২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের ৩৬২টি ঘটনা ঘটেছে, যা মার্চ মাসের তুলনায় ৬৬টি কম। তবে সহিংসতা পুরোপুরি থামেনি—ধর্ষণ, যৌন হয়রানি, হত্যা ও আত্মহত্যার মতো ভয়াবহ ঘটনাগুলো এখনও সমাজে উদ্বেগের বিষয় হয়ে রয়ে গেছে।
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) তাদের মাসিক পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে জানায়, এপ্রিল মাসে ৯৩টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১২ জন শিশু, ৪৩ জন কিশোরী এবং ৮ জন প্রতিবন্ধী কিশোরী ও নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। সংঘবদ্ধ ধর্ষণের সংখ্যা ছিল ২৫, যার শিকার হয়েছেন ৪ শিশু, ৮ কিশোরী ও ৯ নারী। এছাড়াও ৪ জন নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
ধর্ষণের চেষ্টা হয়েছে ৩৩টি, যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ২৬ জন, আর শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ৪৭টি। এসিড হামলায় আহত হয়েছেন একজন নারী।
আত্মহত্যার দিক থেকেও মাসটি ছিল হতাশাজনক—১২ কিশোরী ও ২৩ নারীসহ ৩৫ জন আত্মহত্যা করেছেন। অপহরণের ঘটনা ১১টি (৪ শিশু ও ৭ কিশোরী), আর নিখোঁজ রয়েছেন ৫ জন (২ শিশু, ২ কিশোরী ও ১ নারী)। অস্বাভাবিক মৃত্যু ও হত্যা মিলিয়ে নিহত হয়েছেন ৬৯ জন নারী, কিশোরী ও শিশু; যাদের মধ্যে ১৮ জন শিশু ও কিশোরী।
এমএসএফের প্রতিবেদনে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, অনেক ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনা স্থানীয় সালিশে আপসের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়েছে, যা আইনের দৃষ্টিতে বেআইনি। এই ধরনের সালিশি বিচার বিচারব্যবস্থার প্রতি চরম অবহেলার ইঙ্গিত দেয়।
আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না হলে নারী ও শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন হবে।