বর্ষার এই মৌসুমে ইচ্ছা না থাকলেও নোংরা পানিতে হাঁটতে বাধ্য হন। এতে জুতার সঙ্গে পায়ের নখের অবস্থা হয় শোচনীয়। ঠিকমতো পরিচর্যা না করলে ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হতে পারে। তখন বিশেষ করে পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের নখটি স্বাভাবিকের চেয়ে মোটা হয়ে যায়। নখে পচন ধরে, কাটতে অসুবিধা হয়, হলুদ বা বাদামী বর্ণ ধারণ করে। নখের নিচের মাংস শুকিয়ে আলগা হয়ে সহজেই ভেঙে যায়।
নখ ফাঙ্গাস দ্বারা আক্রান্ত হলে দেখতে বিশ্রী লাগে এবং সারিয়ে তোলাও বেশ কঠিন। একে অনকোমাইকোসিস বলা হয়। হাতের নখে সমস্যাটি হতে পারে তবে পায়ের নখেই বেশি হয়ে থাকে। উপায় জানা থাকলে এই সমস্যা ১ থেকে ২ মাসের মধ্যে সারিয়ে তোলা যায়। আসুন জেনে নেই সেই ঘরোয়া উপায় গুলো।
ভিনেগার ও বেকিং সোডা
বেকিং সোডা ছত্রাক নাশক না কিন্তু ছত্রাকের বৃদ্ধি ও ছড়িয়ে পড়াকে রোধ করতে পারে। অপরদিকে ভিনেগার কিছুটা অ্যাসিডিক যা ত্বকের পিএইচ লেভেলের বিশেষ কোনো পরিবর্তন ছাড়াই ছত্রাক ধ্বংস করতে পারে। একটি পরিষ্কার পাত্রে ১ কাপ ভিনেগার ও এক লিটার পানি মিশিয়ে নিন। এর মধ্যে ১৫ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর পা মুছে আবার নতুন করে পানি ও কয়েক চামচ বেকিং সোডার মিশ্রণে ১৫ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। তারপর পা মুছে নিন। এভাবে দিনে ২ বার করতে হবে সপ্তাহ দুয়েক। কাঙ্ক্ষিত উপকার পাবেন।
নারিকেল তেল
ফ্যাটি অ্যাসিড খুব ভালো ছত্রাক নাশক। নারিকেল তেলে প্রচুর ফ্যাটি অ্যাসিড আছে যা ছত্রাকের দেহের লিপিড স্তরে প্রবেশ করে ভেতর থেকে ছত্রাককে ধ্বংস করে। দিনে দুই তিনবার নারিকেল তেল লাগালে ছত্রাকের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবেন।
মাউথ ওয়াশ
মাউথ ওয়াশ যেভাবে মুখের ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু ধ্বংস করতে পারে ঠিক সেভাবে নখের ছত্রাকও নাশ করতে পারে। মাউথ ওয়াশের অ্যালকোহল শক্তিশালী অ্যান্টিসেপ্টিক হিসেবে কাজ করে। একটি বোলে মাউথ ওয়াশ নিয়ে পা ডুবিয়ে রাখুন। এভাবে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে পায়ের নখ পরিষ্কার করে নিন। তারপর পানি মুছে শুকিয়ে নিন। দিনে ১ থেকে ২ বার এভাবে করুন যতদিন না ভালো হয়।