার পঠিত

 

বাংলাদেশি নার্সদের বিশ্বমঞ্চে উত্থান: বিএমইউ ভিসির আশাবাদ

 

বাংলাদেশি নার্সরা বিশ্বজুড়ে নিজেদের গুণগত শিক্ষার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা পাবে, এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম।

বিশ্ব নার্স দিবস ২০২৫ উপলক্ষে সোমবার (১২ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “গুণগত নার্সিং শিক্ষার মাধ্যমে দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশি নার্সদের চাহিদা তৈরি করা সম্ভব।”

তিনি জানান, বিএমইউ ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন নার্সিং শিক্ষা নিশ্চিত করতে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কারিকুলাম চালু করেছে। পাশাপাশি ইংরেজি ভাষা ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারে।

ডা. শাহিনুল আলম বলেন, “আমরা বাংলাদেশকে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে দেখতে চাই। ফিলিপাইন বা ভারতের কেরালার মতো বাংলাদেশও নার্স রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হতে পারে, যা থেকে প্রতিবছর বিলিয়ন ডলার আয় সম্ভব।”

তিনি নার্সদের উদ্দেশে বলেন, “নার্সিং কেবল চাকরি নয়, এটি মানবতার সেবার মহৎ এক পেশা। এই দায়িত্ব পালনের জন্য নিজেদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। রোগীর কষ্ট লাঘবে নার্সরাই ভরসাস্থল।”

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএমইউ’র প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার এবং হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নোমান মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দীন।

গ্র্যাজুয়েট নার্সিং বিভাগের শিক্ষক মো. হারুন অর রশীদ গাজী জানান, বর্তমানে দেশে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার নার্স কর্মরত আছেন। তাদের আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ দেওয়া গেলে বিদেশে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি দেশের স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক অগ্রগতি ঘটবে।

দিনব্যাপী আয়োজনে নার্সিং পেশার গৌরব, চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা তুলে ধরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়, যাতে অংশ নেন নার্সিং শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীরা।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে বাংলাদেশ প্রায় ১৫টি দেশে নার্স প্রেরণ করছে। ২০২৪ সালে নার্স রপ্তানি থেকে ২০০ মিলিয়ন ডলার বৈদেশিক আয় হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নার্সিং শিক্ষার মান উন্নয়ন অব্যাহত থাকলে আগামী পাঁচ বছরে এই আয়ের পরিমাণ তিন গুণ বৃদ্ধি পেতে পারে।

Facebook Comments